দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে তো লড়াই করেছিল বাংলাদেশ, এমনকি শেষ ওভার পর্যন্ত ধরে রেখেছিল জয়ের সম্ভাবনাও। তবে অস্ট্রেলিয়ার কাছে পাত্তাই পেল না টাইগ্রেসরা। ১০ উইকেটে হেরে গেছে জ্যোতিররা
কোনো উইকেট না হারিয়েই জয় নিশ্চিত করে অস্ট্রেলিয়া। বর্তমান চ্যাম্পিয়নদের কোনোরকম চ্যালেঞ্জ জানাতে পারেনি দল। অর্ধেকের বেশি ওভার হাতে রেখেই অজিরা নিশ্চিত করেছে জয়, নিশ্চিত করেছে সেমিফাইনালও।
সেঞ্চুরি তুলে নিয়ে ৭৭ বলে ১১৩ রান করে অপরাজিত ছিলেন অস্ট্রেলিয়ার অধিনায়ক অ্যালিসা হিলি। আর আরেক ওপেনার ফোবি লিচফিল্ড অপরাজিত ছিলেন ৭২ বলে ৮৪ রান করে।
এই জয়ের পথে অনেকগুলো রেকর্ড হয়েছে। টানা দুই ম্যাচে সেঞ্চুরি করে বিশ্বকাপের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ (৪) সেঞ্চুরিয়ান এখন তিনি। তাদের দুজনের ২০২* রানের জুটি বিশ্বকাপ ইতিহাসেরই তৃতীয় সেরা।
উল্লেখ্য, নারী বিশ্বকাপে নিজেদের পঞ্চম ম্যাচে আজ (বৃহস্পতিবার) বর্তমান চ্যাম্পিয়ন অস্ট্রেলিয়ার মুখোমুখি হয় বাংলাদেশ। টানা তিন হারে বিধ্বস্ত টাইগ্রেসরা এই ম্যাচে মাঠে নামার আগেই ছিল ব্যাকফুটে।
মাঠেও ব্যতিক্রম কিছু করতে পারল না নিগার সুলতানা জ্যোতির দল। জ্যোতি নিজেও পারেননি ইনিংস বড় করতে। আসর জুড়েই ব্যর্থ তিনি, থিতু হয়েও পারছেন না হাল ধরতে। আজ ফেরেন ৩৫ বলে মাত্র ১২ রান করে।
শুরুটা হয়েছিল অবশ্য ফারাজানা হকের বিদায়ে। ২৪ বলে মাত্র ৮ রান করে আউট হন তিনি। আরেক ওপেনার রুবিয়া হায়দার শুরুটা করেছিলেন ভালো, তবে ছন্দ ধরে রাখতে পারেননি। আউট হন ৫৯ বলে ৪৪ করে।
তিনে নামা শারমিন আক্তার করেন ৩৩ বলে ১৯ রান। এরপর জ্যোতি আউট হলে ২৭ ওভারে ১০৪ রানে ৪ উইকেট হারায় বাংলাদেশ। পরের ৬১ রান তুলতেই আরো ৫ উইকেটের পতন টাইগ্রেসদের।
যার পুরোটা অবদান সুবহানা মোস্তারির। একপাশ আগলে ফিফটি তুলে নেন তিনি। শেষ পর্যন্ত অপরাজিত থাকেন ৮০ বলে ৬৬ রান নিয়ে। তিনি ছাড়া শেষ ৬ জনের কেউ দুই অঙ্কের ঘরেই যেতে পারেননি।
অস্ট্রেলিয়ার হয়ে অ্যাশলে গার্ডনার, অ্যানাবেল সাদারল্যান্ড, আলাদা কিং ও জর্জিয়া ওয়ারহ্যাম দুটি করে উইকেট নেন। একটি উইকেট পেয়েছেন ম্যাগান স্কট।
এই বাংলা/এমএস
টপিক