নিজস্ব প্রতিবেদক
এলজিইডির উর্দ্ধতন কর্মকর্তাদের পদ শুন্য থাকা সত্ত্বেও অদৃশ্যকারণে দীর্ঘ দিন যাবৎ লালসুতায় বাধাঁ পড়ে আছে পদোন্নতি।
এলজিইডির মত একটি বিশাল সরকারী প্রতিষ্ঠানে সংস্থাপনে মোট জনবল ১৩৩৯৪ জন। তম্মধ্যে প্রধান প্রকৌশলী গ্রেড-১, অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলীর (গ্রেড-২) পদ- ০২ জন, অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলীর গ্রেড-৩ পদ-১৩ জন, তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলীর (গ্রেড-৪) পদ-৩৪ জন, নির্বাহী প্রকৌশলী (গ্রেড-৫) পদ-১৬০ জন।
বর্তমানে প্রধান প্রকৌশলীর পদটি শূন্য। উক্ত পদে পদোন্নতি না দিয়ে অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী মোঃ আব্দুর রশীদ মিয়াকে প্রধান প্রকৌশলীর চলতি দায়িত্ব দিয়ে সরকার কাজ চালাচ্ছেন। তাঁর চাকুরীর মেয়াদ আগামী মাসে শেষ হওয়ার কথা।
এলজিইডিতে বর্তমানে যে কয়জন অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলীর স্থায়ী পদে কর্মরত আছেন তাঁহাদের দক্ষতার বিষয় এবং চাকুরীকাল বিবেচনায় সরকারের উচিত এলজিইডির মত বিশাল প্রতিষ্ঠানকে আরো গতিশীল করার লক্ষ্যে মোঃ আব্দুর রশীদ মিয়াকে প্রধান প্রকৌশলীর স্থায়ী পদে পদোন্নতিসহ ২/৩ বৎসর চাকুরীর মেয়াদবৃদ্ধির বিবেচনা করা।
এতে উন্নয়ন প্রকল্পগুলির কাজ দ্রুত বাস্তবায়ন হবে বলে উন্নয়নসহযোগী দাতা গোষ্ঠী মনে করে।
এলজিইডির অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলীর পদ- ১৫টি। তম্মধ্যে মোঃ আনোয়ার হোসেন, জাবেদ করিম ও আবু জাফর মোঃ তৌফিক হাসান এই ৩জন কর্মকর্তা অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলীর স্থায়ী পদে আছেন। অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলীর পদ-১২টি পদ শুন্য রয়েছে।
তম্মধ্যে ৫টি পদে ৫জনকে অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলীর চলতি দেয়া হয়েছে তাঁরা হলেন: ১। শেখ মোহাঃ নূরুল ইসলাম (ফ্যাসিষ্টের বঙ্গবন্ধু প্রকৌশলী পরিষদের এলজিইডি শাখার যুগ্ম আহবায়ক), ২। গৌতম প্রসাদ চৌধুরী, ৩। মোঃ গোলাম মোস্তাফা, ৪। কাজী গোলাম মোস্তফা ও ৫। মোঃ আমিনুল ইসলাম (প্রেষণে প্রধান প্রকৌশলী, ঢাকা দক্ষিন সিটি কর্পোরেশন)। অবশিষ্ট পদগুলো শুন্য রয়েছে। এখনো অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলীর ৭টি পদ শুন্য রয়েছে। উক্ত শুন্য পদ পুরণের জন্য তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী মোঃ মঞ্জুর আলীর নামসহ স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ে এলজিইডির প্রধান প্রকৌশলীর দপ্তর হতে একটি সারসংক্ষেপ প্রেরণ করা হয়, যা অদ্যাবধিও আলোর মুখ দেখেনি।
বর্তমান অন্তবর্তীকালীন সরকারে ফ্যাসিষ্টের দোসরদের দখলে প্রশাসনের অনেক পদ-পদবী থাকায় উক্ত কাজগুলি সুচারুভাবে করা সম্ভব হচ্ছে না বলে অনেকে মনে করেন। প্রসংগত এলজিইডিতে তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলীর পদ-৩৭টি, স্থায়ী- ৮জন। বাকি ২৯ জনের মধ্যে ২৩জনই চলতি দায়িত্বে কাজ করে চলেছেন। দীর্ঘ ৩৫/৩৬ বৎসর চাকুরী জীবন পার করার পরও পদোন্নতি না হওয়ায় জনৈক প্রকৌশলী নাম প্রকাশ না করার শর্তে দৈনিক এই বাংলাকে বলেন, ‘দীর্ঘদিন পদোন্নতি বঞ্চিত হওয়ায় তাদের মাঝে ক্ষোভ বিরাজ করছে এবং দ্রুত পদোন্নতি না দিলে কাজের জটিলতা সৃষ্টি হতে পারে’। পদোনড়বতি বঞ্চিতরা গণমাধ্যমের কাছে অভিযোগে জানান, দীর্ঘদিনের চাকরি জীবনে প্রাপ্য সম্মানটুকুও নিয়ে বাড়ী যেতে চান। এ ব্যাপারে উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।