25.2 C
Dhaka
Thursday, October 2, 2025

২০০৮সালের অবৈধ নির্বাচনে জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে-বিএনপি নেতা দুলু

আরও পড়ুন

আল আমিন (নাটোর)

বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা ও সাবেক মন্ত্রী অ্যাডভোকেট এম রুহুল কুদ্দুস তালুকদার দুলু বলেছেন, ২০০৮ সালের অবৈধ নির্বাচনে দায়িত্ব পালনকারী নিবার্চন কমিশনার, পুলিশ কর্মকর্তাসহ জড়িত সকলের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নিতে হবে। ২০০৮ সালের কারচুপির নির্বাচনের মাধ্যমে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এসে একের পর এক জালিয়াতির নির্বাচন করে অবৈধভাবে ১৬ বছর ক্ষমতায় থেকে হাজার হাজার বিএনপি নেতাকর্মীকে হত্যা ও লাখ লাখ নেতাকর্মীকে জেল জুলুম নির্যাতন করেছেন।

দুলু বলেন, ভারতের সাবেক রাষ্ট্রপতি প্রনব মুখার্জী তার নিজের লেখা বইয়ে পরিস্কার ভাবে লিখেছেন কিভাবে ২০০৮সালের এই নির্বাচনে কারচুপি করে বিএনপিকে হারিয়ে আওয়ামী লীগ বাংলাদেশের ক্ষমতা দখল করেছিল। তাই শুধু ২০১৪, ২০১৮ ও ২০২৪ সালের নির্বাচনে জড়িতদের বিচার নয়, ২০০৮ সালের নির্বাচনে জড়িতদের এবং ১/১১এর কুশিলবদের গ্রেফতার করে বিচার করতে হবে। ১/১১এর কুশিলব ও ক্ষমতাধারীরা সেদিন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারপার্সন তারেক রহমানকে রিমান্ডে নিয়ে অমানুষিক নির্যাতন করেছিল, তার মাজা ভেঙ্গে দিয়েছিল। তাদের কারণেই আজ পর্যন্ত বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারপার্সন তারেক রহমান দেশের বাহিরে অবস্থান করছেন।

তিনি আরও বলেন, দেশের মানুষ সরাসরি তাদের পছন্দের প্রার্থীকে ভোট দিয়ে বিজয়ী করতে চায়। পিআর বা সংখ্যানুপাত পদ্ধতির নির্বাচন চায় না।

শুক্রবার বিকেলে নাটোরের নলডাঙ্গা উপজেলার পিপরুল ইউনিয়ন জাতীয়তবাদী কৃষকদল আয়োজিত জনসমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে দুলু এসব কথা বলেন।

স্থানীয় শ্যামনগর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে ইউনিয়ন কৃষক দলের সভাপতি শাহজাহান আলীর সভাপতিত্বে আয়োজিত জনসমাবেশে আরো বক্তব্য রাখেন, জেলা বিএনপির সাবেক সহ-সভাপতি দুলুর সহধর্মীনি ছাবিনা ইয়াসমিন ছবি, জেলা মহিলা দলের সভাপতি সাবেক এমপি সুফিয়া হক, জেলা বিএনপির সদস্য নাটোর পৌর সভার সাবেক মেয়র কাজী শাহ আলম, জেলা বিএনপির সদস্য নাসিম উদ্দিন নাসিম, সাধারণ সম্পাদক রুপালী বেগম, জেলা যুবদল সভাপতি এ হাই তালুকদার ডালিম, জেলা কৃষক দলের আহবায়ক আবু হেনা মোস্তফা কামাল ও সদস্য সচিব হাসান আলী প্রমুখ।

সমাবেশে দুলু আরো বলেন, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ঘোষিত ৩১দফার মধ্যেই রাষ্ট্রের সকল সংস্কারের উল্লেখ রয়েছে।তাই দ্রুততম সময়ের মধ্যে প্রয়োজনীয় জরুরী সংস্কার শেষ করে ফেব্রুয়ারী মাসের প্রথম সপ্তাহে জাতীয় নির্বাচন দিতে হবে। আওয়ামী লীগ, ছাত্রলীগ, যুবলীগ তাদের দোসরেরা মাঠে ময়দানে না পারলেও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তাদের ষড়যন্ত্র অব্যহত রেখেছে। তাই তাদের সকল ষড়যন্ত্র
সর্ম্পকে দেশের মানুষকে সজাগ থাকতে হবে। গত ১৬বছর আওয়ামী লীগ, ছাত্রলীগ, যুবলীগ ও তাদের দোসরেরা যে জুলুম দুঃশাসন চালিয়েছে দেশের মানুষকে তা ভুলে গেলে চলবে না।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

- Advertisement -spot_img

সবশেষ খবর