25.6 C
Dhaka
Thursday, October 2, 2025

এবার আগুনে পুড়েছে চট্টগ্রামে এসআলম গ্রুপের চিনির কারখানা

পুড়েছে এক লাখ টন কাঁচা চিনি

আরও পড়ুন

নিজস্ব প্রতিবেদক :::

চট্টগ্রাম নগরের কর্ণফুলী উপজেলার চরলক্ষ্যা এলাকায় এস আলম রিফাইন্ড সুগার মিলের আগুন নিয়ন্ত্রণে যুক্ত হয় ফায়ার সার্ভিসের  ৭টি ইউনিট। রাত পৌনে দশটার পর্যন্ত  আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হয় নি। আগুনে ক্ষয়ক্ষতির পরিমান নিয়ে মুখ খুলেনি  একই সঙ্গে পাওয়া যায়নি হতাহতের কোনো খবরও।

সোমবার (৪ মার্চ) বিকেল ৩টা ৫৩ মিনিটে দেশের শীর্ষস্থানীয় শিল্পগোষ্ঠী এস আলম গ্রুপের এই চিনিকলের একটি গুদামে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। বিকেল ৪টার দিকে খবর পেয়ে শুরুতে দুটি ইউনিট, পরে আরো ৫টি ইউনিটসহ মোট ৭টি ইউনিট আগুন নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করে।

কর্ণফুলী নদীর পাশে ইছানগর এলাকায় চিনি কারখানাটিতে বিপুল পরিমাণ চিনির কাঁচামাল মজুত ছিল। সম্প্রতি ব্রাজিল থেকে আনা ১ লাখ টন অপরিশোধিত চিনি সেখানে রাখা হয়েছিল। যেগুলো পুড়েছে বলে জানিয়েছেন কারখানাটির কর্মকর্তারা।অগ্নিকাণ্ডের ঘটনাটি পরিকল্পিত কিনা সেই বিষয়ও ভাবাচ্ছে প্রশাসনকে। রজমানের আগে চিনির কারখানায় আগুনের কারণে এস আলম গ্রুপের পাশাপাশি  খাতুনগন্জের অনেক ব্যবসায়ী ক্ষতিগ্রস্ত হবেন। রমজানের আগে চিনি দাম বাড়ানোর প্রবণতা দীর্ঘদিনের। এখন আগুনে পুড়ে যাবার কারণে সরবরাহে ঘাটতি দেখা দিতে পারে এমন বিশ্লেষণ বিশ্লেষকদের।

আগ্রাবাদ ফায়ার সার্ভিস কন্ট্রোল রুম থেকে জানানো হয়েছে, আগুন লাগার পর খবর পেয়ে বিকেল ৪টা থেকে ফায়ার সার্ভিসের ৭টি ইউনিট আগুন নেভাতে কাজ করে। পরে আগুন নিয়ন্ত্রণে না আসায় আরও ৭টি ইউনিট যুক্ত হয়। সাড়ে নয়টা পর্যন্ত আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে ঘটনাস্থলে কাজ করছে মোট ১৪টি ইউনিট। কীভাবে আগুনের সূত্রপাত হয়েছে তা জানা যায়নি।

এবার এস আলমের সুগার রিফাইনারিতে আগুন
কর্ণফুলী ফায়ার সার্ভিসের ইনচার্জ বরঞ্জীব বড়ুয়া  বলেন, ‘আমরা এখনো কাজ করছি। আগুন নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব হচ্ছে না।’

এস আলম গ্রুপের কর্মকর্তারা জানান, ওই চিনিকলে আমদানি করা কাঁচা চিনি পরিশোধন করা হয়। সেখানকার একটি গুদামে এক লাখ মেট্রিকটন অপরিশোধিত চিনি ছিল। সেগুলো সবই পুড়ে গেছে। আসন্ন রোজার জন্য এসব চিনি আমদানি করা হয়েছিল। বৈদ্যুতিক শটসার্কিট থেকে আগুনের সূত্রপাত বলে ধারণা করছেন তাঁরা।

ক্ষতিগ্রস্ত কারখানা পরিদর্শন করে এস আলম গ্রুপের চেয়ারম্যান সাইফুল আলম মাসুদ বলেন, ‘কিছু অসাধু ব্যবসায়ী আছেন যারা চিনির কারখানার আগুনকে পুঁজি করতে চান। তবে আমাদের কাছে ইতোমধ্যেই সরবরাহ করার জন্য চিনির পর্যাপ্ত স্টক রয়েছে। কিছু দিনের মধ্যে এগুলো ঠিক হয়ে যাবে।’

এর আগে, গত শুক্রবার বাকলিয়া এক্সেস রোডের একটি হিমাগারে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। যদিও হিমাগারটি নিজেদের নয় বলে দাবি করেছিল এস আলম গ্রুপ। চট্টগ্রামের পাইকারি বাজারে চিনি,তেল, আদা-ময়দাসহ ভোগ্যপণ্যের বাজার নিয়ন্ত্রণ করে থাকে কয়েকটি প্রতিষ্ঠান। অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা সেই সিন্ডিকেটের কারসাজি কিনা সেটি খতিয়ে দেখা প্রয়োজন বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

- Advertisement -spot_img

সবশেষ খবর