বীর-উত্তম এ. কে. খন্দকারের মৃত্যুতে শেকড় পাবনা ফাউন্ডেশনের গভীর শোক

0
71
বীর মুক্তিযোদ্ধা এ. কে. খন্দকারের মৃত্যুতে শেকড় পাবনা ফাউন্ডেশনের গভীর শোক / ছবি - এই বাংলা

পাবনা প্রতিনিধি :

মহান মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক, বীর-উত্তম খেতাবপ্রাপ্ত বীর মুক্তিযোদ্ধা, মুক্তিবাহিনীর ডেপুটি চিফ অব স্টাফ এবং স্বাধীন বাংলাদেশের প্রথম বিমান বাহিনী প্রধান এয়ার ভাইস মার্শাল (অব.) আবদুল করিম খন্দকার (এ. কে. খন্দকার) ইন্তেকাল করেছেন (ইন্নালিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)।

দৈনিক এই বাংলার সর্বশেষ খবর পেতে Google News অনুসরণ করুন

তাঁর মৃত্যুতে দেশ হারালো মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসের এক কিংবদন্তি সেনানায়ক। এ উপলক্ষে গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছে শেকড় পাবনা ফাউন্ডেশন।

এক শোকবার্তায় ফাউন্ডেশন জানায়, ১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধকালে এ. কে. খন্দকার বাংলাদেশ বাহিনীর ডেপুটি চিফ অব স্টাফ হিসেবে যে অসামান্য নেতৃত্ব ও কৌশলগত দক্ষতা প্রদর্শন করেছেন, তা স্বাধীনতা অর্জনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে। তার সুদূরপ্রসারী পরিকল্পনা ও সংগঠনী শক্তি মুক্তিযুদ্ধকে আরও কার্যকর ও সুসংহত করতে সহায়ক হয়।

শোকবার্তায় আরও উল্লেখ করা হয়, পরাজিত পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর ঐতিহাসিক আত্মসমর্পণের মুহূর্তে বাংলাদেশের পক্ষে প্রতিনিধিত্ব করেন এ. কে. খন্দকার। স্বাধীনতার পর তিনি দেশের প্রথম বিমান বাহিনী প্রধান হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করে একটি আধুনিক ও শক্তিশালী বাহিনী গঠনে অগ্রণী ভূমিকা পালন করেন।

রাষ্ট্রীয় জীবনে তিনি রাষ্ট্রদূত, মন্ত্রী এবং পাবনা-২ আসন থেকে নির্বাচিত সংসদ সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। একই সঙ্গে একজন চিন্তাশীল লেখক হিসেবে মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস তুলে ধরতে তিনি সাহসী ভূমিকা রাখেন। তাঁর লেখা গ্রন্থ ‘১৯৭১: ভেতরে বাইরে’ মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক গবেষণা ও ইতিহাসচর্চায় একটি গুরুত্বপূর্ণ সংযোজন হিসেবে বিবেচিত।

শেকড় পাবনা ফাউন্ডেশন জানায়, মুক্তিযুদ্ধের সম্মুখসারির একজন যোদ্ধা হয়েও প্রকৃত ইতিহাস তুলে ধরার কারণে এ. কে. খন্দকারকে বিভিন্ন সময়ে সমালোচনা ও প্রতিকূলতার মুখে পড়তে হয়েছে। তবুও তিনি সত্য ও আদর্শের প্রশ্নে আপসহীন ছিলেন।

শোকবার্তায় ফাউন্ডেশনের সভাপতি খান হাবিব মোস্তফা এবং সেক্রেটারি ড. মো. মোস্তাফিজুর রহমান খান মরহুমের বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা করেন এবং তাঁর শোকসন্তপ্ত পরিবার-পরিজন, সহযোদ্ধা ও স্বজনদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান।

বক্তব্যে বলা হয়, এ. কে. খন্দকারের কর্ম, চিন্তা ও আদর্শ নতুন প্রজন্মের জন্য চিরকাল অনুপ্রেরণার উৎস হয়ে থাকবে এবং জাতির ইতিহাসে তাঁর নাম স্বর্ণাক্ষরে লেখা থাকবে।

এই বাংলা/এমএস

টপিক

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here