গোপাল হালদার, পটুয়াখালী:
কুয়াকাটা পৌর বিএনপির সভাপতি আবদুল আজিজ মুসুল্লীর বিরুদ্ধে জমি দখল সংক্রান্ত মিথ্যা ও বিভ্রান্তিমূলক তথ্য প্রচারের অভিযোগ উঠেছে।
বৃহস্পতিবার বিকেলে পটুয়াখালী জেলা প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে মোঃ আবুল কালাম কাজী এ অভিযোগ করেন।
সংবাদ সম্মেলনে মোঃ আবুল কালাম কাজী বলেন, তিনি সহ আরও অনেকে ২০০৬, ২০০৭ এবং ২০০৮ সালে পটুয়াখালীর লতাচাপলী মৌজায় এস.এ ৯৬৪ নং খতিয়ানের অধীন ২ একর ৩১ শতক জমি মালিক আবদুর রশিদ মোল্লার কাছ থেকে ক্রয় করেন এবং দীর্ঘদিন ভোগদখলে ছিলেন। তবে ২০১০ সালে আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় আসার পর কিছু কুচক্রি মহল ভিত্তিহীন ও বানোয়াট কাগজপত্র তৈরি করে জাতীয় পার্টির নেতা এ.বি.এম রুহুল আমিন হাওলাদার এই জমি দখল করে নেয়।
তিনি আরও জানান, গত ৫ আগস্ট সরকার পতনের পর তারা তাদের জমি পুনরুদ্ধার করেন এবং ৮ মার্চ জমির সীমানা নির্ধারণ করে পিলার ও সাইনবোর্ড স্থাপন করেন। পরদিন ৯ মার্চ পৌর বিএনপির সভাপতি আবদুল আজিজ মুসুল্লী, তার ভাতিজা জয় বাংলা ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক মিজান মুসুল্লী, জাহাঙ্গীর শেখ, শাহজাহান মুসুল্লী, জাহাঙ্গীর খা এবং রুহুল আমিন হাওলাদারের হোটেলের ৪-৫ জন কর্মচারী মিলে জোরপূর্বক পিলার ও সাইনবোর্ড তুলে নেয়।
এ সময় জমির মূল মালিক আবদুল রশিদ মোল্লা ও তার ছেলে মঞ্জু মোল্লা এবং স্থানীয় এলাকাবাসী এর প্রতিবাদ করেন এবং তাৎক্ষণিকভাবে পুরো ঘটনা ভিডিও ধারণ করেন, যা বিভিন্ন মিডিয়ায় প্রচারিত হয়েছে।
সংবাদ সম্মেলনে আবুল কালাম কাজী অভিযোগ করেন, ঘটনার পরপরই আজিজ মুসুল্লী ক্ষুব্ধ হয়ে তাদের বিরুদ্ধে মিথ্যা তথ্য প্রচার করে ১২ মার্চ সাংবাদিক সম্মেলন করেন। তিনি আজিজ মুসুল্লীর ওই সংবাদ সম্মেলনকে মিথ্যা, বানোয়াট ও বিভ্রান্তিমূলক উল্লেখ করে এর তীব্র প্রতিবাদ জানান।
এ বিষয়ে আবুবকর সিদ্দিক মোল্লা অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, তাঁর ও তাঁর বাবার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ মিথ্যা ও ভিত্তিহীন। তিনি কখনো আওয়ামী লীগের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন না এবং ভাইরাল হওয়া জমিতে কোনো সাইনবোর্ড দেননি।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে আজিজ মুসুল্লী বলেন, জমি দখলের অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা ও বিভ্রান্তিমূলক। তিনি কোনো অবৈধ দখলের সঙ্গে জড়িত নন, বরং সত্য আড়াল করতেই তার বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালানো হচ্ছে।