নিজস্ব প্রতিবেদক ::
আজ বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের মনোনয়ন বোর্ড চুড়ান্ত করবে খুলনার ছয় আসনের নৌকার মাঝি ।খুলনায় আওয়ামী লীগে এখন পুরোপুরি নির্বাচনী হাওয়া। জেলার ৬টি আসনে নৌকার টিকিট পেতে দলীয় মনোননয়পত্র জমা দিয়েছেন ৫৪ নেতা। বিভিন্ন স্থানে দ্বন্দ্ব থাকলেও আবারও আওয়ামী লীগকে বিজয়ী করতে একসঙ্গে কাজ করতে চান নেতারা।
এ দিকে নির্বাচনমুখী জাতীয় পার্টিও। দেশের অন্য স্থানের মতো খুলনায়ও দুই বড় রাজনৈতিক দলের সাংগঠনিক কর্মকাণ্ড ভিন্ন। তবে দলীয় কার্যালয় কেন্দ্রিক না হলেও আন্দোলনে আছে বিএনপিও।
অন্যদিকে কয়রা-পাইকগাছা উপজেলা নিয়ে গঠিত খুলনা-৬ আসনে দলীয় মনোনয়ন প্রত্যাশী সর্বোচ্চ ১৭ জন। মনোনয়ন পেলে দলকে জয় উপহার দিয়ে আওয়ামী লীগকে আবারও ক্ষমতায় আনতে আশাবাদী নেতারা। চূড়ান্ত মনোনয়ন পেতে ভোটের লড়াইয়ে মাঠে নামার অপেক্ষায় রয়েছেন তারা। খুলনা-৫ আসনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন প্রত্যাশী আজগর বিশ্বাস তারা জানান, আমি মনোনয়ন পেতে আশাবাদী। জননেত্রী শেখ হাসিনা তরুণদের ওপর আস্থা রাখছেন। আমি মনোনয়ন পেলে সবাইকে নিয়ে নৌকার জয় নিশ্চিত করবো।
তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ দক্ষিণ এশিয়ার সবথেকে বড় রাজনৈতিক দল। এ দলে নেতৃত্ব দিতে পারার মানুষের সংখ্যাও বেশি। তবে এর মধ্যে যাকে বেশি যোগ্য মনে করবেন দলের সভাপতি তার পক্ষেই সবাইকে কাজ করতে হবে। কেউ যদি সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করেন, তার বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেয়া হবে।
খুলনা-১ আসনে মনোনয়নপ্রত্যাশী মো. আশরাফুল আলম বলেন, এই আসনে অনেকেই মনোনয়ন জমা দিয়েছেন। তবে নেত্রী যাকে পছন্দ করবেন, তাকে বিজয়ী করতে আমরা ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করবো। আমি যদি মনোনয়ন নাও পাই, যাকে মনোনয়ন দেয়া হবে তার পক্ষেই আমরা সবাই কাজ করবো।
খুলনা মহানগর জাতীয় পার্টির সহ-সভাপতি অ্যাড. অচিন্ত দাস বলেন, জাতীয় পার্টি সব সময় নির্বাচনমুখী দল। সরকার ও নির্বাচন কমিশনের কথায় আমরা আস্থা রেখে নির্বাচনে যাচ্ছি। খুলনার ৬টি আসনেই আমরা নির্বাচনে অংশ নেবো। অন্তত দুটি আসনে আমরা জয় পাবো।
খুলনা-২ আসনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন প্রত্যাশী একমাত্র সেখ সালাউদ্দিন জুয়েল।
খুলনা-৩ (খুলনা মহানগরের খালিশপুর ও দৌলতপুর থানা) আসনে বর্তমান এমপি ও শ্রম প্রতিমন্ত্রী বেগম মুন্নুজান সুফিয়ান, দলের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক এস এম কামাল হোসেন, মহানগর সদস্য অধ্যাপক রুনু ইকবাল বিথার, নগর আওয়ামী লীগের যুব ক্রীড়া সম্পাদক ফারুক হোসেন হিটলু, দৌলতপুর আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ সৈয়দ আলী ও প্রবাসী আওয়ামী লীগ নেতা শেখ বাদল আহমেদ। খুলনা-৪ (রূপসা, তেরখাদা ও দিঘলিয়া) আসনে জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট সুজিত অধিকারী, বর্তমান এমপি আব্দুস সালাম মূর্শেদী, স্পেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. রিজভী আলম, সাবেক এমপি প্রয়াত এস এম মোস্তফা রশিদী সুজার ছেলে ও জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক এসএম খালিদীন রশিদী সুকর্ণ, জেলা সিনিয়র যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মো. শরফুদ্দিন বিশ্বাস বাচ্চু, মো. কামরুজ্জামান জামাল, নগর যুবলীগের সভাপতি মো. শফিকুর রহমান পলাশ, যুবলীগ নেতা মো. নুর আলম ও সাবেক এডিশনাল আইজিপি মারুফ আহমেদ।
খুলনা-৬ (কয়রা- পাইকগাছা) আসনে বর্তমান সংসদ সদস্য মো. আখতারুজ্জামান বাবু, সাবেক এমপি অ্যাডভোকেট সোহরাব আলী সানা, জেলা যুগ্ম আহ্বায়ক কামরুজ্জামান জামাল, সাংগঠনিক সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার প্রেম কুমার মণ্ডল, শিল্প ও বাণিজ্য বিষয়ক সম্পাদক শেখ রাশেদুল ইসলাম রাসেল, কয়রা আওয়ামী লীগ সভাপতি জিএম মহসিন রেজা, উপজেলা চেয়ারম্যান এস এম শফিকুল ইসলাম, আওয়ামী লীগ নেতা শেখ মনিরুল ইসলাম, পাইকগাছা উপজেলা চেয়ারম্যান আনোয়ারুল ইকবাল মন্টু, আওয়ামী লীগের জেলা স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক ডা. মুহাম্মদ শহীদুল্লাহ, কোষাধ্যক্ষ ইঞ্জিনিয়ার জিএম মাহবুবুল আলম, সাবেক পাইকগাছা উপজেলা সভাপতি মো. রাশিদুজ্জামান মোড়ল, জেলা নেতা মো. খাইরুল আলম ও যুবলীগ নেতা এস এম রাজু, এসএম সাইফুল্লাহ আল মামুন।