নোয়াখালী প্রতিনিধি :
নোয়াখালী-৫ (কোম্পানীগঞ্জ-কবিরহাট-সদর আংশিক) আসনে বিএনপির মনোনীত প্রার্থী মোহাম্মদ ফখরুল ইসলাম দলের কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সহ-পল্লী উন্নয়ন বিষয়ক সম্পাদক বজলুল করিম চৌধুরী আবেদকে ‘সন্ত্রাসের গডফাদার ও চাঁদাবাজ’ আখ্যা দিয়েছেন। শুক্রবার বিকেলে সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবাদের পর আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ মন্তব্য করেন।
দৈনিক এই বাংলার সর্বশেষ খবর পেতে Google News অনুসরণ করুন
ফখরুল ইসলাম বলেন, “আমি প্রকাশ্যে বলেছি, এ অঞ্চলের সন্ত্রাসের গডফাদার আবেদ। কিন্তু আজ পর্যন্ত তিনি আমার বক্তব্যের প্রতিবাদ জানাননি। আমরা জানি, কে কার মাধ্যমে কত চাঁদার টাকা নেয়।”
তিনি আরও দাবি করেন, “চাঁদাবাজি ছাড়া আবেদের কোনো সুনির্দিষ্ট পেশা নেই। আমি প্রায় ৪০ বছর ধরে ব্যবসা করছি, কিন্তু তিনি কী করেন? আমি চ্যালেঞ্জ করছি—তার প্রকৃত পেশা চাঁদাবাজি ছাড়া আর কিছু নয়।”
সংবাদ সম্মেলনে তিনি অভিযোগ করেন, দলের ভেতর কিছু কুচক্রী মহল দলে থেকে দলের বিরুদ্ধেই কাজ করছে। তাদের কারণে সংগঠন বিতর্কিত হচ্ছে। “আমার মনোনয়ন ঘোষণার পর থেকেই চাঁদাবাজ ও টেন্ডারবাজরা আতঙ্কিত হয়ে পড়েছে,” বলেন তিনি।
নিজের অবস্থান পরিষ্কার করে ফখরুল ইসলাম বলেন, “আমি কোনো অনিয়ম বা অন্ধকার জগতের ব্যবসার সঙ্গে জড়িত নই। কেউ প্রমাণ করতে পারলে আমি রাজনীতি ছেড়ে দেব। রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে কিছু মহল পরিস্থিতি ঘোলাটে করার চেষ্টা করছে।”
সংবাদ সম্মেলনের পর আবেদের প্রতিক্রিয়া জানতে তার মুঠোফোনে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তিনি ফোন ধরেননি।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি আব্দুল হাই সেলিম, সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক আফতাব আহমেদ বাচ্চু, ও বসুরহাট পৌর বিএনপির সদস্য সচিব আবদুল্লাহ আল মামুনসহ স্থানীয় বিএনপি নেতৃবৃন্দ।
এই অভ্যন্তরীণ বিরোধে নোয়াখালীর বিএনপি রাজনীতিতে নতুন করে উত্তাপ সৃষ্টি হয়েছে বলে স্থানীয় রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের মন্তব্য।
এই বাংলা/এমএস
টপিক
