26 C
Dhaka
Thursday, October 2, 2025

বাঁশের সাঁকোটি এখন মরণ ফাঁদ

আরও পড়ুন

সম্রাট আলাউদ্দিন, ধামরাই

ঢাকার ধামরাইয়ে ছোট কালামপুর-দেপাশাই কারাবিল এলাকার মধ্যবর্তী বংশী নদীর ওপর ঠিকাদারের নির্মিত বাঁশের সাঁকোটি মাঝখানে ধসে যাওয়ায় এখন মরণ ফাঁদে পরিণত হয়েছে। যে কোন সময় সাঁকোটি ভেঙ্গে পড়ে কারও মৃত্যুর কারন হতে পারে। তাই এলাকাবাসীর দাবি দ্রুত বাঁশের সাঁকোটি মেরামত করে জনসাধারনকে ঝুঁকিমুক্ত করা।

জানা গেছে, ধামরাইয়ের সুতিপাড়া ইউনিয়নের ছোট কালামপুর আশ্রয়ণ প্রকল্প থেকে সোমভাগ ইউনিয়নের সাঁকোটি দেপাশাই কারাবিল এলাকার মধ্যবর্তী বংশী নদীর ওপর প্রায় ১৫-১৬ বছর আগে ৭৪ মিটার দৈর্ঘ্যের আট ফুট প্রস্থ নিচু করে একটি সেতু নির্মাণ করা হয়। নির্মাণের পর থেকেই সেতুটির নিচ দিয়ে নৌকা বা বালুবাহী কার্গো চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। পরে কার্গো চলার চেষ্টা করলে মাঝে মধ্যেই ধাক্কা লেগে সেতুটি ক্ষতির মুখে পড়ে। এরপর গত বছর ওই পুরনো সরু সেতুটি ভেঙ্গে নতুন সেতু নির্মাণের সিদ্ধান্ত নেয় উপজেলা প্রকৌশল অধিদপ্তর।

২০২২ সালের ২৪ ফেব্রুয়ারি ৫ কোটি ৩৮ লাখ ৬৬ হাজার ৩৫৮ টাকা ব্যয়ে ৭২ মিটার দৈর্ঘ্য একটি সেতু নির্মাণের কার্যাদেশ পান মেসার্স কামারজানী-আনোয়ারা (জেভি) নামে একটি ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান। ২০২৩ সালের ২৪ জুন সেতুটির নির্মাণ কাজ শেষ হওয়ার কথা থাকলেও গতকাল রোববার (১১ ফেব্রুয়ারি) পর্যন্ত কাজই শুরু করেনি। তবে গত ৯ মাস আগে পুরনো সরু সেতুটি ভেঙ্গে পাশেই একটি বাঁশের সাকো নির্মাণ করে দিয়েছে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান। কিন্তু ওই বাঁশের সাঁকো দিয়ে প্রতিদিন দেপাশাই, কারাবিল, ভালুম, শৈলান, পথহারা, আলোকদিয়া, চাপিল, নওগাও, কালামপুর, গোয়ালদী, কাশিপুরসহ ১২-১৩টি গ্রামের মানুষ যাতায়াত করে থাকে।বর্তমানে বাঁশের সাঁকোটি মাঝখানে ধসে পড়েছে।

এ চলাচলে অনুপযোগী হয়ে পড়েছে বাঁশের সাঁকোটি দিয়ে। আর কেউ ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করলেও যেকোন সময় সাঁকোটি ধসে পড়ে প্রাণহানির মতো ঘটনা ঘটতে পারে বলে জানান স্থানীয়রা।

স্থানীয়রা জানান, আমাদের চলাচলের জন্য ঝুঁকিমুক্ত ভাল সেতুটি ভেঙ্গে ফেলেছে ঠিকাদার। এখন আমরা প্রায় ১৫টি গ্রামের মানুষ চলাচল করতে পারছি না। আর কবে হবে নতুন সেতু তাও বুঝতে পারছি না । সব মিলে আমরা চরম ভোগান্তিতে আছি। কারন সেতু শুরু করার আগেই মেয়াদ শেষ হয়েছে বলে জানান তারা।

সেতুটির দেখাশোনার দায়িত্বে থাকা উপজেলা উপ-সহকারী প্রকৌশলী হাবিবুর রহমান বলেন, কাজটি শুরু করার জন্য ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানকে অনেক বার বলা হয়েছে কিন্তু ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান কাজ শুরু করছেন না। তবে দ্রুতই কাজ শুরু হবে বলে জানান তিনি। এব্যাপারে অনেক চেষ্টা করেও ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের কারও সাথে যোগাযোগ করা যায়নি।

এই বাংলা/এমপি

 

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

- Advertisement -spot_img

সবশেষ খবর