নিজস্ব প্রতিবেদক :::
ঢাকায় যুবলীগের তারুণ্যের জয়যাত্রা সমাবেশ হওয়ার কথা ছিল আগামীকাল সোমবার। তবে এই তারিখ পরিবর্তন করে ২৭ জুলাই সমাবেশের নতুন তারিখ ঘোষণা করেছে যুবলীগ। আজ রোববার গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে যুবলীগ। ২৭ জুলাই সরকার পতনে এক দফা আন্দোলনের অংশ হিসেবে ঢাকায় মহাসমাবেশের ঘোষণা দিয়েছে বিএনপিও।
যুবলীগের দপ্তর সম্পাদক মোস্তাফিজুর রহমান মাসুদ স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, যুবলীগের ঢাকা বিভাগীয় ‘তারুণ্যের জয়যাত্রা’ সমাবেশ ২৪ জুলাইয়ের পরিবর্তে ২৭ জুলাই অনুষ্ঠিত হবে। ওই দিন বেলা ২টা থেকে জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমের দক্ষিণ-পশ্চিম গেটে ঢাকা বিভাগের আওতাভুক্ত ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ, গাজীপুর ও নারায়ণগঞ্জ মহানগর, টাঙ্গাইল, মানিকগঞ্জ, মুন্সিগঞ্জ, নারায়ণগঞ্জ, গাজীপুর, ঢাকা জেলা ও ময়মনসিংহ জেলার সমন্বয়ে তারুণ্যের জয়যাত্রা সমাবেশ হবে।
এতে আরও বলা হয়, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ডিজিটাল বাংলাদেশকে স্মার্ট বাংলাদেশে উন্নীতকরণের লক্ষ্যে আওয়ামী যুবলীগের চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস পরশের নির্দেশে দেশব্যাপী তারুণ্যের জয়যাত্রা সমাবেশের ধারাবাহিকতায় ২৪ জুলাইয়ের পরিবর্তে ২৭ জুলাই নির্ধারণ করা হয়েছে। সমাবেশে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন। বিজ্ঞপ্তিতে সংশ্লিষ্ট জেলাগুলোকে সমাবেশ সফল করার জন্য যাবতীয় প্রস্তুতি নিতে বলা হয়েছে।
জানতে চাইলে যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক মাইনুল হোসেন খান নিখিল আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমাদের আমন্ত্রিত অতিথিরা সোমবারের সমাবেশে যোগ দেওয়ার সময় দিতে না পারায় তারিখ পরিবর্তন করে বৃহস্পতিবারে নেওয়া হয়েছে।’
বৃহস্পতিবার বিএনপিরও মহাসমাবেশ রয়েছে, এতে সংঘর্ষের আশঙ্কা আছে কি না? এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘আমাদের নেতা-কর্মীদের শান্তিপূর্ণভাবে সমাবেশে যোগ দিতে নির্দেশনা দিয়েছি। সন্ত্রাসীদের দল বিএনপি যদি কোনো ধরনের অরাজকতা করে তাহলে জনগণই তা প্রতিরোধ করবে।’
এর আগে সরকারের পদত্যাগ ও নির্দলীয় সরকারের এক দফা দাবিতে ২৭ জুলাই ঢাকায় মহাসমাবেশের ঘোষণা দেয় বিএনপি। গতকাল শনিবার বিকেলে রাজধানীর ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে তারুণ্যের সমাবেশ থেকে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এই কর্মসূচির ঘোষণা দেন।
কর্মসূচির ঘোষণা দিয়ে সমাবেশে নেতা-কর্মীদের উদ্দেশে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘মনে রাখতে হবে, আমরা একটা নতুন বাংলাদেশের জন্য সংগ্রাম করছি। এখন বক্তব্য নয়। এখন দাবি আদায়ের পালা। দফা এক, দাবি এক—শেখ হাসিনার পদত্যাগ। এক দফা যদি না মানে, তাহলে ফয়সালা হবে রাজপথে।’
এইবাংলা/প্রিন্স/সিপি