বিপ্লব তালুকদার , খাগড়াছড়ি::
খাগড়াছড়িতে আসন্ন সনাতনী হিন্দু সম্প্রদায়ের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দুর্গোপূজা। দুর্গা পূজাকে সামনে রেখে খাগড়াছড়ি ও উপজেলার মন্দিরগুলোতে এখন প্রতিমা তৈরি আর মণ্ডপ তৈরির কাজে ব্যস্ত সময় পার করছেন আয়োজকসহ মৃৎশিল্পীরা।
দিনরাত পরিশ্রম করে শিল্পীরা তাদের নিপুণ হাতের ছোঁয়ায় কাদামাটি, খড়, বাঁশ, সুতলি আর রঙ-তুলি দিয়ে তৈরি করছেন একেকটি দুর্গা প্রতিমা।
জেলা ও উপজেলায় কেন্দ্রীয় মন্দিরসহ ৯টি উপজেলায় প্রতিটি মন্দির-মণ্ডপ প্রাঙ্গণে বিভিন্ন আকার আর নানা ধরনের দেবী দুর্গার প্রতিমা বানানো হচ্ছে।
খাগড়াছড়ি জেলা, পানছড়ি উপজেলা, মাটিরাঙ্গা, মানিকছড়ি, গুইমারা, মহালছড়ি সহ সবকয়টি উপজেলাতে কাদা-মাটি, বাঁশ, খড়, সুতলি দিয়ে শৈল্পিক ছোঁয়ায় তিলতিল করে গড়ে তোলা হচ্ছে দেবীদুর্গার প্রতিমা। কারিগরদের নিপুণ হাতের ছোঁয়ায় তৈরি হচ্ছে দেবীদুর্গা, লক্ষ্মী, সরস্বতী, কার্তিক, অসুরসহ বিভিন্ন দেব-দেবীর প্রতিমা।
মৃৎশিল্পী বাবলু দে জানান, প্রতিবছরই অধীর আগ্রহে দেবীদুর্গার প্রতিমা তৈরির কাজের অপেক্ষায় থাকি। শুধু জীবিকার জন্যই নয়, দেবীদুর্গার প্রতিমা তৈরির সঙ্গে জড়িয়ে থাকে ধর্মীয় অনুভূতি, ভক্তি আর ভালোবাসাও। দুর্গা মাকে মায়ের মতোই তৈরি করা হচ্ছে।
পূর্বের চেয়ে কাজের ব্যয় বাড়ার কারণে খরচ নিয়ে কিছুটা শঙ্কায় আছি।’
প্রতিমা কারিগর রুবেল জানান, ‘এ বছর প্রতিমা তৈরিতে প্রকারভেদে ৫০ হাজারের অধিক টাকা করে আজুরা নেওয়া হচ্ছে। আগের তুলনায় এবার কাজের চাপ খানিকটা বেশি হওয়ায় দিনরাত পরিশ্রম করতে হচ্ছে।’
এ বি এম ইফতেখারুল ইসলাম খন্দকার,জেলা প্রশাসক ও জ়েলা ম্যাজিস্ট্রেট জানান, ‘এ বছর জেলা ও উপজেলায় এবার ৬৩টি পূজা মণ্ডপে দূর্গোৎসব পালিত হবে । আসন্ন শারদীয় দূর্গোৎসবকে ঘিরে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী প্রস্তুত রয়েছে, সুষ্ঠুভাবে দূর্গা পূজা উদযাপন করবে জেলা ও উপজেলার সনাতন ধর্মের লোকজন।’