::: তানভীর আহমেদ :::
কোন থানায় ৩ মাস,কোন থানায় ৬ মাস। এইভাবেই চলেছে তার ওসিগিরি। নতুন থানায় যোগদানের পরই শুরু হয় তার অপরাধের চাষাবাদ। কিছুদিনের মধ্যেই পাতিলের তলা কালো না হতেই বিদায় হোন তিনি।
বলছিলাম,নানা অভিযোগে অভিযুক্ত সেই ওসি রুহুল আমিনের ফিরিস্তি।
তথ্যমতে,চট্টগ্রাম মেট্টোপলিটন পুলিশের চকবাজার থানায় ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার দায়িত্ব পালন করেন ৫ মাস ১১ দিন। বাকলিয়া থানায় ৬ মাস ২২ দিন,চকবাজার থানায় ৫ মাস ১১ দিন,হাটহাজারি মডেল থানায় ১১ মাস ১ দিন ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার দায়িত্ব পালন করেছে।
শুধু তাই নয়,নগরে ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার দায়িত্ব থাকাকালীন সময়ে প্রত্যেকটি থানায় নানা অভিযোগে অভিযুক্ত হোন। ফলে কোন থানাই তার ভাগ্য বেশিদিন জোটে নি।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে পুলিশের এক উদ্ধতন কর্মকর্তা বলেন,নিয়ম মোতাবেক থানার ওসিদের কার্যকাল ১৮ মাস। কিন্তু ওসি রুহুম আমি কোন থানায় কার্যকাল পূর্ণ করে যাওয়ার রেকর্ড নেই।
যেই থানাতেই যান সেখানেই কোন না কোন অভিযোগে অভিযুক্ত হোন তিনি।
সর্বশেষ,চট্টগ্রামের হাটহাজারী মডেল থানায় নতুন ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হলেন মনিরুজ্জামান। অন্যদিকে মুহাম্মদ রুহুল আমিনকে চট্টগ্রাম পুলিশ লাইন্সে সংযুক্ত করা হয়েছে।বৃহস্পতিবার (২২ জুন) চট্টগ্রামের পুলিশ সুপার এসএম শফিউল্লাহ স্বাক্ষরিত এক অফিস আদেশে এই রদবদল করা হয়েছে।
হাটহাজারী থানায় এক বৃদ্ধ ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার দেখিয়ে নির্যাতনের অভিযোগ উঠে তার বিরুদ্ধে। সেই ব্যবসায়ীর তার ধারাবাহিক নির্যাতনে অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে পাঠান চমেক হাসপাতালে। সেখানেও অসুস্থ সেই ব্যবসায়ীর ভয় লাগানোর জন্য বেডে রাখা হয় অত্যাধুনিক অস্ত্র একে-৪৭। এই ঘটনায় ওসি রুহুল আমিনের বিরুদ্ধে অভিযোগ জমা পড়ে আইজিপি সেলে। অভিযোগ ছাত্রজীবনে শিবিরের নেতা ছিলেন তিনি। রাঙ্গামাটির এক বিএনপি নেতার সুপারিশে ডুকেন পুলিশে।
এইবাংলা / তুহিন