Site icon দৈনিক এই বাংলা

সেই ‘বাবলা’, বদলি করেই দায়িত্ব সেরেছে সমবায় অধিদপ্তর

:::: নাদিরা শিমু ::::

দূর্নীতিবাজ সিন্ডিকেটের শীর্ষ কুশীলব সমবায় অধিদপ্তরের আলোচিত সমালোচিত বাবলা দাশকে রাজবাড়িতে বদলি করেই দায়িত্ব সেরেছে সমবায় অধিদপ্তর।  গত ২১শে মার্চ সমবায় অধিদপ্তরের যুগ্ম নিবন্ধক রিক্তা দত্ত সাক্ষরিত  এক দাপ্তরিক আদেশে তাকে বদলি করা হয়।

সরকারি চাকরিতে ২৬ বছরে অনিয়ম দূর্নীতি করে বাবলা দাশ গুপ্ত অন্তত হাজার কোটি টাকার মালিক বনেছেন। অথচ তিনি সমবায় অধিদপ্তরের  বড় কোনো কর্মকর্তা নন। অফিস সহকারী পদে চাকরি জীবন শুরু। পদোন্নতি পেয়ে এখন উচ্চমান সহকারী। তবে সমবায় অধিদপ্তরের প্রশাসনিক কর্মকর্তা বাবলা দাশ গুপ্তের জীবনের চাকচিক্য সিনেমার গল্পকেও হার মানাবে।

দুর্নীতি, নিয়োগ বাণিজ্য ও অর্থলোপাট করে বিপুল বিত্ত-বৈভবের মালিক বাবলা। তার বিরুদ্ধে বিদেশে অর্থপাচারের অভিযোগও আছে। নিজের ভাই, স্ত্রী, ভাগিনীসহ আত্মীয়-স্বজনসহ প্রায় পাঁচ শতাধিক ব্যক্তিকে সরকারি চাকরি দিয়েছেন বাবলা। দুর্নীতি করে ঢাকা, চট্টগ্রাম, কক্সবাজার ও বিদেশে গড়েছেন বিপুল ধনসম্পদ। সুত্রমতে,  তার অনিয়মের বিরুদ্ধে  গণমাধ্যম সরব হবার কারনে আপাতত তাকে বদলি করেই রক্ষা করার চেষ্টা করছে অনিয়মের সিন্ডিকেট।

বাবলা দাশের গুপ্তধনের সন্ধানে মাঠে নেমেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। এরই মধ্যে বাবলাকে জিজ্ঞাসাবাদও করেছে দুর্নীতি বিরোধী সংস্থাটি। কিন্তু সমবায়ের মহাপরিচালক (ডিজি) তরুণ কান্তি শিকদারের দাবি, বাবলা দাশের অতো ক্ষমতা নেই। বাবলার বিরুদ্ধে লিখিত কোনো অভিযোগ পাননি বলেও দাবি তার।  দীর্ঘদিন ধরে বাবলা সমবায়ে কর্মরত এবং তার পরিবারের পাঁচজন সমবায় অধিদপ্তরে চাকরি করেন। তবে তাদের যোগ্যতা আছে বলেই তারা এখানে চাকরি পেয়েছেন।

জানা গেছে, বাবলা দাশ ছোট ভাই, ভাবি, স্ত্রী ছাড়াও পরিবারের সদস্য, আত্মীয়-স্বজন, দূর সম্পর্কের ভাই-ভাগ্নি, শ্বশুরবাড়ির আত্মীয়-স্বজন, হাউজ টিউটরকেও বিমুখ করেননি।

অভিযোগ আছে, অধিদপ্তরে চাকরির নিয়োগ পরীক্ষায় মেধাবীরা টিকলেও পরবর্তীতে ঘুষ না দেয়ায় তাদেরকে বাতিল বলে গণ্য করা হয়। পরে বাবলার লোকজনকেই অর্থের বিনিময়ে চাকরিতে ঢোকানো হয়েছে দীর্ঘসময় ধরে দুর্নীতির মাধ্যমে নামে-বেনামে বাবলা দাশ করেছেন বিপুল ফ্ল্যাট, প্লট ও বাড়ি। তাছাড়া পার্শ্ববর্তী দেশেও গড়েছেন ধনসম্পদ। সেখানেও প্রায় আসা যাওয়া আছে তার।

২০১৮ সালের ১২ সেপ্টেম্বর সমবায় অধিদপ্তরের নিবন্ধক (বর্তমানে অতিরিক্ত নিবন্ধক, সমিতি ব্যবস্থাপনা) আহসান কবীর স্বাক্ষরিত এক অফিস আদেশে বাবলা দাশ গুপ্তকে কক্সবাজার বদলি করা হয়েছিলো। পরে আবারও সদর্পে ফিরেছেন সমবায়ের প্রধান কার্যালয়ে।

এইবাংলা/ হিমেল

Exit mobile version