::: রাহাত আহমেদ, কক্সবাজার থেকে ::
ঘুর্ণিঝড় মোখার মুল আঘাত পড়বে মিয়ানমারের উপর – আবহাওয়া অধিদপ্তরের এমন বার্তা স্বস্তি ফেরালেও রবিবার বেলা একটার দিকে হঠাৎ করে বাতাসের গতিবেগ বেড়েছে সেন্টমার্টিন দ্বীপে। শাহ পরীর দ্বীপেও প্রবল বাতাস বইতে শুরু করেছে। কক্সবাজার-উত্তর মিয়ানমার উপকূল অতিক্রম করছে ঘূর্ণিঝড় মোখা। রোববার দুপুর ১টার পর সেন্টমার্টিনে তাণ্ডব শুরু করে ঘূর্ণিঝড়টি। অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড় মোখার তাণ্ডবে বালি পর্যন্ত উড়ে যাচ্ছে সেন্টমার্টিনে।
সেন্টমার্টিনের ঘাট এলাকায় বাতাসের গতিবেগ বেড়েছে, সঙ্গে রয়েছে ভারী বৃষ্টি হচ্ছে। আতঙ্কের মধ্যে সময় কাটাচ্ছে সেন্টমার্টিনের সাধারণ মানুষ। স্বাভাবিকের চেয়ে পানির উচ্চতা কয়েক ফুট বেড়েছে।
বিষয়টি নিশ্চিত করেন সেন্টমার্টিন ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান চেয়ারম্যান মুজিবুর রহমান বলেন, ’ সময়ের সাথে সাথে বাতাসের তীব্রতাও বৃদ্ধি পাচ্ছে। এখন জোয়ারের সময়। যদি বাতাসের সাথে যদি জোয়ার আসে তাহলে সাগরের পানি কূলের মধ্য চলে আসবে।এই মুহূর্তে মানুষ খুবই আতঙ্কিত। তাদেরকে সান্ত্বনা দেওয়া হচ্ছে। ‘
সেন্টমার্টিনের বাসিন্দা সবুর আহমেদ বলেন, পুরো সেন্টমার্টিনকে তছনছ করে দিচ্ছে বাতাস। প্রবল তীব্র বাতাসের তোড়ে ভেজা বালি পর্যন্ত উড়িয়ে নিয়ে যাচ্ছে। জোয়ার আসার সময়ও ঘনিয়ে আসছে! ‘
আবহাওয়া অধিদফপ্তরের পরিচালক মো. আজিজুর রহমান বলেন, “সেন্টমার্টিনে যেহেতু বড় কোনো অবকাঠামো নেই, সেহেতু ঝড়টি কোথাও বাধা পাবে না। সরাসরি দ্বীপে এসে আঘাত করবে। ঝড়ের কেন্দ্র যখন সেন্টমার্টিন অতিক্রম করবে তখন দ্বীপের এই পাড় থেকে পানি ওই পাড়ে চলে যাবে। ঝড়ের তীব্রতার কারণে কিছু সময়ের জন্য তলিয়ে যেতে পারে দ্বীপটি।”
এইবাংলা/ হিমেল