আল-আমিন, নাটোর প্রতিনিধি::
বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা ও সাবেক উপমন্ত্রী অ্যাডভোকেট রুহুল কুদ্দুস তালুকদার দুলু বলেছেন, দেশের সনাতন ধর্মাবলম্বীদের প্রধান ধর্মীয় উৎসব আসন্ন দুর্গাপূজায় পরাজিত শক্তি ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগ যেন কোনো নাশকতা ঘটনাতে না পারে এজন্য বিএনপি নেতাকর্মীরা নাটোরের সব মন্দির পাহারা দেবেন। দুর্গাপূজাকে ঘিরে পরাজিত শক্তি নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা কোনো ষড়যন্ত্র করলে বিএনপির নেতাকর্মীরা তা রুখে দেবেন।
সনাতন ধর্মাবলম্বী নেতাদের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে দুলু জানান, আসন্ন দুর্গাপূজায় নাটোরে একটি কন্ট্রোল রুম খুলবে জেলা বিএনপি। সব মন্দিরে ব্যানার টাঙিয়ে কন্ট্রোল রুমের বেশ কয়েকটি করে মোবাইল নাম্বার দেওয়া থাকবে। কোনো সমস্যা মনে করলে এসব নাম্বারে ফোন দিলে সঙ্গে সঙ্গে বিএনপির নেতাকর্মীরা পৌঁছে যাবেন।
আজ শুক্রবার দুপুর ১২টার দিকে নাটোর জেলা বিএনপির কার্যালয়ে দুর্গাপূজা উপলক্ষে শহরের হিন্দু সম্প্রদায়ের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে দুলু এসব কথা বলেন।
রুহুল কুদ্দুস তালুকদার দুলু বলেন, আমরা দেখে আসছি যখনই হিন্দু সম্প্রদায়ের দুর্গাপূজা আসে, একটি মহল তখনই একটা ভীতিকর পরিস্থিতির আশঙ্কা তৈরি করে। যখন দেশে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থাকে না তখনই এইটা করে। আর আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থাকলে সবাইকে ভয় দেখায় জঙ্গি হামলা হবে বলে। বাংলাদেশে কোনো জঙ্গি নেই। আসলে এসব কথা বলে তারা মানুষের ভেতর আতঙ্কের সৃষ্টি করে রাজনৈতিকভাবে ফায়দা লুটে।
হিন্দু সম্প্রদায়ের নেতাদের আশ্বস্ত করে দুলু বলেন, সব ষড়যন্ত্র এবং চক্রান্ত রুখতে বিএনপি নেতাকর্মীরা প্রস্তুত রয়েছে। বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নির্দেশনায় সব সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের জানমাল রক্ষা করবে বিএনপি। নাটোরেও বিএনপি সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের পাশে থাকবে।
দুলু বলেন, আওয়ামী লীগের শাসনামলে নাটোরের বিভিন্ন জুয়েলার্সে ডাকাতি হয়েছে। হিন্দু মেয়েদর অপহরণ করা হয়েছে। জেলা প্রশাসকের দপ্তরে চাকরি করেন এমন সুন্দরী হিন্দু রমণীকেও আওয়ামী লীগের আমলে অপহরণ করা হয়েছিল। দিনদুপুরে প্রকাশ্যে তখন এই অপকর্মগুলো ঘটানো হতো, কেউ কিছু বলতে সাহস পেত না,কিন্তু এর আগে বিএনপিও ১৫ বছর ক্ষমতায় ছিল, বিএনপির শাসনামলে কোনো দিন এ ধরনের কোনো অপকর্ম নাটোরে হয়নি।
মতবিনিময় সভায় অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন- জেলা বিএনপির আহ্বায়ক রহিম নেওয়াজ, নাটোর পৌরসভার সাবেক মেয়র এমদাদুল হক আল মামুন, জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক মোস্তাফিজুর রহমান শাহিন, সাইফুল ইসলাম আফতাব, জেলা বিএনপির সদস্য নাসিম উদ্দিন নাসিম, জেলা যুবদল সভাপতি এহাই তালুকদার ডালিম, পূজা উদযাপন পরিষদের সহ-সভাপতি অ্যাডভোকেট খগেন্দ্রনাথ রায়, হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের সাধারণ সম্পাদক সুব্রত সরকার, সাংবাদিক দেবাশীষ কুমার, শিক্ষাবিদ অলক মৈত্র, বাস মালিক সমিতির নেতা অখিল পোদ্দারসহ পৌর এলাকার বিভিন্ন মন্দির কমিটির নেতারা।