25.3 C
Dhaka
Thursday, October 2, 2025

অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে অনুমোদনহীন প্রসাধনী ও শিশু খাদ্যের কারখানা

আরও পড়ুন

মোঃ মোফাসসেল সরকার, কিশোরগঞ্জ প্রতিনিধি

কিশোরগঞ্জের কুলিয়ারচর উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নের বাজারগুলোতে ও পৌর শহরের বিভিন্ন এলাকায়  অনুমোদনহীন প্রসাধনী ও শিশু খাদ্য কারখানা গড়ে উঠেছে ।

এসব কারখানার পরিবেশ অধিদপ্তর ও বিএসটিআইয়ের অনুমোদন না থাকলে ও দেদারছে  তৈরী হচ্ছে  নিম্ন মানের  গোসলের, হাত ধোয়াঁর সাবানও ডিটারজেন্ট পাউডার,শিশু খাদ্য ঝাল মুড়ি চিপস ।

প্রশাসনের নজরদারি না থাকায় এসব কারখানার উৎপাদিত প্রসাধনী ও খাদ্য খেয়ে মানবদেহে বিভিন্ন ধরনের রোগ বালাইসহ পেটের পীড়া দেখা দেওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে বলে মনে করছেন এলাকাবাসী।নামে-বেনামে যত্রতত্র এসব কারখানার পণ্য বিক্রি করে কারখানার মালিকরা লাভবান হলেও সরকার হারাচ্ছে বিপুল পরিমান রাজস্ব । পাশাপাশি ভোক্তারা  হচ্ছে প্রতারিত  ।

সরেজমিনে, কুলিয়ারচরের বাজরা, আগরপুর, দাড়িয়াকান্দি, গোবরিয়া আবদুল্লাহপুর ইউনিয়নের জাফরাবাদ মোড়ে ঘুরে দেখা গেছে বেশ কয়েকটি কারখানায় সাবান ও শিশু খাদ্য তৈরী করে বাজারজাত করছে দীর্ঘ কয়েক বছর ধরে ।

এছাড়া, আগরপুর বাসষ্ট্যান্ড সংলগ্ন রাফি সোপ নামে একটি সাবান ও ডিটারজেন্ট কারখানার উৎপাদিত এসব পণ্য দেশের বিভিন্ন জেলা-উপজেলায় বিক্রি করে হাতিয়ে নিচ্ছে লাখ লাখ টাকা । কিন্ত সাবান তৈরীতে কোন কারখানায় কেমিষ্ট নেই । শুধু তাই নয় অনেকেই আবার একটি পণ্যের জন্য বিএসটিআইয়ের অনুমোদনের জন্য আবেদন করে তারা একাধিক পণ্য তৈরী করে শুভঙ্করের ফাকিঁ দিচ্ছে ।

গোবরিয়া আবদুল্লাহপুরের জাফরাবাদ মোড়ে অস্বাস্থ্যকর ও নোংরা পরিবেশে মানিক মিয়ার কারখানায় তৈরী হচ্ছে ঝালমুড়ি ও চিপস ।  এসব কারখানার উৎপাদিত প্রসাধনী ও শিশু খাদ্য  দেশের বিভিন্ন জেলা-উপজেলায় এসব বিক্রি করে হাতিয়ে নিচ্ছে লাখ লাখ টাকা ।

নামপ্রকাশে অনিচ্ছুক স্থানীয় এলাকাবাসীরা জানান, এসব কারখানার সাবান ব্যবহার করে শরীরে চুলকানি হয় । হাতের চামড়া খসখস করে । আর শিশু খাদ্য খেয়ে প্রায়ই শিশুরা পেটেরপীড়াসহ নানা অসুখে ভোগে । তাই এসব কারখানার মালিকদের বিরুদ্ধে যেন প্রশাসন কঠোরভাবে আইনগত ব্যবস্থা নেয় ।

এ বিষয়ে মানিক মিয়া জানান, আমার ঝালঁমুড়ি ও চিপস তৈরী করতে আমাকে কুলিয়ারচর উপজেলা স্যানিটারী ইন্সপেক্টর আবুল কাসেম সহায়তা করেন । আমার  বিএসটিআইয়ের কোনো অনুমোদন নাই ।

এ বিষয়ে কুলিয়ারচর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ফারজানা আলম জানান, তদন্ত সাপেক্ষে  প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে ।

এইবাংলা/ তুহিন

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

- Advertisement -spot_img

সবশেষ খবর