Site icon দৈনিক এই বাংলা

সুনামগন্জে যুবককে তুলে নিয়ে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে

::: সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি :::

সুনামগঞ্জের তাহিরপুর উপজেলায় রাতের আঁধারে এক যুবককে তুলে নিয়ে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে উপজেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি মোশাররফ হোসেন তালুকদারের বিরুদ্ধে।

নিহত যুবক উপজেলার বাদাঘাট ইউনিয়নের ঘাগটিয়া গ্রামের মুজিবুর মিয়া ওরফে বাটি মুজিবুরের ছেলে সাকিব রহমান (২৫)।

নিহতের পরিবারের অভিযোগ, সোমবার মোশাররফ হোসেন নিজ বাড়িতে তার ছেলে রাজু, ছোট ভাই মহিনুর ও মোশাহিদকে নিয়ে রাতভর সাকিবকে অমানুষিক নির্যাতন করে। এতে মোশাররফের ফুফাতো ভাই নুরুজ আলী ও তার দুই ছেলে কাহার মিয়া এবং রাফিও অংশ নেয়। তারা সবাই মিলে সাকিবের হাত পা ভাঙে ও নখ উপড়ে ফেলে।

সাকিবের বাবা মুজিবুর মিয়া জানান, সোমবার রাত ১১টার দিকে পরিকল্পিতভাবে ঘাগটিয়া গ্রামের রাফি, রাজ, নুরুজ আলী ও তার ছেলে কাহার মিয়া, মহিনুর, মোশাহিদসহ অন্তত ১০-১২ জন মিলে আমার ছেলেকে উল্লাসের মোড় থেকে জোরপূর্বক ধরে মোশাররফের বাড়িতে নিয়ে যায়। সেখানে নিয়ে গিয়ে মোশাররফের নির্দেশে তারা আমার ছেলেকে পিটিয়ে হাত-পা ভেঙে ও নক উপড়ে হত্যা করে। খবর পেয়ে আমি রাত ১টার দিকে মোশাররফের বাড়িতে গেলে তারা আমার ওপরও আক্রমণ করে। পরে আত্মরক্ষার্থে আমি সেখান থেকে পালিয়ে আসি।

মঙ্গলবার (২৫ এপ্রিল) সকালে পুলিশ আমাকে জানায়, আমার ছেলেকে তাহিরপুর হাসপাতালে চিকিৎসা করানো হচ্ছে। সেখানে গিয়ে আমার ছেলেকে না পেয়ে পরে জানলাম সুনামগঞ্জ হাসপাতালে আছে। সেখানে গিয়েও ছেলের কোনো খোঁজ পেলাম না। পরে শুনলাম সিলেট ওসমানি হাসপাতালে রয়েছে। সেখানে গিয়ে ছেলেকে মৃত অবস্থায় দেখতে পাই।

তিনি আরও জানান, দুই বছর আগেও মোশাররফের লোকজন আমার ঘড়বাড়ি পেট্রোল দিয়ে জ্বালিয়ে দিয়েছিল। আমার ছেলেকে কুপিয়ে গুরুতর আহত করে। আমি আমার ছেলে হত্যার বিচার চাই।

অভিযুক্ত মোশাররফ হোসেনের মোবাইল ফোন বন্ধ পাওয়া যায়। তার পরিবারের লোকজনও বাড়ি তালাবদ্ধ করে এলাকা ছেড়ে পালিছে।

তাহিরপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) সৈয়দ ইফতেখার হোসেন বলেন, পূর্ব বিরোধের জের ধরে সোমবার রাতে ঘাগটিয়া গ্রামের মোশাররফ হোসেনের বাড়িতেই ওই যুবককে নির্যাতন করা হয়েছে বলে জানা গেছে। নিহত যুবকের লাশ সিলেটে আছে। সেখানেই মরদেহ ময়নাতদন্ত সম্পন্ন হবে। ঘটনায় জড়িতদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।

এইবাংলা/ তুহিন

Exit mobile version