খাগড়াছড়ি প্রতিনিধি :
আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে পার্বত্য তিন জেলার জন্য প্রার্থী ঘোষণা করেছে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি)।
দৈনিক এই বাংলার সর্বশেষ খবর পেতে Google News অনুসরণ করুন
ঘোষণা অনুযায়ী— খাগড়াছড়ি-২৯৮ আসনে প্রার্থী হয়েছেন আবদুল ওয়াদুদ ভূঁইয়া, বান্দরবানে মনোনয়ন পেয়েছেন সাবেক সংসদ সদস্য সাচিং প্রু জেরী, এবং রাঙামাটিতে প্রার্থী হয়েছেন সাবেক যুগ্ম জেলা জজ ও কেন্দ্রীয় বিএনপির ধর্মবিষয়ক সহ-সম্পাদক অ্যাডভোকেট দীপেন দেওয়ান।
মঙ্গলবার বিকেলে গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সারা দেশের সম্ভাব্য প্রার্থীদের নাম ঘোষণা করেন। ধারাবাহিকভাবে বিভিন্ন অঞ্চলের প্রার্থীদের নাম প্রকাশের সময় খাগড়াছড়ির জন্য ওয়াদুদ ভূঁইয়ার নাম ঘোষণা করা হয়।
১৯৮৯ সালে খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলা পরিষদের সদস্য হিসেবে নির্বাচিত হন ওয়াদুদ ভূঁইয়া। পরবর্তীতে ২০০১ সালের অষ্টম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে একই আসন থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। বর্তমানে তিনি কেন্দ্রীয় বিএনপির কর্মসংস্থান বিষয়ক সহ-সম্পাদক এবং খাগড়াছড়ি জেলা বিএনপির সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।
দলীয় সূত্রে জানা যায়, গত ১৭ বছর ধরে আওয়ামী লীগবিরোধী আন্দোলনে সক্রিয় থেকে তিনি নানা প্রতিকূল পরিস্থিতির মধ্যেও সংগঠনকে ঐক্যবদ্ধ রেখেছেন। এজন্য তাঁকে “ত্যাগ ও সংগ্রামের প্রতীক” হিসেবেও বিবেচনা করা হচ্ছে।
অন্যদিকে, রাঙামাটি আসনে মনোনয়ন পেয়েছেন অ্যাডভোকেট দীপেন দেওয়ান। তিনি প্রয়াত সুবিমল দেওয়ানের পুত্র, যিনি শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান সরকারের উপদেষ্টা ছিলেন। দীপেন দেওয়ান ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের সাবেক শিক্ষার্থী ও ৭ম বিসিএসের মাধ্যমে বিচার বিভাগে যোগ দেন এবং ১৯ বছর জুডিশিয়ারিতে দায়িত্ব পালন করেন। পরবর্তীতে তিনি রাঙামাটি জেলা বিএনপির সভাপতি ও রাঙামাটি আইন কলেজের প্রতিষ্ঠাতা সদস্য হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছেন।
রাঙামাটিতে এর আগে ২০০১ সালের নির্বাচনে বিএনপির প্রার্থী মনি স্বপন দেওয়ান বিজয়ী হয়েছিলেন, আর ২০০৮ সালের নির্বাচনে বিএনপি মনোনীত প্রার্থী ছিলেন দীপেন দেওয়ানের স্ত্রী মৈত্রী চাকমা।
অন্যদিকে বান্দরবান আসনে বিএনপির প্রার্থী হয়েছেন সাবেক সংসদ সদস্য সাচিং প্রু জেরী। তিনি ১৯৯৬ সালের ফেব্রুয়ারিতে অনুষ্ঠিত ষষ্ঠ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন এবং পরবর্তীতে বান্দরবান সদর উপজেলা চেয়ারম্যান ও জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেন। তাঁর পিতা অং শৈ প্রু চৌধুরী ১৯৮৮ সালের নির্বাচনে একই আসনে বিএনপির প্রার্থী হয়ে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছিলেন।
এই বাংলা/এমএস
টপিক
