এম এ নকিব নাছরুল্লাহ্ ,পিরোজপুর
পিরোজপুর-১ আসনের জামায়াতে ইসলামীর মনোনীত সংসদ সদস্য প্রার্থী মাসুদ সাঈদী বলেছেন, আমরা বিভাজনের রাজনীতি চাই না। আমরা বাংলাদেশের শান্তি চাই, আমরা ঐক্য চাই। আমরা বাংলাদেশকে পৃথিবীর বুকে মাথা উচু করে দাঁড়াতে চাই। আমরা চাই বাংলাদেশের জনগণ পৃথিবীর যে প্রান্তে যাক না কেন তাকে সম্মান করুক, শ্রদ্ধা করুক, আমরা বাংলাদেশী এ কথা বলে পৃথিবীর বুকে সম্মান পাব এটা চাই কিন্তু আমাদের মধ্যে যদি বিভাজন থাকে যে রাজাকারের ব্যবসা করতে গিয়ে আওয়ামী লীগ এখন আম ছালা হারিয়ে ভারতে। রাজাকারের ব্যবসা যারা করবেন তাদের পরিণতি কি হবে আল্লাহ ভালো জানেন।
আসেন আমরা এই অনৈক্যের রাজনীতি না করে ঐকের রাজনীতি করি। আমরা অশান্তির রাজনীতি না করে শান্তির রাজনীতি করি। আমরা দুর্নীতির রাজনীতি না করে উন্নতির রাজনীতি করি। বাংলাদেশের মানুষ এই ভোটের নামে গণতন্ত্রের নামে আর কত রক্ত দেবে আর কত জীবন দিবে। আর কত জেল জুলুম সহ্য করতে হবে।
স্বাধীনতার ৫৩ বছরের পরেও কেন আমার এই সমস্ত কথা বলতে হবে। কেনো আমাদের উন্নয়ন হয় না কেন আমাদের দেশে এখনো দুর্নীতি হয়, চাঁদাবাজির বিরুদ্ধে কথা বললে সাংবাদিকের জীবন চলে যায়। এগুলি আমাদের ভাবতে হবে। শুধু ক্ষমতার পরিবর্তন হলেই দেশের শান্তি প্রতিষ্ঠা হবে না। ক্ষমতার পরিবর্তনের সাথে সাথে নীতি নৈতিকতার পরিবর্তন লাগবে। আপনি যতক্ষণ আপনার নীতির পরিবর্তন না করবেন। ক্ষমতার চেয়ারে যত মানুষকে পরিবর্তন করে বসান না কেন, দেশের ভাগ্যের উন্নয়ন হবে না।
শুক্রবার (০৮ আগস্ট) পিরোজপুরের নাজিরপুর উপজেলার শেখমাটিয়া ইউনিয়নের খেজুরতলা বাজার, বাবুরহাট বাজার, শ্রীরামকাঠী ইউনিয়নের কালিবাড়ি বাজার ও চৌঠাইমহল বাসস্ট্যান্ডে গণসংযোগ কালে তিনি এ সব কথা বলেন। তিনি বলেন, খুনি হাসিনা সহ তাদের দোসররা আমাদের দুই হাজার ছাত্রের জিবন নিয়েছে, বাংলাদেশের শ্রেষ্ঠসন্তান আলেমদের ফাসিতে ঝুলিয়ে হত্যা করেছে, কোরানের পাখীকে চিকিৎসার নামে হত্যা করেছে এই সকল খুনের বিচার আগে হাসিনার হতে হবে। ২০২৩ সালের ১৪ আগষ্ট ওরা কোরানের পাখিকে সুস্থ মানুষকে হাসপাতাল থেকে এনে পরিকল্পিত ভাবে হত্যা করেছিল। আমরা সেই হত্যার প্রতিবাদে কিছু করতে পারিনি। আমরা শুধু জায়নামাজে চোখের পানি ফেলেছি, আল্লার কাছে ফরিয়াদ করেছি, আল্লাহ তায়ালা এক বছর যেতে দেননি তার আগেই পরের বছর ৫ আগষ্ট খুনি হাসিনার পতন হয়েছে।
মাসুদ সাঈদী বলেন, আমরা বাংলাদেশের সকল গণহত্যার বিচারবর্হিভূত হত্যার হত্যা ক্রসফায়ার জুলুম নির্যাতনের বিচার চাই। বর্তমান সরকার যে বিচার করবে যদি বর্তমান সরকার বিচার না করে, যাকে দিয়ে করা সম্ভব বাংলাদেশে রাজনৈতিকভাবে সবচাইতে মজলুম সংগঠন শহীদি কাফেলা বাংলাদেশ জামাত ইসলামী পৃথিবীর বুকে কোন একটি দলে শীর্ষস্থানীয় এতগুলি নেতাকে হত্যার ইতিহাস পৃথিবীতে নাই। তারা জামাতে ইসলামীর ১১ জন নেতাকে হত্যা করেছে। ভেবেছিল জামায়ত নেতাদের হত্যা করার মাধ্যমে বাংলাদেশ থেকে ইসলামী আন্দোলনকে নিভিয়ে দিবে। কোরআনের পাখি আল্লামা সাঈদীকে কারাগারে প্রেরণ করার মাধ্যমে কোরআনের কথা বলা বন্ধ হয়ে যাবে।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী নাজিরপুর উপজেলা আমীর মাওলানা আব্দুর রাজ্জাক, জেলা জামায়াতের সহকারি সেক্রেটারী আব্দুর রাজ্জাক, নাজিরপুর উপজেলা বায়তুল মাল সম্পাদক মাওলানা আবু দাউদ, শেখমাটিয়া ইউনিয়ন সভাপতি হাফেজ আব্দুর রহমান, সেক্রেটারী মাওলানা কাজী জাকির হোসাইন, উপজেলা শিবির সেক্রেটারী সাকিব হোসাইন প্রমূখ।