কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি :
কুড়িগ্রাম জেলায় দুপুর গড়িয়ে গেলেও দেখা মিলছে না সূর্যের। ঘন কুয়াশার মাত্রা কম থাকলেও হিমেল হওয়ার সঙ্গে কনকনে ঠান্ডায় বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে জনজীবন।
দুইদিন ধরে সূর্যের দেখা না মেলায় এ অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। কনকনে ঠান্ডায় ছিন্নমূল ও নিম্ন আয়ের মানুষজন বিপাকে পড়েছেন। প্রয়োজনীয় গরম কাপড়ের অভাবে সময়মতো কাজে যেতে পারছেন তারা।
দৈনিক এই বাংলার সর্বশেষ খবর পেতে Google News অনুসরণ করুন
শুক্রবার (২৬ ডিসেম্বর) সকালে কুড়িগ্রাম জেলায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা তাপমাত্রা ১১ ডিগ্রি সেলসিয়াসের ঘরে বিরাজ করছে।
কুড়িগ্রাম জেলার উলিপুর উপজেলার সাহেবের আলগা ইউনিয়নের দই খাওয়ার চর গ্রামের মোঃ কালু মিয়া বলেন, ‘তিন দিন থেকে সূর্যের দেখা নেই। ঠান্ডায় ঘরেও থাকা যায় না। আগুন জ্বালিয়ে পরিবারের লোকজন নিয়ে শীত নিবারণের চেষ্টা করছি।’
কুড়িগ্রাম জেলার চিলমারী উপজেলার বড়চর এলাকার সত্তরোর্ধ্ব মোছাঃ বাচ্চানী বেওয়া বলেন, ‘বিছানা ঠান্ডা হয়ে থাকে। ঠান্ডা কমাতে ঘরে খড় কুটো দিয়ে আগুন জ্বালিয়ে ঠান্ডা কমানোর চেষ্টা করছি।’
কুড়িগ্রাম জেলার সদর উপজেলার পাচগাছী ইউনিয়নের মোঃ আব্দুল জলিল বলেন, ‘ঠান্ডায় ঘর থেকে বের হওয়া যাচ্ছে না। তারপরেও বীজতলা তৈরি না করলে ধান লাগাব কীভাবে? নিরুপায় হয়ে এই ঠান্ডায় বীজতলা তৈরি করছি।’
এদিকে কুড়িগ্রামে ছিন্নমূল শীতার্ত মানুষের জন্য দুর্যোগ ও ত্রাণ মন্ত্রণালয় ৫৪ লাখ টাকা বরাদ্দ দিয়েছে। সেই টাকায় ১৩ হাজার কম্বল কিনেছে কুড়িগ্রাম জেলা প্রশাসন। অন্যদিকে প্রধান উপদেষ্টার তহবিল থেকে ১২ হাজার কম্বল পেয়েছে কুড়িগ্রাম জেলা প্রশাসন। মোট ২২ হাজার কম্বল উপজেলা প্রশাসনের মাধ্যমে ৯ উপজেলার ৭২ টি ইউনিয়ন ও তিন পৌরসভায় বিতরণ চলমান রয়েছে।
সুশীল সমাজ ও সুধীজন বলছে, ২২ লাখ মানুষের বসবাসের জেলায় ২২ হাজার কম্বল প্রয়োজনের তুলনায় অপ্রতুল। তারা সরকারের পাশাপাশি বিভিন্ন সেচ্ছাসেবী সংগঠনকেও শীতার্ত মানুষের পাশে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান।
কুড়িগ্রাম জেলার রাজারহাট উপজেলার কৃষি আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সুবল চন্দ্র সরকার জানায়, ‘গত এক সপ্তাহ ধরে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১১ ডিগ্রি সেলসিয়াসের ঘরে বিরাজ করছে। অন্যদিকে সর্বোচ্চ তাপমাত্রাও কমে আসছে। ফলে কনকনে ঠান্ডার প্রকোপে বাড়ছে।’
এই বাংলা/এমএস
টপিক

