25 C
Dhaka
Thursday, October 2, 2025

নাটোরের হালতিবিলে কেমিক্যাল ছাড়াই গুনগতমানের শুঁটকি উৎপাদন

আরও পড়ুন

আল আমিন, নাটোর প্রতিনিধি :

নাটোরের নলডাঙ্গা উপজেলার হালতিবিল এলাকার শুঁটকি পল্লিতে বেড়েছে ব্যস্ততা। মিঠা পানির দেশি প্রজাতি মাছের শুঁটকি তৈরিতে ব্যস্ত সময় পার করছেন হালতি বিল এলাকার মৎস্যজীবীরা।

মৎস্য ভান্ডার হিসেবে খ্যাত বৃহৎ হালতিবিলসহ এলাকার বিভিন্ন নদ-নদী, খাল-বিল ও জলাশয়ের পানি কমতে শুরু করায় জেলেদের জালে ধরা পড়ছে দেশীয় প্রজাতির ছোট-বড় প্রচুর মাছ। হালতি বিলকে কেন্দ্র করে এর আশপাশে গড়ে উঠেছে ৩-৪টি শুঁটকি পল্লি। এসব শুঁটকিপল্লিতে মাছ শুকানোর কাজে বিষাক্ত কেমিক্যাল ব্যবহার করা হয় না।ফলে এর গুনগত মান অন্যান্য এলাকায় উৎপাদিত শুটকির চেয়ে ভালো।

সরেজমিনে দেখা যায়, উপজেলা হালতি, দুর্লভপুর, মাধনগরের পরিত্যক্ত জায়গায় গড়ে উঠেছে প্রায় ৩-৪টি শুঁটকি পল্লি। হালতি বিলসহ আশপাশের নদ-নদী, খাল-বিল ও জলাশয়ে জেলেদের জালে ধরা পড়া ছোট-বড় নানা প্রজাতির দেশীয় মাছ স্থানীয় চাহিদা মিটিয়ে শুঁটকি পল্লিতে সরবরাহ করছে স্থানীয় জেলেরা। শুঁটকি পল্লির নারী শ্রমিকরা সেসব মাছকে পানি দিয়ে পরিষ্কার করছেন আর পুরুষ শ্রমিকরা পরে সেগুলোকে বাঁশের উঁচু মাচায় রৌদ্রে শুকাতে ব্যস্ত হয়ে পড়েছে।

দেশীয় প্রজাতির মাছের মধ্যে রয়েছে পুঁটি, চান্দা, টেংরা ও কই মাছ। এগুলোকে রৌদ্রে শুকিয়ে শুঁটকি তৈরি করে তারপর বস্তায় সংরক্ষণ করা হচ্ছে। এভাবে কয়েক মণ শুঁটকি হলেই সেগুলোকে দেশের বিভিন্ন স্থানে বিক্রির জন্য ব্যাবসায়িদের সরবরাহ করা হচ্ছে।

দেশের অন্যান্য এলাকার চেয়ে এ অঞ্চলের শুঁটকির গুণগত মান ভালো হওয়ায় দেশের বিভিন্ন স্থানের বাজারে এর চাহিদা দিন দিন বাড়ছে।

এ বিষয়ে নলডাঙ্গা উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা সঞ্জয় কুমার বলেন, আমাদের উপজেলায় প্রায় ৫০ টন শুঁটকি উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। মানসম্মত শুঁটকি প্রস্তুত করতে শ্রমিকদের প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

- Advertisement -spot_img

সবশেষ খবর