25.2 C
Dhaka
Thursday, October 2, 2025

আলোচনার টেবিলে সমাধান চায় সরকার

আরও পড়ুন

::: ওয়াহিদ জামান :::

আসন্ন জাতীয় নির্বাচন নিয়ে সরকারি দল ও আওয়ামী লীগের মধ্যে আলোচনা শুরু হয়েছে। দুই দলের নেতারা প্রকাশ্যে বিষয়টি নিয়ে মুখ না খুললেও বিএনপি ও আওয়ামী লীগের সুত্র আলোচনা শুরুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। সরকার ও বিএনপির মধ্যে  বৈরী পরিবেশকে সহজ করে তোলার পরামর্শ দিয়েছেন কূটনৈতিকরা।

বিদেশি রাষ্ট্রগুলোও আলোচনার মাধ্যমে চলমান রাজনৈতিক সমস্যাগুলো মিটিয়ে ফেলে একটি অংশগ্রহণমূলক ও সুষ্ঠু জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য সরকারকে অনুরোধ জানিয়ে আসছিলো । কিন্তু আওয়ামী লীগ হাইকমান্ড তা একাধিকবার নাকচ করে দিয়েছে। বিএনপি আবারও ক্ষমতায় এলে দেশের পরিস্থিতি ভয়াবহ হবে বলে ওবায়দুল কাদের সতর্ক করে দিলেও তিনি এর কোনো কারণ ব্যাখ্যা করেননি।

সম্প্রতি আইনমন্ত্রী আনিসুল হক দেয়া বক্তব্যের পর বিএনপির সাথে সমঝোতার আভাস পাওয়া গিয়েছিল। কিন্তু পরবর্তী সময়ে বিষয়টি নিয়ে ধোঁয়াশা তৈরি হয়। প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনার আবরণে ডেকে রাখা হয় আলোচনা ও সমঝোতার প্রাথমিক স্তরের তথ্য।

আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য ও ১৪ দলের সমন্বয়ক আমির হোসেন আমু বলেন, ‘ দেশে গণতন্ত্রের স্বার্থে নির্বাচনী সমস্যা সমাধানে আলোচনা হতে পারে। প্রয়োজনে জাতিসংঘের প্রতিনিধি আসুক। আমরা বিএনপির সঙ্গে মুখোমুখি বসে আলোচনা করতে চাই। আলোচনায় সমাধান হবে, অন্য কোনো পথে নয়। ‘

বিএনপি নেতারা এই বিষয়ে প্রকাশ্যে কোন মন্তব্য করতে না চাইলেও আওয়ামী লীগের সাথে আলাপ আলোচনা চালিয়ে যাবার বিষয়টি নিশ্চিত করেছে যুক্তরাজ্যে অবস্থানরত এক বিএনপি নেতা।

তিনি জানান, ‘ প্রধানমন্ত্রীকে পদত্যাগ করতে হবে। এরপরই দেশের স্বার্থকে অগ্রাধিকার দিয়ে  সম্মানজনক ও মাঝামাঝি কোন সমাধানের প্রস্তাবকে স্বাগত জানাবে বিএনপি। ‘

সুত্রমতে, বিএনপি ও আওয়ামী লীগের মধ্যে আলোচনার মধ্যস্থতা করছে দুটি দেশের রাষ্ট্রদূত। দুই দলকেই ছাড় দিয়ে নির্বাচনের পরিবেশ তৈরি করতে চাপ রয়েছে কূটনৈতিকদের। জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জিএম কাদেরও নির্বাচন ইস্যুতে তার মতামত তুলে ধরেছেন।

এদিকে, প্রধানমন্ত্রীর পদত্যাগের ইস্যুতে আওয়ামী লীগের  শরিক দলগুলোর নেতারা নেতিবাচক মতামত দিয়েছে। সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতাকে সামনে রেখে  আলোচনা চালানোর কথা বলছেন তারা।

আওয়ামী লীগের শরিক দল জাসদ সভাপতি ও সাবেক তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু বলেন, ‘ আওয়ামী লীগ সংবিধানের বাইরে যাবে না। অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন করবে। শেখ হাসিনার অধীনে যথাসময়ে নির্বাচন হবে।’

বিশ্লেষকদের মতে, বিএনপির বিরুদ্ধে একটা সময়  অভিযোগ ছিল ক্ষমতায় থাকাকালীন সময়ে  দেশ পরিচালনায় তারা দলীয় জনগণের ওপর নির্ভর না করে প্রশাসন ও বিভিন্ন বাহিনীর ওপর নির্ভরশীল ছিল। ২০১৮ সালের নির্বাচনের পর জনপ্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের সীমাবহির্ভূত কর্মকাণ্ড প্রমাণ করে যে আওয়ামী লীগও আর জনগণের ওপর ভরসা না রেখে তাদের ওপর অধিকতর নির্ভরশীল হয়ে পড়েছে। অর্থাৎ বিএনপির গৃহীত নীতিই আওয়ামী লীগ প্রায় সব ক্ষেত্রে অনুসরণ করে চলেছে। এতোদিন মুখ দেখাদেখি বন্ধ থাকার পর  মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ভিসা নীতির প্রভাবে আলোচনা টেবিলে বসার ইস্যুটিকে একইভাবে বিশ্লেষণ করছে রাজনৈতিক বোদ্ধারা।

 

এইবাংলা /হিমেল

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

- Advertisement -spot_img

সবশেষ খবর