আল আমিন, নাটোর প্রতিনিধি :
নাটোরের বড়াইগ্রামে তৃতীয় দফায় যৌতুক দিতে না পারায় স্ত্রীকে তালাক দিয়েছেন স্বামী আনিসুর রহমান। এ ঘটনায় বিচার পেতে আদালতে মামলার পাশাপাশি স্বামী ও সংসার ফিরে পেতে দ্বারে দ্বারে ঘুরছেন গৃহবধূ ফরিদা খাতুন।
উক্ত গৃহবধূ সোস্যাল এডভান্সমেন্ট গ্রু ইউনিটি (সেতু) নামে একটি এনজিওতে এবং আনিসুর রহমান পল্লী সঞ্চয় ব্যাংকে মাঠকর্মী হিসাবে কর্মরত।
জানা গেছে, ২০১৯ সালের ২৮ ফেব্রুয়ারি উপজেলার মেরিগাছা গ্রামের রইস উদ্দিনের ছেলে আনিসুর রহমানের সঙ্গে ফরিদা খাতুনের বিয়ে হয়। বিয়ের সময় ফরিদার বাবা আনিসুরকে আড়াই লাখ টাকা যৌতুক দেন। কিন্তু বছর না ঘুরতেই আনিসুর আরও এক লাখ টাকা যৌতুকের দাবি তুলে ফরিদাকে তালাক দেন। পরে পারিবারিকভাবে বসে চাহিদামতো এক লাখ টাকা যৌতুক দিয়ে তাদের পুনরায় বিয়ে পড়ানো হয়। এছাড়া সংসারের ঋণ পরিশোধের জন্য ফরিদার গহনা বিক্রিসহ বেতনের প্রায় পাঁচ লাখ টাকা নেয় আনিসুর। ২০২৪ সালের শুরু থেকে আরও চার লাখ টাকা যৌতুকের দাবিতে বিভিন্ন সময় মারধর করেন আনিসুর। যৌতুক না পেয়ে ৫ মে ফরিদাকে তালাক দেয় আনিসুর।
ফরিদা খাতুন বলেন, আমি শুধু স্বামীর সঙ্গে সংসার করতে চাই, স্বামীর স্বীকৃতিটুকু চাই। অভিযুক্ত আনিসুর রহমান যৌতুকের কথা অস্বীকার করে বলেন, তার সঙ্গে বনিবনা হয় না. সংসার করাও সম্ভব না, তাই তালাক দিয়েছি।
এ বিষয়ে বড়াইগ্রাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সিরাজুল ইসলাম বলেন, আদালতে মামলা চলমান, বিষয়টি সেখানেই সমাধান হবে।