গোপাল হালদার, পটুয়াখালী::
পটুয়াখালীর মির্জাগঞ্জে বিএনপির আয়োজিত ইফতার মাহফিলে উপজেলার চেয়ারম্যান ও আওয়ামী লীগের নেতা মোহাম্মদ আনোয়ার হোসেন খানের উপস্থিতি নিয়ে রাজনৈতিক মহলে আলোচনা শুরু হয়েছে। বিএনপির একাংশ এতে ক্ষোভ প্রকাশ করলেও অনেকে এটিকে রাজনৈতিক কৌশল বলছেন।
গতকাল দেউলী সুবিদখালী ইউনিয়ন বিএনপির আয়োজনে ইফতার মাহফিল ও আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন উপজেলা বিএনপির সভাপতি মো. সাহাবুদ্দিন নান্নু। সেখানে প্রধান অতিথি ছিলেন জেলা বিএনপির সদস্যসচিব স্নেহাংশু সরকার কুট্টি। বিশেষ অতিথি ছিলেন জেলা বিএনপির সদস্য মোশতাক আহমেদ পিনু, জেলা যুবদলের সভাপতি মনিরুল ইসলাম লিটন।
আলোচনা সভার সময় মঞ্চের পেছনের সারিতে বসে ছিলেন উপজেলা চেয়ারম্যান ও আওয়ামী লীগের নেতা মোহাম্মদ আনোয়ার হোসেন খান। এ ঘটনায় স্থানীয় বিএনপি নেতাকর্মীদের মধ্যে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা গেছে।
এ বিষয়ে মির্জাগঞ্জ উপজেলা বিএনপির সভাপতি মো. সাহাবুদ্দিন নান্নু বলেন, “উনি আমাদের আমন্ত্রিত অতিথি ছিলেন না। বিএনপির পক্ষ থেকে তাঁকে কোনো দাওয়াত দেওয়া হয়নি। এটি উন্মুক্ত ইফতার মাহফিল ছিল, যেখানে সাধারণ মানুষও উপস্থিত ছিলেন। তবে, যদি আমাদের দলের কেউ ব্যক্তিগতভাবে আমন্ত্রণ জানিয়ে থাকে, তাহলে সেটা দলীয় সিদ্ধান্তের বাইরে হয়েছে। আমরা বিষয়টি খতিয়ে দেখছি এবং প্রয়োজনীয় সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
মির্জাগঞ্জ উপজেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক মো. জাহাঙ্গীর আলম ফরাজি বলেন, “বিএনপির অনুষ্ঠানে আওয়ামী লীগের প্রথম সারির নেতা ও নৌকা প্রতীক নিয়ে নির্বাচিত চেয়ারম্যানের উপস্থিতি কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়। বিষয়টি কেন্দ্রীয় নেতাদের জানানো হবে এবং সাংগঠনিকভাবে খতিয়ে দেখা হবে।”
এ বিষয়ে উপজেলা চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আনোয়ার হোসেন খান বলেন, “উপজেলা পরিষদের সবাইকে মিলাদ ও ইফতারে দাওয়াত দেওয়া হয়েছিল, সেই হিসেবে গিয়েছি। না গেলে তো সমালোচনা হতো। আমার অবস্থান মঞ্চ থেকে ১০ ফুট দূরে ছিল। এখন না গেলে আবার বলতো, সবাই এসেছে, চেয়ারম্যান আসেননি।”
#