24.3 C
Dhaka
Friday, October 3, 2025

চট্টগ্রাম মহানগর ছাত্রলীগের পদ পেতে চান ১৩২৫ জন

আরও পড়ুন

নিজস্ব প্রতিবেদক :::

চট্টগ্রাম মহানগর ছাত্রলীগের নতুন কমিটি গঠন প্রক্রিয়া শুরু হওয়ার পর সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক পদে আগ্রহীদের কাছ থেকে বায়োডাটা আহ্বান করেছে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ। গত ১০ ফেব্রুয়ারি থেকে গতকাল পর্যন্ত ১১ দিনে ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে দুই পদে বায়োডাটা জমা দিয়েছেন ১৩২৫ জন পদ প্রত্যাশী।

কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ সুত্রে জানা যায়, গতকাল শেষ দিনে পদ প্রত্যাশীদের ভিড় থাকায় কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ আরো দুদিন সময় বাড়িয়ে ২২ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত করেছেন। এই দুইদিনে মিলে পদ প্রত্যাশীর সংখ্যা ২ হাজার ছাড়িয়ে যেতে পারে বলে জানান কেন্দ্রীয় নেতারা।

দীর্ঘদিন থেকে নতুন কমিটি গঠন না হওয়ায়  পদপদবী না পেয়ে অনেক ছাত্রনেতাদের  ছাত্রত্ব শেষ হয়েছে। তবে নেতৃত্বের সংকট নেই দাবি করেছেন কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের নেতারা। সুত্রমতে চট্টগ্রাম সরকারি সিটি কলেজ, এমইএস কলেজ, ইসলামিয়া কলেজ থেকে একজনকে আহবায়ক  অথবা সদস্য সচিব  করা হতে পারে। একই সাথে চট্টগ্রাম কলেজ ও মহসিন কলেজ  থেকে এবার সুপার ফাইভে অন্তত তিনজনের নাম থাকতে পারে৷ দীর্ঘদিন জামাত শিবির অধ্যুষিত থাকার পর কলেজ দুটি নিয়ন্ত্রণ আসে ছাত্রলীগের হাতে।

গত পনের বছর আওয়ামী লীগের কিছুটা গতি হলেও নগর ছাত্রলীগের কমিটি নেই ৯ বছর। ফলে বিভক্ত ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা। মুলত ৩৮ বছর সম্মেলন ছাড়াই চলছে মহানগর কমিটি। কেন্দ্র থেকে মহানগরে এ পর্যন্ত চারটি কমিটি দেওয়া হয়েছে। বিদ্যমান যে এক বছর মেয়াদী নগর ছাত্রলীগের কমিটি, সেটিও পার করছে দশ বছর। তবুও নেই সম্মেলনের কোনো উদ্যোগ।

এদিকে,  বিংশ শতাব্দীর পর সবেমাত্র তিনটি কমিটি পেয়েছে চট্টগ্রাম নগর ছাত্রলীগ। এরমধ্যে একটি স্টিয়ারিং কমিটি ও বাকি দুটি পূর্ণাঙ্গ। সেই ২৩ বছরের হিসেবে দেখা গেছে, পদগুলোর মধ্যে বেশিরভাগ কমিটির প্রধান পদগুলো ভাগাভাগি হয়েছে চট্টগ্রাম শহরের রাজনীতির আতুঁড়ঘর নামে খ্যাত ওমরগণি এমইএস কলেজ এবং সরকারি সিটি কলেজের নেতাকর্মীরা। তবে চট্টগ্রাম কলেজ ও মহসিন কলেজে নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠিত হবার কারণে এই নতুন কমিটির বেলায় সেই চিরচারিত নীতি ভাঙার একটা সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে। বর্তমানে দুই কলেজের বাইরে তৈরি হয়েছে নেতৃত্বযোগ্য নেতা। তাই গ্রুপ লিডাররাও দুই কলেজের বাইরে গিয়ে নতুন চিন্তা করছেন—এমনটাই চর্চা হচ্ছে রাজনীতিপাড়ায়।

আ জ ম নাসির গ্রুপের পক্ষ থেকে আলোচনায় আছেন বাকলিয়া সরকারি কলেজ ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ও নগর ছাত্রলীগের উপসম্পাদক রাশেদ চৌধুরী,  নগর ছাত্রলীগের সহ-সম্পাদক শৈবাল দাশ, উপসম্পাদক ইমরান আলী মাসুদ, নাছির উদ্দিন কুতুবী, হুমায়ুন কবির আজাদ, সহসম্পাদক অরভিন সাকিব ইভান, ওসমান গনি, ফাহাদ আনিস ও কোতোয়ালী থানা ছাত্রলীগের সভাপতি অনিন্দ্য দেব।

প্রসঙ্গত, সর্বশেষ কেন্দ্র থেকে মহানগর ছাত্রলীগের কমিটি ঘোষণা করা হয়েছিল ২০১৩ সালে। ইতোমধ্যে চারবার কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের নেতৃত্বের পরিবর্তন ঘটলেও ১০ বছর ধরে নগর ছাত্রলীগের নতুন কমিটি হয়নি।

২০১৩ সালের ২৯ অক্টোবর ইমরান আহমেদ ইমুকে সভাপতি ও নুরুল আজিম রনিকে সাধারণ সম্পাদক করে ২৪ জনের আংশিক কমিটি কেন্দ্র থেকে ঘোষণা করা হয়েছিল। এরপর ২০১৪ সালের ১১ জুলাই আগের ২৪ জনসহ ২৯১ সদস্যের নগর ছাত্রলীগের পূর্ণাঙ্গ কমিটির অনুমোদন দেয় কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ। ২০১৮ সালের ১৯ এপ্রিল ওই কমিটির সাধারণ সম্পাদক নুরুল আজিম রনি ব্যক্তিগত কারণ দেখিয়ে পদত্যাগ করেন। পরে ওই কমিটির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জাকারিয়া দস্তগীরকে সাধারণ সম্পাদক করা হয়। ছাত্রনেতাদের দেয়া তথ্যমতে, চট্টগ্রাম মহানগর ছাত্রলীগের মেয়াদোত্তীর্ণ  ২৯১ সদস্যের এই কমিটিতে ৫৬ জন বিবাহিত ও ১৬২ জন অছাত্র।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

- Advertisement -spot_img

সবশেষ খবর