24.3 C
Dhaka
Friday, October 3, 2025

আ. লীগের মত বিশাল মহীরুহের ডাল-পালায় শকুন বাসা বেঁধেছিল- মতিয়া চৌধুরী

আরও পড়ুন

কুতুবউদ্দিন হিরু ||

বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য, জাতীয় সংসদের উপনেতা  প্রবীণ রাজনীতিক বেগম মতিয়া চৌধুরী এমপি বলেছেন, ‘ আওয়ামী লীগ একটি বিশাল রাজনৈতিক পরিবার; একটি মহীরুহ- যা খরতপ্ত দুপুরে মানুষকে বার বার ছায়া দিয়েছে এবং ঝড়-বৃষ্টিতে মানুষকে আশ্রয় দিয়েছে। এই মহীরুহের অনেক ডাল-পালা রয়েছে- এ ডাল-পালার মধ্যে রয়েছেন প্রয়াত জননেতা বঙ্গবন্ধুর ঘনিষ্ঠ সহচর আতাউর রহমান খানের মত বলিষ্ঠ কিছু ব্যক্তিত্ব। আবার এই ডাল-পালায় খোন্দকার মোশতাক আহমেদের মত কিছু শকুনিরাও বাসা বেঁধেছিল। এজন্য আওয়ামী লীগকে মাশুল দিতে হয়েছে। এখনো এই শকুনিরা মহীরুহের ঢালপালায় ঘাপটি মেরে আছে। তারা যে কোন সময় বিপদ-আপদের হেতু হয়ে উঠতে পারে। তাই তাদের কাছ থেকে সাবধান।

তিনি আজ সোমবার সকালে মহান মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক সাবেক কূটনীতিক ও বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাবেক প্রেসিডিয়াম সদস্য মরহুম জননেতা আতাউর রহমান খান কায়সারের ১৩ তম মৃত্যুবার্ষিকীতে নগরীর ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশন সেন্টারে চট্টগ্রাম মহানগর, উত্তর ও দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের উদ্যোগে অনুষ্ঠিত স্মরণসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন।

তিনি আরো বলেন, পঁচাত্তরের পনের আগস্ট পরবর্তী আওয়ামী লীগ এখন শেখ হাসিনার নেতৃত্বে সবচেয়ে শক্তিশালী ভিত্তির উপর দাঁড়িয়ে আছে এবং দুর্দমনীয় গতিতে এগিয়ে চলছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মানুষের পাঁচটি মৌলিক অধিকার অন্ন, বস্ত্র, শিক্ষা, চিকিৎসা ও বাসস্থানের চাহিদা পূর্ণ করেছেন। এই পাঁচটি মৌলিক অধিকার পূর্ণ হওয়ায় মানুষ এখন মানুষের মর্যাদা পাচ্ছে। আনন্দের বিষয় ফকির-মিসকিনরা এখন পান্তাভাত খেতে চায় না। তাই আমরা খুশী। এজন্যই তো শেখ হাসিনা রাজনীতি করছেন শুধু ক্ষমতার জন্য নয় জনকল্যাণের জন্য। শিক্ষার ক্ষেত্রেও অগ্রগতি বিস্ময়কর। পৃথিবীর ক’টা দেশে বছরের প্রথমদিনেই শিক্ষার্থীরা বই উৎসব উদ্যাপন করে বিনামূল্যে তা বাড়িতে নিয়ে যায়? এটা শেখ হাসিনার অনন্য উপহার। চিকিৎসা ক্ষেত্রে কমিউনিটি ক্লিনিক একটি যুগান্তকারী পদক্ষেপ। এই ক্লিনিক থেকে প্রান্তিক জনগোষ্ঠি ২২ টি গুরুত্বপূর্ণ ঔষধসহ প্রয়োজনীয় স্বাস্থ্য সেবা পাচ্ছে। তিনি আরো উল্লেখ করেন এক সময় ঢাকায় র‌্যালিং মার্কেট ছিল। বিদেশ থেকে পুরোনো কাপড়ের বড় বড় ঘাট্টি বোঝাই পণ্য এই মার্কেটে বেচাকেনা হতো। এখন এই মার্কেট নেই কেননা দেশীয় পোশাক তৈরির শিল্পে উৎপাদিত বাতিলকৃত বস্ত্রগুলো এখন সূলভমূল্যে সাধারণ মানুষ পরিধান করতে পারছে এবং বস্ত্র খাতে প্রধান রপ্তানি আয় বাংলাদেশে বড় একটি অর্জন। আরো একটি বিষয় বিশ্ববাসীকে অবাক করে দেয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ইতোমধ্যেই সমগ্র বাংলাদেশের গৃহ ও ভূমিহীন মানুষদের বিনামূল্যে ভূমি ও গৃহ দিয়েছেন। তারা লাল-সবুজের আশ্রয়ন প্রকল্পে ঠিকানা খুঁজে পেয়ে জীবনকে সার্থক করেছেন, এমন নজির পৃথিবীতে আর কোথাও আছে কি? তিনি বুদ্ধিজীবীদের উদ্দেশ্যে বলেন, যারা সরকারের সাফল্যগুলোকে বাদ দিয়ে মন্দগুলোকেই খুঁজে বেড়ান তাদের উচিত মানুষের পাঁচটি মৌলিক অধিকার পূরণ নিয়ে শেখ হাসিনা জাতিকে যে উপহার দিয়েছেন তা নিয়ে গবেষণা করা।

নারীর ক্ষমতায়নে বর্তমান সরকারের অর্জনের বিষয়টি উপস্থাপন করে বলেন, আগে সনদপত্র বা পরিচয়পত্রে এবং বিভিন্ন বিষয়ে জীবন বৃত্তান্তে শুধুমাত্র বাবার নাম লেখা হতো। এখন সেখানে মায়ের নাম উল্লেখ থাকাটা বাধ্যবাধকতা করা হয়েছে।

তিনি প্রশ্ন করেন পৃথিবীর ক’টা দেশে এই ধরণের নারী-পুরুষের সমতামূলক আইনগত বিধান রয়েছে? তিনি সকলকে সতর্ক করে দিয়ে বলেন, কাল নাগিনীরা বসে নেই। পঁচাত্তরের ষড়যন্ত্রকারীরা আজও কালচক্রের চক্রান্ত চালাচ্ছে। এই চক্রান্ত সম্পর্কে জনগণকে সচেতন করতে হবে। তিনি সারাবিশ্বে শেখ হাসিনার বিজয় অভিধা ও সুনাম প্রাপ্তিতে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করে বলেন, তিনি আজ সারাবিশ্বে একজন মর্যাদাবান দার্শনিক রাষ্ট্রনায়ক হিসেবে অভিষিক্ত। তিনি যোগ্য পিতার যোগ্য কন্যা এবং বাংলার মাটি শেখ হাসিনারই জন্য।

মতিয়া চৌধুরী  নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে বলেন, কখনো জনবিচ্ছিন্ন হবেন না। জনবিচ্ছিন্নতা নিজের পতনের বড় স্কলন। আপনারা মনে রাখবেন শেখ হাসিনার একমাত্র চিন্তা বাংলাদেশকে এগিয়ে নেয়া। বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে এবং আরো এগিয়ে যাবে। আমাদের সকলের একমাত্র লক্ষ্য ২০৪১ সালের মধ্যেই স্মার্ট বাংলাদেশে রূপান্তর। তাহলে উন্নত দেশ হিসেবে আমাদের স্বপ্ন ও প্রাপ্তির ষোলকলা পূর্ণতা পাবে।

মরহুম আতাউর রহমান খান কায়সারের তনয়া বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের অর্থ ও পরিকল্পনা সম্পাদক এবং বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের সংসদ বিষয়ক স্থায়ী কমিটির সভাপতি ওয়াসিকা আয়শা খান এমপি বলেন, আমি সন্তান হিসেবে আমার পিতা মরহুম আতাউর রহমান খান কায়সারের কাছ থেকে সাধারণ জীবনযাপনের দীক্ষা পেয়েছি এবং লোভ ও লালসামুক্ত হয়ে শুদ্ধ জীবনযাপনের দীক্ষা অর্জন করতে পেরেছি। আজকের রাজনীতিকদের এমনটাই হওয়া উচিত।

বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ সম্পাদক আলহাজ্ব আমিনুল ইসলাম আমিন বলেন, ১/১১ এর খলনায়করা আবার মাঠে নেমেছে। তারা একটি অনির্বাচিত সরকার চায়। আরো পরিতাপের বিষয় যখন ক্রসফায়ার নেই তখনই র‌্যাবের কয়েকজন সাবেক ও বর্তমান শীর্ষ কর্মকর্তার উপর মার্কিনী মাতব্বর ম্যান্ডিসের ইন্দনে স্যাংশন জারি করা হয়। অথচ ঐ ম্যান্ডিসের বাসায় এক লক্ষ ডলার দামের স্বর্ণালংকার পাওয়া গেছে। এজন্য তার বিচার হচ্ছে। এখন প্রশ্ন হলো বিএনপি কি র‌্যাব কর্মকর্তাদের উপর স্যাংশন জারির জন্য লক্ষ কোটি ডলার ম্যান্ডিসকে ঘুষ দিয়েছিল? তিনি মরহুম আতাউর রহমান খান কায়সারের স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে বলেন, বনেদী ঘরে জন্ম নিয়েও তাঁর কোন অহংকার ছিল না। তাঁর শক্তি হচ্ছে নৈতিকতা ও মনুষ্যত্ব।

শিক্ষা উপমন্ত্রী ব্যারিস্টার মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল এমপি বলেন, আতাউর রহমান খান কায়সার আওয়ামী লীগের কঠিন সময়ে অভিভাবকের ভূমিকায় কেন্দ্রীয় নেতৃত্বকে গুরুত্বপূর্ণ পরামর্শ দিয়েছেন। তিনি দলের অভ্যন্তরীন মত ভিন্নতা নিরসনে একজন অন্যতম অনুঘটক ছিলেন। আজকের দিনে তাঁর মত রাজনীতিকের শূন্যতা রয়েছে। এই শূন্যতা পূরণ না হলে কোন সংকটই উত্তরণ করা সম্ভব নয়।

দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মোতাহেরুল ইসলাম চৌধুরী বলেছেন, বঙ্গবন্ধু মুসলিম লীগ পরিবারের সন্তান আতাউর রহমান খান কায়সারকে দলে টেনে এনে ভুল করেননি। কারণ জহুরে জহর চেনে। আতাউর রহমান খান কায়সার আমৃত্যু আওয়ামী লীগ ও নৌকা প্রতীকের সাথে একাকার হয়ে গিয়েছিলেন। রাজনীতিক হিসেবে তাঁর চাওয়া-পাওয়ার কিছুই ছিল না। তাঁর কাছে রাজনীতি ছিল শুধু দেয়ার জন্য। চট্টগ্রাম উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আলহাজ্ব আবদুস সালাম বলেছেন, বঙ্গবন্ধু শুধুমাত্র আওয়ামী লীগের জন্য বাংলাদেশ স্বাধীন করেননি। তিনি সাড়ে সাত কোটি বাঙালির অর্থনৈতিক মুক্তির জন্যই বাংলাদেশ স্বাধীন করেছিলেন। ঠিক একইভাবেই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাংলাদেশে যে উন্নয়নগুলো করেছেন সেগুলো শুধু আওয়ামী লীগের জন্য করেননি সবার জন্য করেছেন। বাংলার ঘরে ঘরে এখন বিদ্যুৎ পৌঁছেছে। শিক্ষার্থীরা বিনামূল্যে বই পাচ্ছে। এই বিদ্যুৎ ও বিনামূল্যের বই বিএনপির পরিবারও পাচ্ছে। পদ্মা সেতুর উপর শুধু আওয়ামী লীগের লোকজন আসা-যাওয়া করে না, বিএনপি’র নেতাকর্মীরা এই পদ্মা সেতুর উপর দিয়ে তাদের রাজনৈতিক কর্মসূচি পালনের জন্য আসা-যাওয়া করে থাকেন। এই বিষয়গুলো তাদের বুঝতে হবে।

চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক সিটি মেয়র আ.জ.ম নাছির উদ্দীন বলেন, প্রয়াত আতাউর রহমান খান কায়সার বনেদী ঘরের সন্তান হিসেবে নম্র, ভদ্র, শান্তিপ্রিয় মানুষ ছিলেন। তিনি শুধু রাজনীতিক নন সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্বও ছিলেন। এই শান্ত মানুষটি দলের কঠিন সময়ে সবচেয়ে সাহসী ভূমিকা পালন করেছেন। ১/১১ এর সময় যখন আওয়ামী লীগের অনেক শীর্ষ নেতা চুপসে গিয়েছিলেন তখন একমাত্র প্রয়াত জিল্লুর রহমান, আজকের প্রধান অতিথি বেগম মতিয়া চৌধুরীর সাথে আমাদের বীর সন্তান আতাউর রহমান খান কায়সার সাহসী ভূমিকা পালন করে শেখ হাসিনার পাশে দাঁড়িয়েছিলেন। তাই ১/১১ এর খলনায়করা শেখ হাসিনাকে রাজনীতি থেকে মাইনাস করতে পারেননি। এটাই আমাদের গর্ব ও অহংকার।

চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি মাহতাব উদ্দিন চৌধুরী সভাপতির বক্তব্যে বলেন, কঠিন সময়ের রাজনীতিক হিসেবে যখন আমরা জেল, জুলুমসহ নানাভাবে নিপীড়িত ও নির্যাতিত তখন আতাউর রহমান খান কায়সার আমাদের খোঁজ-খবর রাখতেন। আমাদেরকে সাহস যোগাতেন। এমনকি নানাভাবে নানা কৌশলে আমাদের সুরক্ষা দিয়েছিলেন। এমন একজন রাজনীতিক শেখ হাসিনার দুঃসময়ে পরম ভরসার স্থল ছিলেন। তিনি আমাদের আজকের রাজনীতিকদের জন্য একজন আদর্শিক গুরু।

দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মফিজুর রহমানের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত স্মরণসভায় বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের জাতীয় পরিষদের সদস্য চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি আলহাজ্ব নঈম উদ্দিন আহমদ চৌধুরী, নজরুল ইসলাম চৌধুরী এমপি, এস.এম. আবুল কালাম, অধ্যাপক মো. মঈনুদ্দিন, খাদিজাতুল আনোয়ার সনি এমপি, মোস্তাফিজুর রহমান এমপি, চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি আলহাজ্ব খোরশেদ আলম সুজন, জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এটিএম পেয়ারুল ইসলাম, দক্ষিণ জেলার মুজিবুল হক, মহানগর আওয়ামী লীগের আলহাজ্ব বদিউল আলম, দক্ষিণ জেলার মোছলেহ উদ্দিন মনসুর, উত্তর জেলার দেবাশীষ পালিত, মহানগর আওয়ামী লীগের আলহাজ্ব শফর আলী, চৌধুরী হাসান মাহমুদ হাসনী, শফিকুল ইসলাম ফারুক, উত্তর জেলা মহিলা আওয়ামী লীগের দিলোয়ারা ইউসুফ, দক্ষিণ জেলা মহিলা আওয়ামী লীগের শামিমা হারুন লুবনা। সভামঞ্চে উপস্থিত ছিলেন এড. সুনীল কুমার সরকার, এ.কে.এম বেলায়েত হোসেন, হাজী মোহাম্মদ হোসেন, ইঞ্জি: মানস রক্ষিত, আবুল কালাম, এড. ফখরুদ্দিন চৌধুরী, বোরহান উদ্দিন মাহমুদ এমরান, আবছার উদ্দিন সেলিম প্রমুখ।

এর আগে সকালে মরহুম আতাউর রহমান খান কায়সারের পারিবারিক কবরস্থানে তাঁর কবরে চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদনের সময় উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি মাহতাব উদ্দিন চৌধুরী, সাধারণ সম্পাদক সাবেক সিটি মেয়র আ.জ.ম নাছির উদ্দীন, সহ-সভাপতি এড. ইব্রাহিম হোসেন চৌধুরী বাবুল, আলহাজ্ব খোরশেদ আলম সুজন, আলতাফ হোসেন চৌধুরী বাচ্চু, সাংগঠনিক সম্পাদক নোমান আল মাহমুদ এমপি, উপদেষ্টা আলহাজ্ব শফর আলী, কোষাধ্যক্ষ আবদুচ ছালাম, সাংগঠনিক সম্পাদক শফিক আদনান, চৌধুরী হাসান মাহমুদ হাসনী, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক আলহাজ্ব শফিকুল ইসলাম ফারুক, আইন বিষয়ক সম্পাদক এড. শেখ ইফতেখার সাইমুল চৌধুরী, তথ্য গবেষণা সম্পাদক চন্দন ধর বন পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক মশিউর রহমান চৌধুরী, ত্রাণ সমাজ কল্যাণ সম্পাদক হাজী মোহাম্মদ হোসেন, নির্বাহী সদস্য সাইফুদ্দিন খালেদ বাহার, থানা আওয়ামী লীগের সাহাবউদ্দিন আহমেদ, রেজাউল করিম কায়সার প্রমুখ।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

- Advertisement -spot_img

সবশেষ খবর