সানাউল্লাহ রেজা শাদ, বরগুনা:
বরগুনার পাথরঘাটায় জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর অনুষ্ঠান শেষ করে শশুর বাড়ি ফেরার পথে দুর্বিত্তদের হামলায় নাসির হাওলাদার (৩৮) নামে এক যুবদল নেতার মৃত্যু হয়েছে।
বুধবার দুপুর আড়াইটার দিকে পাথরঘাটা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের দায়িত্ব চিকিৎসক নাসিরকে মৃত ঘোষণা করেন।
এর আগে দুপুর দেড়টার দিকে কালমেঘা ইউনিয়নের ৮ নম্বর ওয়ার্ডের সত্তার মেলেটারির বাড়ির সামনে নাসিরকে কুপিয়ে পায়ের রক বিচ্ছিন্ন করে ফেলে রেখে যায় দূর্বত্তরা। খবর পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন বরগুনা পুলিশ সুপার ইব্রাহিম খলিল, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার পাথরঘাটা সার্কেল মোহাম্মদ আবু ছালেহ। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন পাথরঘাটা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি মোহাম্মদ মেহেদী হাসান।
নাসির হাওলাদার পাথরঘাটা পৌর এলাকার ৯ নম্বর ওয়ার্ডের শাহজাহান হাওলাদারের ছেলে এবং ওয়ার্ড যুবদলের সদস্য।
অভিযুক্ত রাব্বি, মাহবুব হোসেনের ছেলে ও হাসান, ফরিদ গাজীর ছেলে। এদের বাড়ি উপজেলার কালমেঘা ইউনিয়নের ৮ নম্বর ওয়ার্ডে।
পাথরঘাটা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডাঃ শাহাদাত হোসেন জানান, নাসিরকে মৃত অবস্থায় হাসপাতালে আনা হয়েছে। তার দুই পায়ের রক কাটা ছিল। অতিরিক্ত রক্তক্ষরণে তার মৃত্যু হয়েছে।
প্রত্যক্ষদর্শী আনসার মোল্লা বলেন, দুপুরে বাড়ির সামনে ডাক চিৎকার শুনে ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখি নাসির রাস্তার পাশে রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে আছে। এ সময় ঘটনা স্থল থেকে রাব্বি এবং হাসানকে মোটরসাইকেলে করে দ্রুত পালিয়ে যাচ্ছে। এসময় রাব্বির হাতে একটি রামদা ছিল। এর আগেও একাধিক মটরসাইকেল ঐ এলাকা থেকে দ্রুত চলে গেছে।
পাথরঘাটা উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক চৌধুরী মোহাম্মদ ফারুক জানান, নাসির যুবদলের কর্মী। দলীয় প্রোগ্রাম শেষে নাসির তার শ্বশুর বাড়ি যাওয়ার পথে তার মোটরসাইকেলের গতি রোধ করে ৮-১০ জনের একটি গ্রুপ তাকে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে ফেলে যায়। অভিযুক্তরা আগে ছাত্রলীগের রাজনীতির সাথে জড়িত থাকলেও বর্তমানে একটি রাজনৈতিক দলের ছত্রছায়ায় এলাকায় অরাজকতা সৃষ্টি করছে বলে অভিযোগ করেন।
বরগুনা পুলিশ সুপার ইব্রাহিম খলিল জানান জানান, সিগারেট খাওয়া কে কেন্দ্র করে নাসিরের সাথে হাসানের বিরোধ হয়। এনিয়ে বুধবার সকালে স্থানীয়রা সালিশ বৈঠকের মাধ্যমে সমাধান করা হয়। এতে হাসান সন্তুষ্ট না হওয়ায় রাব্বি সহ ৮ থেকে দশজন নাসিরকে কুপিয়ে হত্যা করে। ইতিমধ্যে অভিযুক্ত রাব্বির বাবা মাহবুবকে পুলিশ আকট করেছে। বাকিদের আটকের জন্য অভিযান চলছে।