আল আমিন,নাটোর প্রতিনিধি :-
নাটোর জেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক ও নাটোর সদর উপজেলা পরিষদের নব-নির্বাচিত চেয়ারম্যান মোঃ শরিফুল ইসলাম রমজানের পক্ষে ভোট করায় রুবেল ইসলাম নামের এক কর্মীকে মারপিট ও জখমের ঘটনায় পরাজিত চেয়ারম্যান প্রার্থী জামিল হোসেন মিলন ও তার গাড়ী চালক বাশারকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
গতকাল রাতে মিলনের তালতলা হাফরাস্তা চেম্বার থেকে তাদের গ্রেফতার করা হয়। এই ঘটনায় মিলনকে প্রধান আসামী করে ১২জনের নাম উল্লেখ করে মামলা করেছে রুবেল ইসলাম গাজীর পিতা আলম গাজী।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন পুলিশ সুপার তারিকুল ইসলাম।
পুলিশ ও এলাকাবাসী সূত্র জানায়, নাটোর জেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক ও নাটোর সদর উপজেলা পরিষদের নব-নির্বাচিত চেয়ারম্যান শরিফুল ইসলাম রমজান এর কাপ পিরিচ মার্কায় ভোট করেন তালতলা হাফরাস্তা এলাকার রুবেল ইসলাম। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে গতরাত ৯টার দিকে পরাজিত চেয়ারম্যান প্রার্থী জামিল হোসেন মিলন ও তার সমর্থকরা রুবেল ইসলামকে বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে যায় মিলনের চেম্বারে। সেখানে ব্যাপক মারপিট করা হয় রুবেলকে। এসময় হাত, পা ও মাথায় গুরুতর জখম করা হয়।
পরে নাটোর ডিবি ও সদর থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে মিলনের চেম্বার থেকে রুবেল ইসলামকে গুরুতর জখম অবস্থায় উদ্ধার করে সদর হাসপাতালে ভর্তি করে। এসময় ঘটনাস্থল থেকে পুলিশ প্রথমে মিলনের গাড়ী চালক বাশারকে আটক করে। পরে রাতেই অভিযান চালিয়ে মিলনকে সদর থানায় নেওয়া হয়।
নাটোরের পুলিশ সুপার তারিকুল ইসলাম জানান, মিলনকে প্রধান আসামী করে ১২জনের নাম উল্লেখ করে থানায় মামলা করেছে ভুক্তভোগি। সেই মামলায় মিলন ও তার গাড়ী চালককে গ্রেফতার করা হয়েছে। বাঁকিদের গ্রেফতারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।আজ সকালে তাদের আদালতে পাঠানো হয়েছে।
উল্লেখ্য জামিল হোসেন মিলন সদ্য সমাপ্ত উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে অংশগ্রহণ করে পরাজিত হয়েছেন।
এইবাংলা /নাদিরা শিমু/Ns