24.3 C
Dhaka
Friday, October 3, 2025

চট্টগ্রামে আ. লীগের গাড়িবহরে হামলা, নগর বিএনপির কার্যালয়ে অগ্নিসংযোগ

আরও পড়ুন

তানভীর আহমেদ :::

চট্টগ্রামের কাজির দেউড়ী এলাকায় অবস্থিত নগর বিএনপির কার্যালয়ে ভাংচুর ও অগ্নিসংযোগ করেছে দুর্বৃত্তরা। বুধবার সন্ধ্যায় এই ঘটনা ঘটেছে। এরআগে ওয়াসা মোড়ে আওয়ামী লীগের প্রার্থী মহিউদ্দিন বাচ্চুর গাড়িবহরে হামলা করে বিএনপির সমর্থকরা।

চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির আহবায়ক ডা: শাহাদাত হোসেন এই ঘটনার জন্য নগর যুবলীগের নেতাকর্মীদের দায়ী করেছেন। প্রত্যক্ষদর্শিদের বর্ণনা মতে,  চট্টগ্রাম -১০ আসনে নৌকার মনোনয়ন পাওয়া মহিউদ্দিন বাচ্চুর প্রধান নির্বাচনী ক্যাম্পে ঢিল ছোঁড়াকে কেন্দ্র করে এই হামলার ঘটনা ঘটেছে। বিএনপির কার্যালয়ে হামলার আগে বিএনপির কিছু উশৃংখল কর্মী মহিউদ্দিন বাচ্চুর নির্বাচনী ক্যাম্প লক্ষ্য করে ঢিল ছুঁড়ে।  ওয়াসা মোড়ে নৌকার নির্বাচনী প্রচারণার গাড়িবহরে হামলা করে। পরে যুবলীগের কর্মীরা একজোট হয়ে নাসিমন ভবনে এসে,  ব্যানার জ্বালিয়ে দেয়। নসিমন ভবনের সামনে পার্কিং করে রাখা তিনটি গাড়িও ভাংচুর করে তারা।

চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির আহবায়ক ডা: শাহাদাত হোসেন বলেন,  ‘ আজকের পদযাত্রা কর্মসূচিতে নেতাকর্মীদের ঢল দেখে মাথা ঘুরে গেছে তাদের। এই কারণে দলের কার্যালয়ে হামলা করা হয়েছে। আওয়ামী লীগের নির্বাচনী কার্যালয়ে তারা নিজেরাই হামলা চালিয়েছে। আজ বিএনপির কর্মসূচিতে লাখ লাখ মানুষ সমবেত হয়েছে। এটি দেখে হতাশায় আওয়ামী লীগের লোকজন এসে বিএনপির কার্যালয়ে হামলা করেছে।

এদিকে নৌকার ,চট্টগ্রামে বিএনপির পদযাত্রা থেকে এরআগে ১০ আসনে উপনির্বাচনে আওয়ামী লীগের এমপি প্রার্থী মহিউদ্দিন বাচ্চুর গাড়িবহরে হামলা চালানো হয়েছে। আজ বুধবার নগরের কোতোয়ালি থানার ওয়াসার মোড়ে এ ঘটনা ঘটে।হামলায় আওয়ামী লীগের ৮-১০ নেতা-কর্মী আহত হয়েছেন। এ সময় নির্বাচনী প্রচারে অংশ নেওয়া অন্তত আটটি গাড়ি ভাঙচুর করা হয়। এ ঘটনায় একজনকে আটক করেছে পুলিশ।

জানা গেছে, বেলা ৩টার দিকে নগরের নাসিমন ভবনের দলীয় কার্যালয়ে কেন্দ্র ঘোষিত কর্মসূচি ছিল মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ জেলা বিএনপির। পদযাত্রা শেষে নিউমার্কেট থেকে একটি গ্রুপ নগরের ওয়াসার মোড়ের দিকে যাওয়ার পথে মহিউদ্দিন বাচ্চুর গাড়িবহরে হামলা চালায়।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, বিএনপির ৫০-৬০ জন নেতা-কর্মীর একটি মিছিল লালখান বাজার হয়ে ওয়াসার দিকে যাচ্ছিল। লালখান বাজার পেট্রলপাম্পের সামনে মহিউদ্দিন বাচ্চুর নির্বাচনী প্রচারণে আটটি গাড়ি রাখা ছিল। এ সময় আওয়ামী লীগের ১০-২০ জন নেতা-কর্মী সেখানে উপস্থিত ছিলেন। বিএনপির নেতা-কর্মীরা মিছিল থেকে পাথর ও লাঠিসোঁটা নিয়ে হামলা চালান। এ সময় অন্তত আটটি গাড়ি ভাঙচুর করা হয়। হামলায় আওয়ামী লীগের ১০ জন নেতা-কর্মী আহত হন।

ওমর গনি এমইএস কলেজ ছাত্র সংসদের সাবেক জিএস আরশেদুল আলম বাচ্চু  বলেন, ‘বিএনপি আবারও সন্ত্রাসী কার্যক্রম বেছে নিয়েছে। মহিউদ্দিন বাচ্চু ভাইয়ের অস্থায়ী নির্বাচনী কার্যালয়ে হামলার চেষ্টা করেছে। আমাদের নেতা-কর্মীরা তা প্রতিরোধ করেছে। ‘

নগর যুবলীগের ক্রীড়া সম্পাদক রাজিব হাসান রাজন  বলেন, ‘মিছিল নিয়ে যাওয়ার পথে অতর্কিতে হামলা করে  গাড়ি ভাঙচুর করা হয়। এ সময় বাধা দিতে গেলে আমাদের বেশ কিছু নেতা-কর্মী আহত হয়েছে। বিএনপির কার্যালয়ে হামলার সাথে তারা নিজেরাই দায়ী। ’

বিএনপির ওই হামলার প্রতিবাদে নগর বিএনপির কার্যালয়ে পাল্টা হামলা করেছে বলে দাবি করেছেন নগর বিএনপির সাবেক দপ্তর সম্পাদক ইদ্রিস আলী। তিনি বলেন, বিএনপির কার্যালয়ে আওয়ামী লীগের সন্ত্রাসীরা হামলা চালিয়েছে। এ সময় পুলিশ নীরব ভূমিকা পালন করেছে।

পুলিশের উপস্থিতিতে হামলা চালানো হয়। ছবি: আজকের পত্রিকা

এ বিষয়ে জানতে চাইলে চট্টগ্রাম নগর পুলিশের উপকমিশনার (দক্ষিণ) মোস্তাফিজুর রহমান আজকের পত্রিকাকে বলেন, লালখান বাজারে আওয়ামী লীগের নির্বাচনী কার্যালয়ে বিএনপির লোকজন হামলা চালিয়েছে। এই ঘটনায় আওয়ামী লীগের একটি গ্রুপ বিএনপির কার্যালয়ে ঢোকার চেষ্টা করে। পরে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে।

এইবাংলা /তুহিন

- Advertisement -spot_img

সবশেষ খবর