::: রাহাত আহমেদ :::
সুপার সাইক্লোন মোখার তাণ্ডবে লন্ডভন্ড সেন্টমার্টিনের প্রবাল দ্বীপ। গাছ চাপা পড়ে এক নারীসহ দুজনের মৃত্যু খবর পাওয়া গেছে। স্থানীয়রা বিষয়টি নিশ্চিত করলেও জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে কোন বক্তব্য পাওয়া যায় নি।
অতিপ্রবল ঘূর্ণিঝড় মোখা উপকূলে আঘাত হানার কারণে এর কেন্দ্র টেকনাফ, সেন্টমার্টিন দ্বীপ ও মিয়ানমারের সিটুয়ে জেলার উপর দিয়ে অতিক্রম করছে।
আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, ৭৪ কিলোমিটার কেন্দ্রে বাতাসের গতি ১৬০ থেকে ১৮০ কিলোমিটার পর্যন্ত বাড়ছে। টেকনাফে ৮০ কিলোমিটারেরও বেশি গতিতে ঝড়ো বাতাস বইছে। ক্রমান্বয়ে বাতাসের গতি বাড়ছে সাথে হালকা বৃষ্টি হচ্ছে।
রোববার (১৪ মে) বিকেল ৩টা নাগাদ ঘূর্ণিঝড়ের কেন্দ্র উপকূল অতিক্রম করেছে। সন্ধ্যা নাগাদ স্থলভাগ পুরোপুরি অতিক্রম করবে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অফিস।
আবহাওয়া বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, ঘূর্ণিঝড়ের কেন্দ্র উপকূলে পৌঁছালে সৌভাগ্যক্রমে ওই সময়েই সমুদ্রে ভাটা শুরু হওয়ায় ঘূর্ণিঝড়টি প্রথমে সমুদ্রের মধ্যেই দুর্বল হয়ে পড়ে, পরে স্থলভাগে আঘাত করার সময় প্রতিকূল পরিবেশের মুখোমুখি হচ্ছে।
আবহাওয়া অধিদপ্তর আরও জানিয়েছে, বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড় ‘মোখা’র মূল কেন্দ্রটি মিয়ানমারের দক্ষিণাঞ্চল দিয়ে যাবে। এতে বাংলাদেশের কক্সবাজার, চট্টগ্রামসহ দেশের উপকূলীয় অঞ্চলে ঝুঁকি কমে আসছে।