::: নিজস্ব প্রতিবেদক :::
এক দশক পর প্রকাশ্যে সমাবেশ করার অনুমতি পেয়ে ঘুরে দাঁড়িয়েছে জামাত। রাজনৈতিক দল হিসেবে নিবন্ধন না পাওয়া দলটি নিজেদের শক্তির মহড়া দেখিয়েছে রাজধানীতে।দীর্ঘদিন থেকে দেশের রাজনীতিতে জামাতের প্রকাশ্য অংশগ্রহণ কার্যত নিয়ন্ত্রিত ছিলো। দলের শীর্ষ নেতাদের অনেকের ফাঁসি দেয়া হয়েছে। নিবন্ধন পায় নি রাজনৈতিক দল হিসেবেও।
তিন দফা দাবিতে বড় সমাবেশ করার জন্য দলটির নীতি-নির্ধারণী পর্যায় থেকে সকল পর্যায়ের নেতাকর্মীদের বার্তা দেয়া ছিলো আগে থেকেই। এর আগে ৫ই জুন কর্মদিবস থাকার কারণে তাদের সমাবেশ করার অনুমতি দেয়নি পুলিশ। তাই এবার ছুটির দিন শনিবার দেখে তারা অনুমতির আবেদন করে।
তবে দলটির নীতিনির্ধারণী পর্যায়ের আলোচনা করেই ডিএমপি তাদের সমাবেশের অনুমতি দিয়েছে । দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতিরোধ, আমীরে জামায়াত ডা. শফিকুর রহমানসহ জাতীয় নেতা ও আলেম-ওলামাদের মুক্তি এবং তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠার দাবিতে ঢাকা বড় সমাবেশ করেছে দলটি।
ঢাকার ইঞ্জিনিয়ার্স ইন্সটিটিউশনে এই সমাবেশে ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সেক্রেটারি শফিকুল ইসলাম মাসুম বলেছেন, “বাংলাদেশ জামাতে ইসলামীর যে নিবন্ধন ছিনিয়ে নেয়া হয়েছে তা ফিরিয়ে দিতে হবে।”
২০১৩ সালের পহেলা অগাস্ট জামায়াতে ইসলামীর নিবন্ধন বাতিল ও অবৈধ ঘোষণা করে রায় দেন হাইকোর্ট। ২০১৮ সালের আটই ডিসেম্বর দলটির নিবন্ধন বাতিল করে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়। নিবন্ধন না থাকায় সর্বশেষ জাতীয় নির্বাচনে অংশ নিতে পারেনি দলটি।
এক দশক পরে জামায়াতে ইসলামীর এই প্রকাশ্যে জনসভায় দলের তিন দফা দাবি তুলে ধরা হয়েছে।
রাজনীতির মাঠে দীর্ঘদিন নীরব থাকলেও সাংগঠনিক তৎপরতা থেমে ছিল না জামায়াতে ইসলামীর। ইদানীং রাজনীতির মাঠেও বিভিন্ন ইসু্যতে সরব হতে শুরু করেছে। বিএনপি নেতৃত্বাধীন সরকারবিরোধী যুগপৎ আন্দোলনের শুরুতে পৃথকভাবে কর্মসূচি পালন করলেও রাজনৈতিক কৌশলগত কারণে সেখান থেকে ফিরে এসেছে দলটি। তবে যুগপৎ আন্দোলনের একটা পর্যায়ে পূর্ণ শক্তি নিয়ে ঝাঁপিয়ে পড়ার সিদ্ধান্ত রয়েছে তাদের।
জামায়াত সূত্রে জানা গেছে, নানা কারণে বহুদিনের মিত্র বিএনপির সঙ্গে দূরত্ব বেড়েছে জামায়াতের। আন্দোলনের কৌশল, রোডম্যাপ আর কূটনৈতিক তৎপরতা নিয়ে মতপার্থক্য রয়েছে দুই দলের মধ্যে। এরপরও অদৃশ্য বন্ধনে তাদের সম্পর্ক অটুট রাখা হচ্ছে। সেক্ষেত্রে বিএনপির চূড়ান্ত আন্দোলনে একই সঙ্গে মাঠে নামার প্রস্তুতি নিয়েছে জামায়াত। বৃহত্তর আন্দোলন গড়ে তোলার পরিকল্পনা থাকলেও আন্দোলনের মাঠে আগে থেকে এককভাবে শক্তির মহড়া দেওয়ার সিদ্ধান্ত রয়েছে দলটির।
এইবাংলা/ হিমেল