কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি :
কুড়িগ্রামের প্রান্তিক এলাকায় টানা বৃষ্টির কারণে জনজীবন ব্যাপকভাবে প্রভাবিত হয়েছে। কার্তিক মাসের মাঝামাঝি সময়ে ধান কাটার প্রস্তুতি চলার সময়ই উত্তরাঞ্চলে শুরু হয়েছে তিন দিনের বিরামহীন বৃষ্টি। এর ফলে আমন ধান ক্ষেত ঝরে পড়েছে, জমিতে পানি জমে আগাম শাক-সবজি ও আলুর চারা নষ্ট হওয়ার শঙ্কা তৈরি হয়েছে।
দৈনিক এই বাংলার সর্বশেষ খবর পেতে Google News অনুসরণ করুন
গত বৃহস্পতিবার রাত থেকে শনিবার (০১ নভেম্বর) দুপুর পর্যন্ত কুড়িগ্রামের বিভিন্ন এলাকায় বৃষ্টি ও ঠান্ডা বাতাসে দিনমজুর ও কৃষকরা বিপাকে পড়েছেন। হাট-বাজারে ভিড় কমে গেছে, দিনমজুররা কাজ না পেয়ে ঘরে বসে সময় কাটাচ্ছেন। এতে পরিবারগুলোর আয় ও জীবনযাত্রায় অনিশ্চয়তা তৈরি হয়েছে।
স্থানীয় কৃষকরা জানিয়েছেন, এই সময়টায় ধান কাটা শুরু হওয়া উচিত। কিন্তু বৃষ্টিতে অনেক ক্ষেতেই ধান হেলে পড়েছে, ফলে ধান কাটার কাজ ব্যাহত হচ্ছে। আগাম আলু ও শাক-সবজি রোপণকারীরাও ফসলের ক্ষতির শঙ্কায় রয়েছেন। আব্দুল হাকিম জানান, “বৃষ্টি শুরু হওয়ায় ধান ক্ষেত ভিজে গেছে, শুকানো সম্ভব হচ্ছে না। আলুর চারা নিয়েও চিন্তিত আছি।”
কৃষি বিভাগ জানাচ্ছে, বর্তমানে বৃষ্টি ‘সহনীয় মাত্রায়’ রয়েছে। ভারি বর্ষণ না হওয়ায় ফসলের বড় ধরনের ক্ষতি হওয়ার আশঙ্কা নেই। রংপুর কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের অতিরিক্ত পরিচালক সিরাজুল ইসলাম জানিয়েছেন, “বৃষ্টি কিছুটা অসুবিধা সৃষ্টি করলেও এখনও ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হয়নি। পানি দ্রুত নেমে গেলে ক্ষতির সম্ভাবনা থাকবে না।”
এদিকে, কুড়িগ্রামের রাজারহাট উপজেলার আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সুবল চন্দ্র সরকার জানিয়েছেন, আগামী রবিবার থেকে বৃষ্টি কমে আসবে। তবে আকাশ আংশিক মেঘলা থাকবে এবং উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলে দিনের তাপমাত্রা কিছুটা কমে শীতের অনুভূতি বাড়বে।
এই বাংলা/এমএস
টপিক
