গাজীপুর প্রতিনিধি :
গাজীপুরের শ্রীপুরে আলোচিত স্বর্ণের দোকান লুটের ঘটনায় জড়িতদের দ্রুত গ্রেপ্তার ও লুণ্ঠিত স্বর্ণ-রুপা উদ্ধারের দাবিতে সংবাদ সম্মেলন করেছেন ব্যবসায়ী গৌরাঙ্গ চন্দ্র দাস। একই সঙ্গে তার বিরুদ্ধে দায়ের করা মিথ্যা চাঁদাবাজি মামলা প্রত্যাহারের দাবিও জানান তিনি।
দৈনিক এই বাংলার সর্বশেষ খবর পেতে Google News অনুসরণ করুন
বুধবার (৫ নভেম্বর) বিকেলে গাজীপুরের হোতাপাড়া এলাকায় গাজীপুর সাংবাদিক পরিষদ কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে রিতা জুয়েলার্সের মালিক গৌরাঙ্গ চন্দ্র দাস বলেন, “দিনদুপুরে ফিল্মি কায়দায় আমার দোকানের তালা ভেঙে প্রায় ১১২ ভরি স্বর্ণ ও ১৩০০ ভরি রুপা লুট করা হয়, যার আনুমানিক বাজারমূল্য আড়াই কোটি টাকারও বেশি।”
তিনি আরও জানান, ঘটনার পর সুব্রত দাস, পায়েল সরকারসহ পাঁচজনের নাম উল্লেখ করে এবং অজ্ঞাতনামা আরও ১৫ জনকে আসামি করে শ্রীপুর থানায় মামলা দায়ের করা হয়। তবে দীর্ঘ সময় পেরিয়ে গেলেও পুলিশ এখনো কাউকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি। বরং অভিযুক্তরা প্রভাব খাটিয়ে পুলিশের সহায়তায় মিথ্যা মামলা দিয়ে তাকে ও তার পরিবারকে হয়রানি করছে বলে অভিযোগ করেন তিনি।
গৌরাঙ্গ চন্দ্র দাস বলেন, “আমি একজন সাধারণ ব্যবসায়ী, আমার জীবনের সঞ্চয় ওই দোকানেই ছিল। লুটের ঘটনার পর আমি নিঃস্ব হয়ে গেছি। প্রশাসনের কাছে আমার একটাই দাবি—অভিযুক্তদের দ্রুত গ্রেপ্তার করে আমার হারানো স্বর্ণ ও রুপা উদ্ধার করা হোক।”
সংবাদ সম্মেলনে স্থানীয় ব্যবসায়ী নেতা হেলাল উদ্দিন, তার ছেলে হৃদয়সহ অন্যান্য ব্যবসায়ী উপস্থিত ছিলেন। তারা অভিযোগ করেন, “সাবেক আওয়ামী লীগ নেতা মোশাররফ সরকারের দ্বিতীয় স্ত্রী পায়েল সরকারের নেতৃত্বে এ লুটের ঘটনা ঘটেছে। পায়েল ও সুব্রতসহ অন্যান্য আসামিরা প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়ালেও পুলিশ তাদের ধরছে না। বরং আমাদের বিরুদ্ধেই মিথ্যা চাঁদাবাজি মামলা দেওয়া হয়েছে।”
ব্যবসায়ীরা প্রশাসনের কাছে এসব মামলার তদন্ত সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষভাবে সম্পন্ন করে দোষীদের শাস্তি নিশ্চিতের দাবি জানান।
