:::নাদিরা শিমু :::
ভুয়া বিল ভাউচার তৈরি করে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া কলেজের টাকা আত্মসাতের ঘটনায় সাবেক অধ্যক্ষসহ দুই কর্মকর্তার বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন। কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ রতন কুমার সাহা, সাবেক হিসাব রক্ষক মোহাম্মদ আব্দুল হান্নান, অফিস সহকারী কাজী জাহাঙ্গীর আলম পরস্পরের যোগসাজশে ভুয়া বিল ভাউচার তৈরি করে কলেজের ২ কোটি চল্লিশ লাখ বিরানব্বই হাজার নয়শত সাত ( ২,৪০,৯২,৯০৭) টাকা আত্মসাত করেছেন।
বৃহস্পতিবার (২৭ শে জুলাই) দুর্নীতি দমন কমিশন কুমিল্লা সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক রাফি মোহাম্মদ নাজমুস সাদাত তিনজনকে আসামি করে মামলা দায়ের করেছেন। আসামিদের বিরুদ্ধে ৪০৯/৪২০/৪৬৭/৪৬৮ /৪৭১/৪৭৭(ক), ১০৯ ধারা এবং দুর্নীতি প্রতিরোধ আইন ১৯৪৭ এর ৫(২) ধারায় অভিযোগ আনা হয়েছে।
মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়েছে, অস্তিত্বহীন ব্যয়ের খাতে টাকা খরচ দেখানো হয়েছে। ব্যয় না করেও ভুয়া বিল ভাউচার তৈরি করা হয়েছে অর্থ আত্মসাতে। কোনো কেনাকাটা না করেও ২২ খাতে ব্যয় দেখিয়ে ভুয়া বিল ভাউচারের মাধ্যমে ২ কোটি ৪০ লাখ টাকা আত্মসাতের করেছন আসামিরা।
দুদক কার্যালয় সুত্রে জানা যায়, রতন কুমার সাহা কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া সরকারি কলেজে যখন প্রিন্সিপাল পদে যোগ দেন তখন কলেজের ৪৪টি ব্যাংক হিসাবে স্থিতি ছিল ৭ কোটি ১৫ লাখ ২৯ হাজার ৭২৮ টাকা। মাত্র দেড় বছর দায়িত্ব পালনের পর ব্যাংক হিসাবের স্থিতির পরিমাণ কমে ৫ কোটি ৫৩ লাখ ৫৮ হাজার ৫৪৬ টাকা হয়। এছাড়াও বেশকিছু খাতে আয় যোগ হয় ওই ফান্ডে।কিন্তু ফান্ডের টাকা বৃদ্ধি না পেয়ে বরং কমেছে। কেনাকাটার সত্যতা না থাকলেও ২২ খাতে ব্যয় দেখিয়ে ভুয়া বিল ভাউচারের মাধ্যমে ২ কোটি ৪০ লাখ ১২ হাজার ৯০০ টাকা আত্মসাৎ হয়েছে।
অধ্যাপক রতন কুমার সাহা ২০২০ সালের ১ জানুয়ারি থেকে অবসরোত্তর ছুটিতে (পিআরএল) যান। দুদকের অনুসন্ধান প্রতিবেদন সূত্রে জানা যায়, কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া সরকারি কলেজে ৪৪টি ব্যাংক হিসাবের মাধ্যমে বিভিন্ন বিষয় খাতভিত্তিক আর্থিক আয়-ব্যয় নির্বাহ করা হয়ে থাকে। রতন কুমার সাহা ২০১৮ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি এই কলেজের প্রিন্সিপাল পদে যোগদান করেন। এ পদে যোগ দিয়ে তার আগের অধ্যক্ষ অধ্যাপক মো. আবু তাহেরের দায়িত্ব থেকে কলেজের ৪৪টি ব্যাংক হিসাবের মোট স্থিতি ৭ কোটি ১৫ লাখ ২৯ হাজার ৭২৮ টাকা বুঝে নেন।রতন কুমার সাহার সময়ে অনিয়ম-দুর্নীতির অভিযোগ উঠলে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের আদেশে ২০১৯ সালের ৩ মে তাকে ওএসডি করা হয়।
এইবাংলা /তুহিন