25.2 C
Dhaka
Thursday, October 2, 2025

বন্যার পানির স্রোতে ভেসে যাওয়া দাদু নাতির লাশ উদ্ধার, 

আরও পড়ুন

পানিতে ভেসে যাওয়া নাতি আনাস উদ্ধার

আজগর আলী সেলিম,চন্দনাইশ উপজেলা প্রতিনিধি :-

চন্দনাইশ উপজেলার দোহাজারী পৌরসভায় গতকাল এলাকার ৭নং ওয়ার্ড বন্যার পানিতে ভেসে যাওয়া দাদা নাতির লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ।

আজ বুধবার (৯ জুলাই) দোহাজারী পৌরসভা,,৭ নং ওয়ার্ডের পূর্ব দোহাজারী এলাকায় ভাড়া ঘরে বসবাসরত বাঁশখালী উপজেলার আবু সৈয়দ (৮০) নাতি মোঃ আনাস (১০) কে নিয়ে গতকাল মঙ্গলবার সকাল ১০ টার সময় জামিরজুরি এলাকায় বসবাসকারী ছোট ভাই মৌলানা মোক্তার আহমদ শিবলীর ওখানে যাওয়ার পথে বন্যার পানির স্রোতে ভেসে গিয়ে নিখোঁজ ছিল, অনেক খোঁজাখুঁজির পর আজ বিকালে চন্দনাইশ উপজেলার দোহাজারী পৌরসভা পাঠানি পুল এলাকা থেকে দাদা আবু সৈয়দ কে, দোহাজারী নতুন রেলওয়ে স্টেশন সংলগ্ন রেলওয়ে ব্রিজ এলাকা থেকে নাতি মোঃ আনাস কে উদ্ধার করা হয়েছে। ছেলের লাশ সনাক্ত করেন আনাসের মা।

বিষয়টি নিশ্চিত করেন চন্দনাইশ থানা অফিসার ইনচার্জ ওসি মোঃ আনোয়ার হোসেন এবং ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানোর কথা বলেন।

চট্টগ্রাম কক্সবাজার মহাসড়কের চন্দনাইশ উপজেলার দোহাজারী পাঠানি পুল এলাকায় হাঁটু পরিমান পানি ঝুঁকি নিয়ে পারাপার

উল্লেখ্য গত,৫ দিনের প্রবল বর্ষণে সৃষ্ট ভয়াবহ বন্যায় চট্টগ্রামের চন্দনাইশ ও সাতকানিয়া উপজেলার প্রত্যন্ত অঞ্চলে ভয়াবহ বন্যায় প্লাবিত হয়ে হাজার হাজার মানুষ পানিবন্দি হয়ে এক মানবতার জীবন যাপন করছিল। এছাড়া চট্টগ্রাম কক্সবাজার মহাসড়কের চন্দনাইশ পাঠানি পুল এলাকা,সাতকানিয়া পাঠানি পুল এলাকায় রাস্তার উপর দিয়ে পানি চলাচল করায় যানবাহন চলাচল বন্ধ থাকার পর আজ বুধবার থেকে দোহাজারী পাঠানি পুল এলাকায় গাড়ি চলাচল করছে।

আজ বুধবার থেকে দুই উপজেলার বন্যা পরিস্থিতি কিছুটা উন্নতির দিকে ,এখনো নীচু এলাকায় বন্যার পানিতে অনেক বাড়িঘর ঢুবে রয়েছে অসংখ্য পুকুর মৎস্য খামারের মাছ ভেসে যায়, শঙ্খ নদীর চরে আবাদকৃত কৃত বিপুল পরিমাণ শাক সবজি খেতের ক্ষতিসাধন হয়েছে গত দু’দিন ধরে বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন থাকলেও আজ সন্ধ্যা থেকে কিছু কিছু এলাকায় বিদ্যুৎ সরবরাহ চালু করা হয়েছে। বিদ্যুৎ না থাকায় মোবাইল নেটওয়ার্ক বন্ধ থাকার কারণে অনেকেই দুর্গত এলাকায় স্থজনদের সাথে যোগাযোগ করতে পারিনি।

দুর্গত এলাকায় পানিবন্দি মানুষের কাছে শুকনো খাবার বিতরণ করা হয়েছে উপজেলা প্রশাসন বিভিন্ন রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ,জন প্রতিনিধি, সহ বিভিন্ন সামাজিক সংগঠন। এখনো পর্যন্ত ক্ষয়ক্ষতির বিস্তারিত বিবরণ জানা যায়নি। শঙ্খ নদীর পানি দ্রত কমেছে। অনেক এলাকায় কাঁচা বাড়িঘর বন্যার পানিতে তলিয়ে গিয়ে ধসে পড়ার খরচ পাওয়া গেছে। ভয়াল বন্যার কারণে দুর্গত এলাকায় অনেক মানুষ না খেয়ে ছিল ।

এইবাংলা/প্রিন্স আচার্য্য/সিপি

- Advertisement -spot_img

সবশেষ খবর