Site icon দৈনিক এই বাংলা

সিসিক নির্বাচন, আনোয়ারের পক্ষে একাট্টা আওয়ামী লীগ

::: বিশেষ প্রতিনিধি :::

সিলেট সিটি করপোরেশনের নির্বাচনে নৌকার মেয়র প্রার্থী আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরীর পক্ষে প্রচারণা মাঠে সক্রিয় হয়েছেন জেলা ও মহানগর আওয়ামী লীগের নেতারা। দলের মনোনয়ন পাবার পর জেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি শফিকুর রহমান চৌধুরীসহ মহানগর আওয়ামী লীগের শীর্ষ নেতারা ঐক্যবদ্ধ হয়েছেন দলের প্রার্থীকে বিজয়ী করতে।

ঈদের পর থেকে দলের প্রার্থীর পক্ষে মাঠে সক্রিয় রয়েছেন মহানগর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি আসাদ উদ্দিন, সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক জাকির হোসেন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আজাদুর রহমান আজাদ, এটিএম হাসান জেবুল, সাংগঠনিক সম্পাদক ডা. আরমান আহমদ শিপলু ও মহানগর আওয়ামী লীগ নেতা প্রিন্স সদরুজ্জামান।

সিলেট সিটি নির্বাচনে ‘ঘরের মানুষই’ আওয়ামী লীগের দুশ্চিন্তার কারণ এমন প্রচারণার বিপরীতে  ‘ ঐক্যবদ্ধ ‘ আওয়ামী লীগই এখন সম্ভাব্য মেয়র প্রার্থী আরিফের দুশ্চিন্তা বাড়িয়েছে। তৃণমূলের কর্মীরাও অতীতের যে কোন সময়ের চেয়ে ঐক্যবদ্ধ।  বর্তমান মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী স্বতন্ত্র প্রার্থী হবার বিষয়ে বিএনপির  নেতাকর্মীদের কাছে এক সপ্তাহ সময় চাইলেও ;  শেষ পর্যন্ত দলের সিদ্ধান্তের বাইরে গিয়ে সিটি করপোরেশনের নির্বাচনে অংশ নিলে তিনি দলের নীতিনির্ধারকদের ‘প্রকাশ্য’ বিরোধিতার মুখে পড়তে পারেন এমন আশংকা বেড়েছে ।

বিএনপি দলীয় নেতা ও বর্তমান মেয়র আরিফুল হক চৌধুরীকে নিয়ে ধোঁয়াশার সৃষ্টি হয়েছে। আরিফ এখনো নিজের অবস্থান সম্পষ্ট করেননি। দলের পাশপাশি এলাকার জনসাধারণের মতামতকেও গুরুত্ব দেয়ার কথা জানিয়েছেন তিনি। এ অবস্থায় আরিফ প্রার্থী হতে পারেন নগরে এমন গুঞ্জনে আওয়ামী লীগের জেলা ও মহানগরের নেতারা দলের প্রার্থীর পক্ষে একাট্টা।

এই গুঞ্জনের মধ্যেই শুক্রবার আরিফুল হক চৌধুরী জানিয়েছেন ১৯ অথবা ২০ মে তিনি নিজের অবস্থান স্পষ্ট করবেন। তবে আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী আরিফুল হক চৌধুরীকে প্রকাশ্যে চ্যালেঞ্জ করে বলেন, বিগত দুটি নির্বাচনে সিলেটে দলের প্রার্থী জয় পাননি। তাই এবার নেতা-কর্মীরা ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করে দলীয় প্রার্থীর বিজয় নিশ্চিত করতে চান। অতীতের তুলনায় বর্তমানে সিলেটে দল সবচেয়ে ঐক্যবদ্ধ বলে তিনি দাবি করেন।

এবার নির্বাচন নিয়ে তরুণ ভোটারদের মধ্যে ব্যাপক  আগ্রহ লক্ষ্য করা যাচ্ছে । ভোটের মাঠে আরিফুল হক নির্বাচনী প্রচার চালাচ্ছেন অনেকটা কৌশলে। আর আনোয়ারুজ্জামান ইতিমধ্যে তরুনদের নিয়ে  চষে বেড়িয়েছেন পুরো নগরী।

মেয়র আরিফুল হকের ঘনিষ্ঠ একটি সূত্রমতে,  বিএনপির চলমান আন্দোলনে সক্রিয় থাকলেও নিজের মতো করে নির্বাচনের প্রস্তুতিও নিচ্ছেন আরিফ। শেষ সময়ে তিনি অবস্থা বুঝে ব্যবস্থা নেবেন।

ওই সূত্রের দাবি, ‘সিলেট সিটিতে সবচেয়ে জনপ্রিয় প্রার্থী ছিলেন সিলেট মহানগর আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি ও সাবেক মেয়র প্রয়াত বদরউদ্দিন আহমদ কামরান। ২০১৩ ও ২০১৮ সালে কামরানকে হারিয়েই মেয়র নির্বাচিত হন আরিফুল। ২০২০ সালে কামরানের মৃত্যুর কারণে এবার সিলেটে আওয়ামী লীগের শক্তিশালী কোনো প্রার্থী নেই। ফলে ‘সুষ্ঠু নির্বাচন’ হলে আরিফুলের জয় অনেকটাই সহজ হবে। বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতাদের এটি বুঝিয়ে শেষ মুহূর্তে তিনি নির্বাচনে রাজি করাতে পারেন অথবা শীর্ষ নেতাদের সম্মতি নিয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থীও হতে পারেন।’

তবে, সিলেট জেলা ও মহানগর  বিএনপির অধিকাংশ নেতাই মনে চলমান আন্দোলনের মাঝখানে আরিফ চৌধুরী নির্বাচনে এলে সেটি তৃণমূলে ভিন্ন বার্তা দেবে। এমন সিদ্ধান্তে  সারাদেশে দলের ভাবমূর্তি সংকটে পড়বে।

Exit mobile version