নিজস্ব প্রতিবেদক :::
আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে মনোনয়ন চেয়ে চট্টগ্রামের সবকটি আসনে মনোনয়ন ফর্ম সংগ্রহ করেছেন দলটির ত্যাগী নেতারা। দলের পরীক্ষিত সাবেক ছাত্র নেতাদের কারা এবার মনোনয়ন পাচ্ছেন সেই দিকে চোখ তৃণমূলের। চট্টগ্রাম-১৫ (সাতকানিয়া-লোহাগাড়া) আসনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন ফর্ম সংগ্রহ করেছেন কেন্দ্রীয় ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক, সাবেক ছাত্রনেতা আমিনুল ইসলাম আমিন। একইসাথে নগরের তিন আসনের যে কোন একটিতে নির্বাচন করতে চান চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক মেয়র আ জ ম নাসির উদ্দিন। নানা চড়াই-উতরাই পেরিয়ে চট্টগ্রামের রাজনীতির মাঠে সবচেয়ে শক্তিশালী বলয় ধরে রেখেছেন তিনি।
তিনটি সংসদীয় আসনের জন্য দলের মনোনয়ন ফরম জমা দিয়ে চট্টগ্রাম নগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আ জ ম নাছির বলছেন, ‘ দলীয় সভাপতি শেখ হাসিনা যাকেই নৌকা প্রতীক দেবেন, তাকেই বিজয়ী করতে তিনি কাজ করবেন।’
শনিবার চট্টগ্রাম-৯, ১০ ও ১১ আসনে দলের মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করেছিলেন চট্টগ্রামের সাবেক মেয়র নাছির। রোববার তিনি তিন আসনেই ফরম জমা দেন। বর্তমানে এই তিনটি আসনেই নাছিরের রাজনৈতিক জুনিয়ররাই প্রতিনিধিত্ব করছেন আওয়ামী লীগের। বন্দর আসনে এক এগারোর সময়ে দলে নাম লেখান জামাত ঘরনার ব্যবসায়িক নেতা এম এ লতিফ। সেই থেকে পতেঙ্গা -বন্দরের মতো গুরুত্বপূর্ণ আসনটিতে আওয়ামী লীগের প্রতিনিধিত্ব করছেন লতিফ।
২০০৮ সালের নির্বাচনে ব্যবসায়ী কোটায় দলের মনোনয়ন পেলেও শুরু থেকেই আওয়ামী লীগের তৃণমূলের বিরোধিতার মুখে পড়েন এম এ লতিফ। তৎকালীন নগর আওয়ামী লীগের সভাপতি এ বি এম মহিউদ্দিন চৌধুরীসহ অধিকাংশ নেতা বিরোধিতায় সরব ছিলেন। তাদের বক্তব্য ছিল— ‘ লতিফ জীবনে কখনো আওয়ামী লীগ করেননি, বরং জামায়াতের রাজনীতির সঙ্গে একসময় যুক্ত ছিলেন। ‘
এছাড়া বঙ্গবন্ধুর ছবি বিকৃতির অভিযোগে তুমুল বিরোধিতার মুখে পড়েছিলেন লতিফ। চট্টগ্রাম চেম্বারে পারিবারিক নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা, বিএনপি -জামাতের লোকজনকে নিয়ে দলের ভেতর নিজস্ব বলয় তৈরি করা এবং দলের মূলধারার নেতাকর্মীদের সঙ্গে দূরত্বের কারণে লতিফ বরাবরই আলোচিত-সমালোচিত।
চট্টগ্রামের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ আসন হিসেবে ধরা হয় কোতোয়ালিকে (চট্টগ্রাম -৯)। প্রয়াত মেয়র এবিএম মহিউদ্দিন চৌধুরীর ছেলে শিক্ষা উপমন্ত্রী ব্যারিস্টার মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল এই আসন থেকে দলের টিকেট পেলেও ; তৃণমূলের সাথে তার যোজন যোজন দুরত্ব তৈরি হয়েছে। এবিএম মহিউদ্দিন চৌধুরীর অনুসারীদের একই বলয়ে ধরে রাখতে হিমসিম খাচ্ছেন তিনি। ডবলমুরিং ( চট্টগ্রাম -১০) আসনে ডাঃ আসফারুল আমিনের মৃত্যুর পর উপ নির্বাচনে যুব লীগের সাবেক মহিউদ্দিন বাচ্চু দলের মনোনয়ন পান। তবে এই আসনটি এবার মনোনয়ন প্রত্যাশী জৈষ্ঠ্য নেতাদের কাউকে ছেড়ে দেয়া হতে পারে – এমন বিশ্লেষণ নেতাকর্মীদের। চট্টগ্রাম নগরে দলের পোড় খাওয়া নেতা আ জ ম নাছির, খোরশেদ আলম সুজন ও দক্ষিণ চট্টগ্রামের সাতকানিয়ায় আমিনুল ইসলাম আমিনের মনোনয়নে চোখ রাখছেন দলের তৃণমূলের নেতাকর্মীরা।
তৃণমূলের নেতাকর্মীদের সাথে কথা বলে জানা যায়, নব্বইয়ের স্বৈরচার বিরোধী আন্দোলন , ১৯৯১-৯৬ সালে বিএনপি জামাতের দমন নিপীড়ন, ২০০১-২০০৫ সালে বিএনপি জামাত জোট সরকারের জুলুম-নির্যাতন ও আওয়ামী লীগকে চিরতরে শেষ করে দেয়ার অপচেষ্টা, কিংবা ১/১১ সেনা শাসনের সময় বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার মুক্তির আন্দোলনে বীরত্বের সাথে রাজপথে ছিলেন সাবেক মেয়র নাছির উদ্দীন ও সাবেক ছাত্রনেতা আমিনুল ইসলাম আমিন। তৃণমূলের নেতা-কর্মীদের মতে, দু’জনই বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা’র হাতে গড়া বিশ্বস্তকর্মী ও দুঃসময়ের যোদ্ধা। একারণে দুঃসময়ের নেতাদেরই অগ্রাধিকার দিয়ে মুল্যায়ন করা জরুরি। নগরে নৌকার মাঝি হতে তালিকার রয়েছেন চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের সাবেক প্রশাসক খোরশেদ আলম সুজনও; যিনি ছয় মাসে মেয়র হিসেবে নিজের দক্ষতা প্রমাণে সক্ষম হয়েছেন।
জানতে চাইলে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সাবেক সহ সম্পাদক নাসির উদ্দীন কুতুবী বলেন, ‘ আসন্ন জাতীয় নির্বাচনে চট্টগ্রাম শহর ও উত্তর -দক্ষিণে সাবেক ত্যাগী ছাত্রনেতাদের মুল্যায়ন করা জরুরি। নগরের যে কোন আসনে নির্বাচন করে জেতার সক্ষমতা রয়েছে এমন তালিকায় প্রথম নামটিই হবে আ জ ম নাসির উদ্দীনের। জাতির জনকের আত্মজা শেখ হাসিনা ও দলের জন্য হাসিমুখে নিজের জীবন উৎসর্গ করে দিতে পারেন বিনাবাক্যে, তেমন নেতার নাম আ জ ম নাসির উদ্দীন। ‘
একই সুরে কথা বললেন রাউজান উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এহসানুল হায়দার চৌধুরী বাবুল। তিনি বলেন, ‘ দলের সংকটে চট্টগ্রাম শহরে কান্ডারী ছিলেন সাবেক মেয়র আ জ ম নাসির। তিনি শেখ মুজিবুর রহমানের আদর্শে গড়া নিখাদ সৈনিক, পরীক্ষিত নেতা। জননেত্রী শেখ হাসিনা’র নেতৃত্বের প্রতি তার রয়েছে অবিচল আস্থা ও বিশ্বাস। কাছে থেকে দেখেছি, মানবসেবার রাজনীতিই আ জ ম নাসির উদ্দীনের একমাত্র ব্রত। পাঁচ বছর মেয়র থাকাকালে চসিক থেকে বেতন ভাতা পর্যন্ত নেন নি। ‘
চট্টগ্রাম মহানগর ছাত্রলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ওয়াহেদ রাসেল মনে করেন, আ জ ম নাসির উদ্দীনের মনোনয়ন সময়ের দাবি। মেয়র হিসেবে তিনি যে সফল,সেটি এখন প্রমাণিত হয়েছে। নানা কারণে তার অভাব নগরবাসী অনুভব করছে আজ৷ ঠিকাদারীর ভাগ বাটোয়ারার জন্য নগর ভবনে প্রকল্প পরিচালকের উপর হামলা পর্যন্ত হয়েছে, গণমাধ্যমে প্রকাশ পেয়েছে সবকিছু। আ জ ম নাছির উদ্দীন দূরদর্শী নেতৃত্বগুণ, মেধা-মনন, নীতি নৈতিকতায় তিনি হয়ে উঠেছেন চট্টগ্রামে মুজিব আদর্শের রাজনীতির বরপুত্র। ‘
আওয়ামী লীগের অর্থ ও পরিকল্পনা উপ কমিটির সদস্য সাজ্জাদুল হাসান মনে করেন, ‘ অসংখ্যবার বিএনপি জামায়াতের মামলা-হামলার শিকার হয়েছেন আমিনুল ইসলাম আমিন । শিবির ক্যাডারদের ছুরিকাঘাতে ক্ষতবিক্ষত হয়েছিল তার সারা শরীর। এক সময়ের তুখোড় ছাত্রলীগ নেতা, যার জনপ্রিয়তা ছিল দেশের প্রতিটি শিক্ষাঙ্গনে। দলের সংকটে জেল নির্যাতন দমাতে পারে নি তাকে ! জামাত অধ্যুষিত এলাকায় জন্ম, কিন্তু মৃত্যুভয়ও কখনো তাকে স্পর্শ করেনি। সাতকানিয়া -লোহাগাড়া আসনে তাকেই দলের মনোনয়ন দেয়া উচিত। নেতাকর্মী ও সাধারন মানুষের ভালবাসাই তার শক্তি । ‘
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ছাত্রলীগের মাঠ পর্যায় থেকে উঠে আসা আমিনুল ইসলাম আমিন রোহিঙ্গা সংকট নিরসনে কাজ করেছেন আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি টিমের সদস্য হয়ে। সংসদ সদস্য না হয়েও দলের পক্ষে রোহিঙ্গাদের মাঝে ত্রাণ বিতরণ, বাসস্থান নির্মাণ, চিকিৎসা সেবা নিশ্চিতকরণসহ দলীয় স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিষয়ে তিনি সফলতার সাথে কাজ করেছেন।’
সাতকানিয়া লোহাগাড়াকে জামাত শিবিরের দূর্গ বলা হয়ে থাকে। এই আসনে জামাত ঘরনার নেতাই নৌকার টিকেটে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন। যার কারণে বার বার মনোনয়ন পেলেও তৃণমূলের আপনজন হিসেবে পরিচিতি মেলেনি তার। ছাত্রলীগসহ অংগ সংগঠনের নেতাকর্মীদের দেখবালের দায়িত্ব ছিলো মুলত আমিনের।
সাতকানিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক কুতুব উদ্দিন মনে করেন, আমিনুল ইসলাম আমিন শুধু সাতকানিয়া, লোহাগাড়া কিংবা চট্টগ্রামের নয় ; গোটা দেশের সম্পদ! আওয়ামী লীগের সম্পদ।প্রাণপ্রিয় নেতা আমিনুল ইসলাম আমিন ভাইয়ের কর্মী হওয়াটাও আসলে সৌভাগ্যের। নেতার প্রতি কর্মীর শ্রদ্ধা অবিচল আস্থা, বিশ্বাস, নিঃস্বার্থ ভালবাসাটা ওনার কাছেই শেখা । তিনি একটি কথা প্রায় বলে থাকেন, কেবল মৃত্যুব্যতীত জাতির জনকের আত্মজা, মমতাময়ী “দেশরত্ন শেখ হাসিনা’র পাশ থেকে তাকে কেউ সরাতে পারবে না। ‘
এদিকে, চট্টগ্রাম শহরে দুটি আসনে মনোনয়ন ফরম তুলে মনোনয়নের জন্য অপেক্ষা করছেন চট্টগ্রাম মহানগর ১৪ দলের সমন্বয়ক এবং চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি খোরশেদ আলম সুজন। চট্টগ্রাম-১০ ও চট্টগ্রাম-১১ আসন থেকে ভোটের লড়াইয়ে অংশ নিতে রবিবার (১৯ নভেম্বর) আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয় থেকে সুজনের পক্ষে দলের মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেন দলীয় নেতা-কর্মীরা।
দলের মনোনয়ন সংগ্রহ করে খোরশেদ আলম সুজন বলেন, ‘ ৫০ বছরের অধিক দীর্ঘ রাজনৈতিক জীবনের সায়াহ্নে এসে আসন্ন দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনের জন্য চট্টগ্রাম-১০ ও চট্টগ্রাম-১১ আসন থেকে আমি দলীয় মনোনয়ন সংগ্রহ করেছি। আসন্ন নির্বাচনটি বিভিন্ন বিবেচনায় খুবই তাৎপর্যপূর্ণ। ইতোমধ্যে বিএনপি-জামায়াত চক্র এ নির্বাচন বানচালে উঠেপড়ে লেগেছে। তাই সার্বিক গুরুত্ব বিবেচনা করে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী যদি আমাকে যেকোনো একটি আসনে মনোনয়ন দান করেন তাহলে আমি আসনটি মাননীয় প্রধানমন্ত্রীকে উপহার দিতে পারবো। ‘
নানা কারণে নাছির -সুজন-আমিনের মনোনয়নে চোখ তৃণমূলের। ছাত্রলীগ-যুবলীগ-স্বেচ্চাসেবক লীগের অধিকাংশ নেতাকর্মীই এ তিনজনকে সংসদে দেখতে চান। রাজনীতির বাইরে শহরের স্থানীয়দের সাথে সুসম্পর্ক রয়েছে আ জ ম নাছির উদ্দীনের। ক্রীড়াঙ্গনের সাথে জড়িত থাকার কারণে ‘নাছির ‘ মানে দক্ষ সাহসীদের তাঁবু । আ জ ম নাছির উদ্দীনের অধীনে ছাত্র রাজনীতি করেছেন এমন এক ডজন কর্মী দলের টিকেটে সাংসদ হয়েছেন। ‘খোরশেদ আলম সুজন ‘ এর রাজনৈতিক জুনিয়ররা সংসদ সদস্য হিসেবে সংসদে গেলেও তিন মেয়াদে সেই কপাল হয় নি তারও। তবে আমিনুল ইসলাম আমিন কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে সক্রিয় থেকে দলে গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব সামাল দিয়েছেন।
দলীয় মনোনয়ন ফরম বিতরণের (দ্বিতীয় দিন) রবিবার (১৯ নভেম্বর) উৎসবমুখর পরিবেশে ঢাকা থেকে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করেছেন চট্টগ্রামের বাঁশখালীর সংসদ সদস্য মোস্তাফিজুর রহমান চৌধুরী । ফরম সংগ্রহ করার সময় তার সঙ্গে ছিলেন বাঁশখালী উপজেলা যুব মহিলা লীগের সভাপতি রাওকাতুন নূর চৌধুরী প্রিয়াতা, দলীয় নেতাকর্মী ও সমর্থকরা।
মোস্তাফিজুর রহমান চৌধুরী ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারি তারিখে অনুষ্ঠিত দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে “সংসদ সদস্য” হিসাবে নির্বাচিত হন। ২০১৮ সালে দ্বিতীয় মেয়াদে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেয়ে জয়ী হন তিনি। তার দুই মেয়াদে ব্যাপক উন্নয়ন কার্যক্রমে পরিবর্তন এসেছে দক্ষিণ চট্টগ্রামের অবহেলিত এলাকা বাঁশখালী উপজেলায় ।
মনোনয়ন ফর্ম বিক্রি শুরু পর থেকে তৃতীয় দিনে সরাসরি মনোনয়ন ফরম বিক্রি হয়েছে ৭০৯টি। আর অনলাইনে বিক্রি হয়েছে ২৪টি।এনিয়ে গত গেল তিন দিনে চট্টগ্রামের বিভিন্ন আসনে ৪৭৪ টি মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করেছেন মনোনয়ন প্রত্যাশীরা। প্রথম দুই দিনে চট্টগ্রাম বিভাগে দুদিনে ৪৩২টি ফরম বিক্রি হয়। রোববার বিক্রি হয়েছে ২৩১টি এবং শনিবার বিক্রি হয়েছে ২০১টি।
মনোনয়ন ফরম নিলেন যারা:
চট্টগ্রাম-১ (মীরসরাই): বেলায়েত হোসেন ও গিয়াস উদ্দিন; নিয়াজ মোর্শেদ এলিট, মাহবুবুর রহমান রুহেল চট্টগ্রাম-২ (ফটিকছড়ি): আফতাব উদ্দিন চৌধুরী; এইচএম আবু তৈয়ব, সাবরিনা চৌধুরী, ড. ফয়সাল কামাল, চট্টগ্রাম-৩ (সন্দ্বীপ): জাফরউল্ল্যাহ টিটু, মানিক মিয়া তালুকদার, বেলায়েত হোসেন, মহিউদ্দিন আহমেদ ও জামাল উদ্দিন চৌধুরী; চট্টগ্রাম-৪ (সীতাকুণ্ড): এস এম আল মামুন, দিদারুল আলম, চৌধুরী মোহাম্মদ জিন্নাত আলী ও রত্নেন্দু ভট্টাচার্য; চট্টগ্রাম-৫ (হাটহাজারী): আবদুস সালাম, মোহাম্মদ মঈনউদ্দিন ও মোহাম্মদ ইউনূস; চট্টগ্রাম-৬ (রাউজান): মুসলিম উদ্দিন চৌধুরী, ইমরানুল কবির, আবুল কালাম ও দেবাশীষ পালিত; চট্টগ্রাম-৭ (রাঙ্গুনিয়া-বোয়ালখালীর একাংশ): ড. হাছান মাহমুদ; চট্টগ্রাম-৮ (বোয়ালখালী, চান্দগাঁও, পাঁচলাইশ ও বায়েজিদ বোস্তামি): মোহাম্মদ ইমরান, এডভোকেট জিনাত সোহানা চোধুরী, মোবারক আলী, বেলাল হোসেন, সেলিনা খান বাদল, আবদুস ছালাম, এস এম কফিল উদ্দিন, দিদারুল আলম, কাজী শারমিন সুমি ও এস এম নুরুল ইসলাম; চট্টগ্রাম-৯ (কোতোয়ালী, বাকলিয়া): আ জ ম নাসির উদ্দীন , মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল, মুজিবুর রহমান, দিদারুল আলম ও শহীদুল আলম; চট্টগ্রাম-১০ (ডবলমুরিং, খুলশী ও হালিশহর): আ জ ম নাসির উদ্দীন, কেবিএম শাহজাহান, খোরশেদ আলম সুজন, মো. ইউনূস, সৈয়দ মাহমুদুল হক ও দেলোয়ার হোসেন ভূঁইয়া; চট্টগ্রাম-১১ (বন্দর, পতেঙ্গা): আ জ ম নাসির উদ্দীন, খোরশেদ আলম সুজন, নজরুল ইসলাম বাহাদুর, এম আব্দুল লতিফ, দেবাশীষ পাল দেবু, রেখা আলম চৌধুরী, জাবেদ ইকবাল ও সওগাতুল আনোয়ার খান; চট্টগ্রাম-১২ (পটিয়া): চেমন আরা বেগম, সত্যজিৎ দাশ রুপু, হারুনুর রশীদ ও জুলকারনাইন চৌধুরী; চট্টগ্রাম-১৩ (আনোয়ারা-কর্ণফুলী): শাহজাদা মহিউদ্দিন, ও সমীরণ নাথ; চট্টগ্রাম-১৪ (চন্দনাইশ): কায়কোবাদ ওসমানি, আব্দুল কৈয়ূম চৌধুরী, আব্দুল জব্বার চৌধুরী ও জাহেদুল ইসলাম; চট্টগ্রাম-১৫ (সাতকানিয়া-লোহাগাড়া): আমিনুল ইসলাম আমিন, আব্দুল মোতালেব, সাজেদা সুরাত, মইনুল ইসলাম মামুন, কামরুন্নাহার, আমানউল্লাহ জাহাঙ্গীর, মাঈনউদ্দিন হাসান চৌধুরী, ডা. আ ম ম মিনহাজুর রহমান ও এরশাদুল হক এবং চট্টগ্রাম-১৬ (বাঁশখালী): আবদুল্লাহ কবির লিটন, জমির উদ্দিন সিকদার, মোস্তাফিজুর রহমান চৌধুরী, মুজিবুর রহমান ও আবু নছর মো. সরওয়ার আলম।