প্রেস বিজ্ঞপ্তি :::
গত কয়েকদিনে ‘সুখী মানুষ : নিয়ে কয়েকটি গণমাধ্যমে প্রকাশিত বিভিন্ন মিথ্যা, বানোয়াট ও ভিত্তিহীন প্রতিবেদনের প্রতি ‘সুখী মানুষ ’ এর দৃষ্টি আকৃষ্ট হওয়ায় উক্ত প্রতিবেদনগুলোর বিরুদ্ধে তীব্র প্রতিবাদ ও নিন্দা জানিয়েছেন নির্বাহী পরিচালক নাফিসা আফরোজ । সুখী মানুষের বিরুদ্ধে বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশিত সংবাদগুলো সম্পূর্ণ মিথ্যা, বানোয়াট, ভিত্তিহীন ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বলে দাবি করেছেন তিনি।
বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশিত মিথ্যা বানোয়াট সংবাদের প্রতিবাদ জানিয়ে বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা ‘সুখী মানুষ’ শনিবার (২৩ সেপ্টেম্বর) গণমাধ্যমে বিবৃতি পাঠিয়েছে। এই বিবৃতিতে সুখী মানুষের বিরুদ্ধে মিথ্যা বানোয়াট তথ্য পরিবেশনের প্রতিবাদ জানিয়েছে সংস্থাটি।
প্রতিবাদ লিপিতে বলা হয়, উপানুষ্ঠানিক শিক্ষা ব্যুরোর আওতায় বাগেরহাট জেলার ৮টি উপজেলায় আউট অব স্কুল এডুকেশন প্রোগ্রাম বাস্তবায়নের জন্য ‘সুখী মানুষ’ এনজিও হিসেবে প্রাতিষ্ঠানিক দক্ষতার পরিচয় দিয়েছে। প্রকল্প বাস্তবায়নের সহযোগী প্রতিষ্ঠান ‘সিডোপ’ জালিয়াতি ও প্রতারণার মাধ্যমে প্রকল্পের অর্থ আত্মসাথের অপচেষ্টা করলেও প্রাইম এনজিও হিসেবে সুখী মানুষ ব্যবস্থা গ্রহন করেছে।
এতোকিছুর পরও কয়েকটি ভুঁইফোঁড় পত্রিকায় বাগেরহাট জেলায় প্রকল্প বাস্তবায়ন না করে জালিয়াতির মাধ্যমে অর্থ আত্মসাতের মনগড়া অভিযোগ তোলা হয়েছে। সিডোপ এর অনিয়ম ও দুর্নীতির কারনে উপানুষ্ঠানিক শিক্ষা ব্যুরোর আউট অব স্কুল এডুকেশন প্রোগ্রাম বাস্তবায়ন বাধার মুখে পড়ে ,যা তদন্তে মিথ্যা প্রমাণিত হয়েছে।
বাগেরহাট সদর, চিতলমারী, মোল্লাহাট, ফকিরহাট ও কচুয়া উপজেলায় মাঠ পর্যায়ে প্রকল্পের স্কুল চালু করা হয়েছে। প্রকৃতপক্ষে অনিয়মের সাথে জড়িতদের চাকরি থেকে বরখাস্ত করার কারণে তারাই উপজেলা নির্বাহী অফিসারসহ দায়িত্ব প্রাপ্ত অন্যান্য কর্মকর্তাদের ভিত্তিহীন চিঠিপত্র লিখেছে।
মোড়েলগঞ্জ, রামপাল ও মোংলা উপজেলায় দায়িত্ব প্রাপ্ত সহযোগী এনজিও সিডোপ সংস্থা বিভিন্ন বিভিন্ন দুর্নীতির সাথে জড়িয়ে পড়ার প্রমাণ পাবার কারণে তাদেরকে অনুমতি দেয়া হয় নি।
বেসরকারি সংস্থা সুখী মানুষের পক্ষে দেয়া প্রতিবাদপত্রে বলা হয় , সুখী মানুষ সংস্থার বিরুদ্ধে শিক্ষক নিয়োগ কমিটির বৈধ সদস্য সচিব ব্যতীত সকল উপজেলায় বিধি বহির্ভূতভাবে শিক্ষক নিয়োগ, বৈধ শিক্ষার্থী জরিপ ছাড়া শিক্ষক তালিকা তৈরী, ক্যাম্পেইন কমিটির সভাপতি প্রধান শিক্ষকের অনুমোদন ব্যতীত শিক্ষার্থীদের ভূয়া তালিকা প্রস্তুত করা, কর্মীদের বেতন ভাতা না দিয়ে অর্থ আত্মসাৎ, জামানতের নামে কর্মীদের নিকট থেকে অর্থ আদায়, ব্যাংক জালিয়াতি, প্রকল্প কর্মকর্তার স্বাক্ষর জালিয়াতির মাধ্যমে পার্টনার এনজিওদের সাথে অর্থের বিনিময়ে প্রতারণামূলক চুক্তি করাসহ অসংখ্য মিথ্যা বানোয়াট অভিযোগ তোলা হয়েছে, যার কোন ভিত্তি নেই। প্রকৃতপক্ষে, সুখী মানুষ এনজিও দক্ষতা ও সততার সাথে বাগেরহাট জেলায় আউট অফ স্কুল চিলড্রেন শিক্ষা প্রকল্প পরিচালনা করে আসছে। এতে লুটপাটের সুযোগ না পেয়ে দূর্নীতিবাজ চক্র ‘দুর্নীতি দমন কমিশনে বানোয়াট অভিযোগ জমা দিয়েছে।
জানতে চাইলে সুখী মানুষ এনজিও’র নির্বাহী পরিচালক নাফিজা আফরোজ বলেন, চারজন স্টাফকে অনিয়মের অভিযোগের ভিত্তিতে চাকরি থেকে অপসারন করার পর তাদের বেতন নেবার জন্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্র জমা দেবার অনুরোধ করা হলেও তারা অনিয়ম ঢাকতে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র জমা না দিয়ে বিভিন্ন দপ্তরে চিঠি চালাচালি করেছেন। তারা অফিসের গুরুত্বপূর্ণ কাগজপত্র জমা দেয় নি। ‘
এইবাংলা/ নাদির.সিমু
 সুখী মানুষের বিরুদ্ধে মিথ্যা বানোয়াট তথ্য পরিবেশনের প্রতিবাদ জানিয়েছে সংস্থাটি। বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশিত মিথ্যা বানোয়াট সংবাদের প্রতিবাদ জানিয়েছে বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা 'সুখী মানুষ'। শনিবার (২৩ সেপ্টেম্বর) সুখী মানুষের বিরুদ্ধে মিথ্যা বানোয়াট তথ্য পরিবেশনের প্রতিবাদ জানিয়েছে সংস্থাটি। ){kind=link}