খাগড়াছড়ি প্রতিনিধি :
“সাম্য ও সমতায়, দেশ গড়বে সমবায়”— এই প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে সারা দেশের মতো খাগড়াছড়িতেও উদযাপিত হয়েছে ৫৪তম জাতীয় সমবায় দিবস-২০২৫।
দৈনিক এই বাংলার সর্বশেষ খবর পেতে Google News অনুসরণ করুন
শনিবার (১ নভেম্বর) সকাল ১০টায় খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলা পরিষদ, জেলা সমবায় বিভাগ ও বিভিন্ন সমবায়ী সংগঠনের যৌথ আয়োজনে এ দিবসটি উদযাপন করা হয়। টাউন হল প্রাঙ্গণ থেকে একটি বর্ণাঢ্য র্যালি বের হয়ে শহরের প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে খাগড়াছড়ি সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় মিলনায়তনে আলোচনা সভা ও পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠিত হয়।
আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলা পরিষদের সদস্য ও বীর মুক্তিযোদ্ধা মংরাজা মংপ্রুসাইন বাহাদুর ফাউন্ডেশন চেয়ারম্যান কুমার সুইচিংপ্রু সাইন।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন খাগড়াছড়ি পৌর প্রশাসক ও স্থানীয় সরকার উপপরিচালক নাজমুন আরা সুলতানা।
বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলা পরিষদের মুখ্য নির্বাহী কর্মকর্তা (উপসচিব) মো. নোমান হোসেন, এবং খাগড়াছড়ি সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. জামাল উদ্দিন।
স্বাগত বক্তব্য রাখেন জেলা সমবায় কর্মকর্তা মো. মজিবউর রহমান খাঁন।
এছাড়া বক্তব্য দেন পার্বত্য জেলা পরিষদ সদস্য ও অধ্যাপক প্রশান্ত কুমার ত্রিপুরা, সাবেক সমবায় কর্মকর্তা রত্ন কান্তি রোয়াজা, খাগড়াছড়ি সড়ক পরিবহন সমিতির সভাপতি মো. আসলাম তালুকদার, রেনেসাঁ কো-অপারেটিভ ক্রেডিট ইউনিয়ন লিমিটেডের চেয়ারম্যান পাইসা মারমা, খাগড়াছড়ি কাঠ ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক মো. শাহ জালাল, ও সততা সমবায় সমিতির সভাপতি মো. রফিকুল ইসলাম প্রমুখ।
বক্তারা বলেন, সরকারি নীতিমালা মেনে সকল সমবায় সংগঠন পরিচালনা করা হলে খাগড়াছড়ি একটি মডেল জেলা হিসেবে গড়ে উঠবে। সমবায় মানুষের মধ্যে ঐক্য ও স্বনির্ভরতা শেখায়— যার মাধ্যমে ব্যক্তি ও সমাজের অর্থনৈতিক উন্নয়ন সম্ভব।
স্বাগত বক্তব্যে জেলা সমবায় কর্মকর্তা জানান, খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলায় বর্তমানে ৬৪৬টি নিবন্ধিত সমবায় সমিতি রয়েছে। এসব সমিতিতে সদস্য সংখ্যা ৬,৮৭৫ জন, শেয়ার মূলধন ১,৯৯২.৩৬ টাকা, সঞ্চয় আমানত ১০,৪৩৮.১১ টাকা এবং কার্যকরী মূলধন ৭,৩৪৩.৫৬ টাকা। এসব সমবায় সংগঠন স্থানীয় পর্যায়ে কর্মসংস্থান সৃষ্টি, উদ্যোক্তা গড়ে তোলা ও আর্থসামাজিক উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে।
এর আগে সকালে খাগড়াছড়ি সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে জাতীয় ও সমবায় পতাকা উত্তোলনের মাধ্যমে অনুষ্ঠানের সূচনা করা হয়। শেষে জেলার সফল সমবায়ী কর্মীদের মধ্যে সম্মাননা ক্রেস্ট প্রদান করা হয়।
এই বাংলা/এমএস
টপিক
