কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি :
বৃহস্পতিবার (৩০ অক্টোবর ২০২৫) সকাল ১২টা ১ মিনিটে কুড়িগ্রামের চিলমারী উপজেলায় টিসিবির (ট্রেডিং কর্পোরেশন অব বাংলাদেশ) পণ্য নির্ধারিত স্থানে বিতরণ না করায় ভোগান্তিতে পড়েছেন চরাঞ্চলের সুবিধাভোগীরা। পণ্য নিতে এসে তাদেরকে গুনতে হচ্ছে অতিরিক্ত যাতায়াত খরচও।
দৈনিক এই বাংলার সর্বশেষ খবর পেতে Google News অনুসরণ করুন
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, চিলমারী ইউনিয়নে টিসিবির পণ্য দুটি স্থানে—কলেজ মোড় ও ইউনিয়ন পরিষদ চত্বরে—বিতরণের নির্দেশনা থাকলেও বাস্তবে পণ্য বিতরণ করা হচ্ছে কেবল কলেজ মোড়েই। ইউনিয়ন পরিষদে কোনো বিতরণ কার্যক্রম হচ্ছে না।
চিলমারী উপজেলার তিনটি ইউনিয়নই ব্রহ্মপুত্র নদ দ্বারা বিচ্ছিন্ন। অথচ বিতরণের স্থানগুলো রাখা হয়েছে উপজেলা সদর এলাকায়। ফলে চরাঞ্চলের বাসিন্দাদের নৌকা ও অটোরিকশাযোগে সদরে আসতে হচ্ছে পণ্য নিতে, যা তাদের জন্য বাড়তি খরচ ও সময়ের অপচয় তৈরি করছে।
স্থানীয়রা অভিযোগ করেছেন, একজন কার্ডধারী সুবিধাভোগী টিসিবির পণ্য কিনে যে পরিমাণ অর্থ সাশ্রয় করেন, তার চেয়ে বেশি খরচ হয়ে যাচ্ছে যাতায়াতে। চর থেকে নৌকা ও অটোরিকশায় আসতে ভাড়া, চা-নাস্তার খরচসহ পুরো দিনটাই শেষ হয়ে যায়। ফলে সরকারের দেওয়া এই সহায়তার প্রকৃত সুফল থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন চরবাসী।
চিলমারী ইউনিয়নের বাসিন্দা মাসুদ রানা বলেন, “আগে টিসিবির পণ্য কড়াই বরিশাল ঘাটে বিতরণ হতো, পরে কিছুদিন জোরগাছ বাজারে। এখন থানাহাট ইউনিয়নের কলেজ মোড়ে বিতরণ হচ্ছে। এতে চরাঞ্চলের মানুষের কোনো সুবিধা হচ্ছে না, বরং কষ্ট বাড়ছে।”
চিলমারী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আমিনুল ইসলাম বলেন, “ইউনিয়নের পণ্য ইউনিয়নেই বিতরণ হওয়া উচিত। কিন্তু এখন চরাঞ্চলের মানুষদের নৌকা ভাড়া করে থানাহাটে যেতে হচ্ছে। এতে বাড়তি খরচ ও সময় নষ্ট হচ্ছে।”
চিলমারী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সবুজ কুমার বসাক জানান, “ইউপি চেয়ারম্যান ও ডিলারদের সঙ্গে আলোচনার মাধ্যমে এমন জায়গায় বিতরণ ব্যবস্থা নেওয়া হবে, যাতে সুবিধাভোগীরা সহজে পণ্য গ্রহণ করতে পারেন।”
এদিকে টিসিবির চিলমারী ইউনিয়নের দায়িত্বপ্রাপ্ত ডিলার সাওম ট্রেডার্সের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও মালিকের সঙ্গে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।
এই বাংলা/এমএস
টপিক
