বিপ্লব তালুকদার খাগড়াছড়ি::
খাগড়াছড়িতে কোরবানির ঈদকে সামনে রেখে জমজমাট হয়ে উঠেছেন কোরবানির পশুর বাজার। খাগড়াছড়ি থেকে প্রতিদিন শত শত গরু যাচ্ছে ঢাকা ও চট্রগ্রাম সহ দেশের বিভিন্ন জেলায়। তবে ব্যবসায়ীদের অভিযোগ, গরু পরিবহন ও বিক্রির ক্ষেত্রে নানা ধরনের হয়রানি ও অতিরিক্ত টোল আদায়ের মুখোমুখি হতে হচ্ছে। এছাড়াও খাগড়াছড়ি জেলা থেকে গরু অন্যত্র চলে যাওয়ায় খাগড়াছড়ি কোরবানীর পশুর সংকট হতে পারে বলেও ধারনা করছেন স্থানীয়রা।
খাগড়াছড়িতে প্রাকৃতিকভাবে বেড়ে ওঠা স্বাস্থ্যবান পাহাড়ি গরু। কোরবানির ঈদ ঘনিয়ে আসতেই খাগড়াছড়িতে গরুর চাহিদা বেড়ে গেছে কয়েকগুণ। খাগড়াছড়ির জেলার পানছড়ি, দিঘীনালা , মাটিরাঙ্গা , মহালছড়ি উপজেলা থেকে গরু আসছে খাগড়াছড়ি শহরে বিক্রি করার জন্য।
এই পাহাড়ি গরুগুলো কোনো খামারে নয়, প্রাকৃতিকভাবে বড় হয়েছে। লতা-পাতা, ঘাস খেয়ে এরা বেড়ে ওঠে, তাই এদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাও ভালো থাকে।
তবে স্থানীয় ব্যবসায়ীরা মনে করছেন, খাগড়াছড়ি পশু ব্যবসা জেলার অর্থনীতিতে বড় অবদান রাখছে। তবে গরু পরিবহন ও বিক্রিতে হয়রানি বন্ধ হলে এই ব্যবসা আরও প্রসারিত হবে, লাভবান হবেন ব্যবসায়ী ও ক্রেতা-দুপক্ষই।
এদিকে পাহাড়ের বিভিন্ন দূর্গম এলাকা থেকে খাগড়াছড়িতে হাজারো কোরবানীর পশু আসলেও সেগুলো বেপারিরা চট্টগ্রামসহ বিভিন্ন অঞ্চলে নিয়ে যাওয়ায় খাগড়াছড়ি শহরের একমাত্র গরুর হাটে এখনো পর্যন্ত ক্রেতাদের প্রয়োজনীয় পশু নেই মন্তব্য করে স্থানীয়রা বলছেন এ অবস্থা চলতে থাকলে এবারের কোরবানীতে খাগড়াছড়িতে কোরবানী পশুর সংকট দেখা দিতে পারে। এছাড়াও এবারে পশুর হাট ইজারা নিয়েও লোকসান গুনতে হতে বলে ধারনা করছেন খাগড়াছড়ি পৌরসভা থেকে ইজারা নেওয়ার ইজারাদার।