সানাউল্লাহ রেজা শাদ:::
বরগুনার আমতলী উপজেলার আঠারোগাছিয়া ইউনিয়নের ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি জাহিদ মাস্টারের নেতৃত্বে রাতের আধারে আঠারগাছিয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের মাঠ দখল করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এছাড়া তিন যুগেরও বেশী সময় থাকা একটি দোকানকে সরিয়ে রাস্তায় ফেলে রেখে আরও একটি দোকান নির্মাণের অভিযোগ উঠেছে ঐ বিএনপি নেতার বিরুদ্ধে। পুলিশের বাধা অমান্য করে ঈদের বন্ধে দেশীয় অস্ত্র সহ লোকবল জমায়েত করে দোকান নির্মাণ অব্যাহত রয়েছে বলে বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের দাবী।
জানা যায় উত্তর সোনাখালী স্কুল এন্ড কলেজের সহকারী প্রধান শিক্ষক জাহিদ মাস্টারের দূঃসম্পর্কের এক আত্মীয়ের কয়েক শতাংশ জমি ছিলো স্কুলের খতিয়ানে। ১৯৯৬ সালে সেই জমি পূর্বেই লিখিত ভাবে স্কুলে দান করেন এবং ভবিষ্যতে আর দাবি করবেন না বলে লিখিত দেন জাহিদ মাস্টারের চাচা ফজলুল হক হাওলাদার।
সরেজমিনে গিয়ে জানা গেছে, গত ৫ আগস্ট সরকার পতনের পরে জাহিদ মাস্টার তার দল বিএনপির প্রভাব দেখিয়ে স্কুলের জায়গা দখলের জন্য পায়তারা করতে থাকে। গত ২৯ মার্চ সেহরির পরে জাহিদ মাস্টার তার ভাই মিজানুর রহমান ও তার ভাতিজা মিঠু হাওলাদার সহ তাদের দলবল নিয়ে জোরপূর্বক বিদ্যালয় মাঠের মধ্যে ঘর নির্মান করেন। এছাড়া পাশেই মন্টু খানের ঘর ভাংচুর করে রাস্তার উপর ফেলে রেখে সেখানে ঘর নির্মান করেন। বিষয়টি তাৎক্ষণিক ভাবে ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতিকে জানানো হলে সে জাহিদ মাস্টার কে জোরপূর্বক ঘর তুলতে নিষেধ করলেও জাহিদ মাস্টার তাকে উপেক্ষা করে ঘর নির্মাণ অব্যাহত রেখেছে।
এবিষয়ে আঠারগাছিয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মজিবুর রহমান জানান, জাহিদ মাস্টার লোকজন নিয়ে বিদ্যালয়ের মাঠ দখল করার সংবাদ পেয়ে বিষয়টি আমাতলী নির্বাহী কর্মকর্তা ও থানায় অভিযোগ দায়ের করি। ঘটনাস্থলে পুলিশ ঘটনার সত্যতা পেয়ে ঘর নির্মাণ করতে বাঁধা প্রদান করে আসে। পুলিশের নির্দেশনা উপেক্ষা করে জাহিদ মাস্টার দেশীয় অস্ত্র সহ তার বাহিনী নিয়ে বিদ্যালয়ের মাঠ দখল করে ঘর নির্মাণ অব্যাহত রেখেছে। এবিষয়ে পুনরায় আমতলী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার নিকট অভিযোগ দায়ের করেছি।
এবিষয়ে আমতলী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার দ্বায়িত্ব থাকা সহকারী কমিশনার ভূমি তারেক হাসান বলেন, আঠারোগাছিয়া বিদ্যালয় মাঠে ঘর নির্মাণের অভিযোগ পেয়েছি। ঘটনাস্হলে পুলিশ পাঠিয়ে নির্মাণ কাজ বন্ধ করা হয়েছিল। পবিত্র ঈদুল ফিতরের বন্ধের সুযোগ নিয়ে ঘর নির্মাণ করার আরও একটি অভিযোগ পেয়েছি।
তিনি আরো বলেন বিদ্যালয় মাঠ দখল করে ব্যক্তিগত ভাবে ঘর নির্মাণের সুযোগ নেই। বিষয়টি নিয়ে আমরা কাজ করতেছি। জমিজমার কাগজপত্র যাচাই-বাছাই সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে ।