:::::বিনোদন ডেস্ক ::::
‘লাস্ট স্টোরিজ টু’-এ গুরুত্বপূর্ণ চরিত্রে দেখা মিলেছে অভিনেত্রী অম্রুতা সুভাষের। কঙ্কনা সেনশর্মা পরিচালিত গল্প ‘মিরর’-এ তিলোত্তমা সোমের কাজের লোক ‘সীমা দিদি’র চরিত্রে লাইমলাইট কেড়েছেন অম্রুতা। ক্যামেরার সামনে অন্তরঙ্গ দৃশ্য সাবলীলভাবে ফুটিয়ে তুলেছেন অভিনেত্রী। ‘মিরর’-এ দেখা গেছে কেমনভাবে তিলোত্তমা সোম অফিস চলে যাওয়ার পর তারই বেডরুমে স্বামীর সঙ্গে যৌনতায় লিপ্ত হত সীমা। সিরিজে অম্রুতা যেভাবে যৌন দৃশ্য ফুটিয়ে তুলেছেন তা প্রশংসনীয়। তবে ক্যামেরার সামনে এটাই প্রথম যৌন দৃশ্যে অভিনয় নয়। এর আগে ‘সেক্রেড গেমস’ সিরিজেও এমন দৃশ্যে কাজ করেছেন অম্রুতা।
নেটফ্লিক্সের সিরিজ ‘সেক্রেড গেমস টু’-এর যৌন দৃশ্যের শুটিং শুরুর আগে অনুরাগ কাশ্যপ অত্যন্ত সংবেদনশীল আচরণ করছেন বলে জানান অম্রুতা। হিন্দুস্তান টাইসের এক প্রতিবেদনে জানানো হয়, এক আলাপচারিতায় অভিনেত্রী জানান, এই সিরিজের সেটেই প্রথমবার যৌন দৃশ্যে অভিনয় করেন তিনি। আলাপচারিতার ফাঁকে অম্রুতা বলেন, ‘অনুরাগ অতি সংবেদনশীল ছিলেন সেক্রেড গেমসের সেক্স সিনের শুটিংয়ে, ওটাই আমার জন্য প্রথমবার যৌন দৃশ্যে অভিনয় ছিল।’
নায়িকাকে সরাসরি তার পিরিয়ডের দিনক্ষণ পর্যন্ত জিজ্ঞেস করেন অনুরাগ। যাতে শুটিং শিডিউল সেই মতো সাজাতে পারেন অনুরাগ। অম্রুতা বলেন, ‘অনুরাগই আমাকে সোজা জিজ্ঞাসা করেছিলেন, তোমার পিরিয়ডের ডেট কবে? যাতে ওরা সেক্স সিনের শুটিং ওই সময় না ফেলে। পিরিয়ড নিয়ে তুমি কি শুটিং করতে পারবে? জানতে চেয়েছিল অনুরাগ।’
অম্রুতা অকপটে বলেন, এই বিষয়গুলো নিয়ে সংবেদনশীল হতে কাউকে একই লিঙ্গের হতে হবে এর কোনো অর্থ নেই। নারী-পুরুষের ঊর্ধ্বে ওঠে মানবতাই সেক্ষেত্রে একমাত্র পরিচয়। মারাঠি ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রির পরিচিত নাম অম্রুতা সুভাষ। সেক্রেড গেমস-এ দর্শক তাঁকে দেখেছে গুপ্তচর কুসুম দেবী যাদব ওরফে ম্যাডাম যাদবের চরিত্রে। ভারতের অন্যতম জনপ্রিয় সিরিজ ‘সেক্রেড গেমস’। গ্যাংস্টার গণেশ গাইতোন্ডে (নওয়াজউদ্দিন সিদ্দিকি)-কে গ্রেপ্তার করতে জান লড়িয়ে দেয় পুলিশ অফিসার সরতাজ সিং, চোর-পুলিশের এই লড়াই নিয়েই ‘সেক্রেড গেমস ২’। সিরিজের পরতে পরতে রয়েছে সাসপেন্স আর থ্রিল, মুম্বাইয়ের আন্ডারওয়ার্ল্ড জগতে নিয়েই এই সিরিজ পরিকল্পনা করেন অনুরাগ কাশ্যপ।