24.5 C
Dhaka
Friday, October 3, 2025

পটুয়াখালীতে কোটি কোটি টাকার করলা বিক্রি

আরও পড়ুন

গোপাল হালদার, পটুয়াখালী :::

একটা সময় ছিলো উত্তরাঞ্চলের সবজির উপর নির্ভর ছিলো পটুয়াখালীর মানুষ। সে দিন পরিবর্ত হয়েছে। এখন বর্ষা মৌসুমে বানিজ্যিক ভাবে বুলবুলি ও টিয়া উচ্চ ফলনশীল জাতের করলা উৎপাদন করছে পটুয়াখালীর সবজি গ্রাম খ্যাত কুমিরমারা গ্রামের কৃষকরা। সারা বছর এই গ্রামে বিষমুক্ত নানা জাতের সবজি উৎপাদন হয়। এবারও সবজি গ্রাম খ্যাত কুমিরমারা গ্রামে এবার করলার বাম্পার ফলন হয়েছে। যার ফলে উত্তরাঞ্চলের সবজির উপর নির্ভরতা দিন দিন কমতে শুরু করেছে।

লবনাক্ত জমিতে কান্দি পদ্ধতিতে উচ্চ ফলনশীল জাতের করলা বীজ বপন করে ৪৫ দিনের মধ্যে ফলণ ঘরে তোলে কৃষকরা। এক বিঘা জমিতে করলা চাষ করতে ৫০ হাজার টাকা খরচ হয়। একবার মাচা করলে তিন বছর পর্যন্ত যায়। আর এক বিঘা জমিতে ১২ মন করলা উৎপাদন হয়। যা আড়াই লাখ টাকা বিক্রি করা করা হয় বলে জানান কৃষকরা। এবার করলার ভালো ফলন ও প্রতি কেজি করলা একশত টাকার উপরে বিক্রি করতে পেরে খুসি কৃষকরা।

প্রতি বছর বর্ষা মৌসুমে শত শত কোটি টাকার সবজি বিক্রি করে পটুয়াখালীর কলাপাড়া উপজেলার নীলগঞ্জ ইউনিয়নের সবজি গ্রাম খ্যাত কুমিরমারা গ্রামের কৃষকরা। এরমধ্যে চাহিদার শীর্ষে করলা বিক্রি করেছে কৃষকরা। আর এবছর ভালো ফলন ও দাম ভালো পাওয়ায় খুসি চষিরা। প্রতিদিন ৪০ থেকে ৬০ টন করলা দেশের বিভিন্ন এলাকায় সরবরাহ করা হচ্ছে।

সরেজমিনে দেখা যায়, নীলগঞ্জের বিভিন্ন গ্রাম থেকে শত শত সবজিচাষী কেউ মাথায় আবার কেউ ভ্যান ও রিকশায় করে করলা নিয়ে বাজারে আসেছে কৃষকরা। করলা চলে যাচ্ছে স্থানীয় আড়ৎএ দাম হচ্ছে বিভিন্ন প্রজাতির সবজির। আর এরপর ট্রাক যোগে চলে যাচ্ছে দেশের বিভিন্ন অঞ্চরে।

সবজিচাষী জাকির গাজি বলেন, ‘আমি এবার আগাম জাতের করলা আবাদ করেছি। এগুলো প্রতিদিন বাজারে নিয়ে আসতে হয়। দাম ভালো পাচ্ছি। এবার শাকসবজিতে পোকার আক্রমণ কম। ফসল ভালো হয়েছে। ইতোমধ্যে খরচ তুলে লাভ হচ্ছে।’

পাইকারী বিক্রেতা আব্দুল গনি বলেন, একটা সময় ছিলো উরাঞ্চলের সবজির উপর নির্ভর করে চলতে হতো পটুয়াখালীর মানুষের। তবে এখন আমাদের এলাকার সবজি জেলার বিভিন্ন অঞ্চলে যাচ্ছে। করলা এবার বাজার দরও ভালো। সবজির দাম প্রতি নীয়ত পরিবতর্ন শীল তাই এক এক দিন এক এক রকম দাম থাকে।

পটুয়াখালী কৃষি সম্প্রসারন বিভাগেরব উপ পরিচালক মোহাম্মদ নজরুল ইসলাম জানান, পটুয়াখালীর কৃষকরা বানিজ্যিক ভাবে করলা চাষ করে সফলতা অর্জন করেছে বহু বছর আগে। এখানের উৎপাদিত করলা জেলার চাহিদা মিটিয়ে দেশের বিভিন্ন জেলায় সরবরাহ হচ্ছে। প্রতি কেজি করলা একশত টাকার উপরে বিক্রি করে কৃষকরা অধিক মুনাফা অর্জন করছে।আর কৃষকরা নিরাপদ সবজি উৎপাদন ও উন্নত প্রযুক্তির ব্যবহারে কৃষি বিভাগ পরামর্শ দিচ্ছে বলেও জানান এই কর্মকর্তা।

এবছর জেলায় ১০৫০ হেক্টর জমিতে করলা আবাদ হয়েছে। শত কোটি টাকার করলা বিক্রি হওয়ায় অনেক কৃষক পরিবার আর্থিক ভাবে সচ্ছল হয়েছে। সাথে দিন দিন করলা চাষ বরছে এ জেলায়।

এইবাংলা/প্রিন্স আচার্য্য/সিপি

- Advertisement -spot_img

সবশেষ খবর