Site icon দৈনিক এই বাংলা

মঠবাড়িয়ায় প্রয়াতদের স্মরণে ব্যতিক্রমী উদ্যোগ

সানাউল্লাহ রেজা শাদ, পিরোজপুর::

পিরোজপুরের মঠবাড়িয়ায় প্রয়াত ব্যক্তিদের স্মরণে ও তাঁদের রুহের মাগফেরাত কামনায় একটি ব্যতিক্রমী বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি পালন করেছে সামাজিক সংগঠন বৃক্ষ উৎসর্গ গ্রুপ’। বৃহস্পতিবার (১৮ সেপ্টেম্বর) সকাল ১০টায় উপজেলার ছোট সিংগা গ্রামে এ কর্মসূচির আয়োজন করা হয়।

কর্মসূচির আওতায় প্রায় ৫০০ তালের বীজ রোপণ করা হয়। আয়োজনের উদ্বোধন করেন মঠবাড়িয়া কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপসহকারী উদ্ভিদ সংরক্ষণ কর্মকর্তা এ কে এম মহসিন উদ্দীন মনির। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বৃক্ষ উৎসর্গ গ্রুপের উপদেষ্টা ও কবি মেহেদী হাসান। এছাড়া উপস্থিত ছিলেন শাহানাজ বেগম যিনি মূলত বৃক্ষ উৎসর্গ করেছেন তার প্রয়াত মা সাফিয়া খাতুনের প্রতি।

মেহেদী হাসান বলেন, “ দীর্ঘদিন ধরেই মঠবাড়িয়া উপজেলায় আমরা গাছ লাগিয়ে এসছি। গাছ কেবল অক্সিজেনের যোগানদাতা নয়, মানুষের স্মৃতি ও ভালোবাসারও প্রতীক। আমরা যাদের হারিয়েছি, তাদের নামের সঙ্গে যদি একটি গাছ বেঁচে থাকে তবে তা হবে চিরসবুজ স্মৃতি। বৃক্ষ উৎসর্গ গ্রুপের এই উদ্যোগ একদিকে পরিবেশ রক্ষা করছে, অন্যদিকে মানুষের হৃদয়ে ভালোবাসার শেকড় গভীর করছে।”

বৃক্ষ উৎসর্গ গ্রুপের পক্ষ থেকে গোলাম রাব্বি বলেন,
“আমরা চাই প্রয়াত প্রিয়জনদের স্মৃতি যেন কেবল হৃদয়ে সীমাবদ্ধ না থাকে, প্রকৃতির বুকেও তাদের অস্তিত্ব টিকে থাকুক। তাই আমরা গাছ লাগিয়ে তাদের স্মৃতিকে অমর করার চেষ্টা করছি। ভবিষ্যতে আরও বৃহৎ পরিসরে এ কর্মসূচি চালিয়ে যাওয়া হবে।”

কর্মসূচিতে বৃক্ষ উৎসর্গ গ্রুপের সদস্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, সৌরভ ক্ষরাতি, গোলাম রাব্বি, মাহমুদ হাসান রিহাত, আরিয়ান আহমেদ অনিক, প্রান্ত খরাতি, বিশু হালদার, তামান্না আক্তার, ফারজানা লামিয়া মুনতারিন, সানজিদা ইসলাম প্রমুখ।

বৃক্ষ উৎসর্গ সংগঠনের পক্ষে সৌরভ ক্ষরাতি জানান , এই কর্মসূচির মাধ্যমে শুধু গাছ লাগানো নয়, বরং প্রয়াত ব্যক্তিদের প্রতি ভালোবাসা ও স্মৃতিকে দীর্ঘস্থায়ীভাবে বাঁচিয়ে রাখাই মূল লক্ষ্য। সামনে উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় ধাপে ধাপে আরও বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি হাতে নেওয়ার পরিকল্পনাও রয়েছে।
বক্তব্যে উপসহকারী উদ্ভিদ সংরক্ষণ কর্মকর্তা মহসিন উদ্দীন মনির বলেন,
“এই ধরনের উদ্যোগ নিঃসন্দেহে প্রশংসনীয়। তালগাছ গ্রামীণ পরিবেশে শুধু ছায়াই দেয় না, বজ্রপাত থেকে মানুষের জীবনও রক্ষা করে। পরিবেশবান্ধব সমাজ গড়তে এবং জলবায়ু পরিবর্তনের ঝুঁকি মোকাবিলায় বৃক্ষরোপণের বিকল্প নেই।”

Exit mobile version