আল আমিন, নাটোর প্রতিনিধি :::
মৌলভীবাজারের কুলাউড়ায় জঙ্গি আস্তানায় গ্রেপ্তারদের মাঝে মাইশা ইসলামের বাড়ি নাটোর সদর উপজেলার চাঁদপুর পাবনাপাড়া এলাকায়। মাইশার বাবা ও চাচাকে ২ বছর আগে তাদের বাড়ি থেকে বিস্ফোরকসহ বগুড়া ডিবি পুলিশ গ্রেপ্তার করেছিল। স্থানীয়দের দাবি তার পরিবার সরকারবিরোধী কর্মকাণ্ডে লিপ্ত। পুলিশ সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।
জঙ্গি আস্তানা সন্দেহে কুলাউড়ায় কর্মদা ইউনিয়নের পূর্ব টাট্টিউলি গ্রামের একটি বাড়িতে শনিবার ভোর থেকে ‘অপারেশন হিলসাইড’ নামে সাড়ে চার ঘণ্টার এই অভিযানে নামে মহানগর পুলিশের কাউন্টার টেররিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম (সিটিটিসি)। ‘ইমাম মাহমুদের কাফেলা’ নামে নতুন জঙ্গি দলের সদস্য মাইশার বাবা সাইদুল ইসলাম দুলাল ও চাচা ফজলুর রহমান দুইজনই সক্রিয় সদস্য। তাদের ২০১৭ সালের ১৪ জানুয়ারি নিজ বাড়ি থেকে বিস্ফোরকসহ গ্রেপ্তার করেছিল বগুড়া ডিবি পুলিশ। বর্তমানে মাইশার চাচা কারাগারে থাকলেও তার বাবা জামিনে আছেন। তবে তিনি বাড়িতে অবস্থান করেন না। তাদের বাড়িতে বর্তমানে কারও সাড়া শব্দ মেলেনি।
স্থানীয়রা জানান, প্রায় ২ মাস আগে স্থানীয় মসজিদে সোহেল তানজীম রানা নামে একজনের সঙ্গে মাইশার বিয়ে হয়। বিয়ের সময় মাইশার স্বামী সোহেল তানজীম রানাকে ডাক্তার হিসেবে পরিচয় দিয়ে ঢাকার বাসিন্দা বলে দাবি করেছিল মাইশা। এরপর আর তাদের এলাকায় দেখা যায়নি। মৌলভীবাজারে মাইশা গ্রেপ্তার হওয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছে এলাকাবাসী। সরকার বিরোধী এই পরিবার এলাকাবাসীর সঙ্গে মিশতো না। জঙ্গিবাদ জড়িয়ে পড়ায় তাদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেছেন স্থানীয়রা।
নাটোরের পুলিশ সুপার তারিকুল ইসলাম জানিয়েছেন, মাইশার পরিবারের ওপর নজরদারি অব্যাহত রয়েছে।
এইবাংলা /নাদিরা শিমু/NS