::: নিজস্ব প্রতিবেদক :::
আকবর শাহ এলাকায় পাহাড় ধসে এক শ্রমিকের মৃত্যুর পরও থামেনি পাহাড় কাটা। পরিবেশ অধিদপ্তরের মামলাও দমাতে পারে নি স্থানীয় পাহাড় খেকোদের। প্রশাসনের ব্যাপক তৎপরতার মধ্যেও গভীর রাত ধরে পাহাড় কেটে দিনের বেলায় স্থাপনা নির্মাণের খবর পেয়ে অভিযান চালিয়েছে জেলা প্রশাসন। শনিবার (২৯ এপ্রিল) সকাল ১০ টা থেকে শুরু হওয়া এই অভিযান চলে বেলাত একটা পর্যন্ত। নগরের আকবরশা থানাধীন ৯ নং উত্তর পাহাড়তলী ওয়ার্ডের লেকসিটি আবাসিকের পেছনে স্থানীয় কাউন্সিলর জহুরুল আলম জসিমের নেতৃত্বে এই পাহাড় কাটার খবর পেয়ে অভিযানে গিয়ে স্বয়ং কাউন্সিলরের দ্বারা বাধার শিকার হন অভিযানে যাওয়া নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও কাট্টলী সার্কেলের সহকারী কমিশনার (ভূমি) মোঃ ওমর ফারুক।
এসময় কাউন্সিলর সাথে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের হাতাহাতির ঘটনাও ঘটে। পরে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ওমর ফারুক থানা থেকে বাড়তি পুলিশ ফোর্সের সহায়তা নেন। এ সময় পাহাড় কেটে নির্মাণ করা স্থাপনার কিছু অংশ ভেঙে দিতে পারলেও কাউন্সিলরের বাধার কারণে স্থাপনার ব্যাপক অংশ সরাতে পারেননি ম্যাজিস্ট্রেট।
এ বিষয়ে আরো বিস্তারিত জানতে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ওমর ফারুকের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, ‘ পাহাড় কেটে স্থাপনা নির্মাণ করার অভিযোগ পেয়ে লেকসিটি আবাসিকের পেছনে অভিযান চালানো হয়। অভিযানে বাঁধা দেবার চেষ্টা করা হলে স্থানীয় পুলিশের বাড়তি ফোর্স নিয়ে একটি দেয়াল গুঁড়িয়ে দেয়া হয়। ‘
এরআগেও চট্টগ্রামের ফয়’স লেক ও আকবর শাহ লেকসিটি এলাকায় পাহাড় কাটার প্রমাণ পেয়েছিলো চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসন। এ ছাড়া লিংক রোডে এশিয়ান উইমেন্স ইউনিভার্সিটির পাহাড় কেটে রাস্তা নির্মাণের কাজ বন্ধ করে দেয় জেলা প্রশাসন।