মহিউদ্দীন চৌধুরী পটিয়া::
পটিয়ায় এক ভিক্ষুক হল পুনর্বাসন, দুই গৃহহীন পেল তাদের নিজস্ব ঘর। দীর্ঘদিনের অনাহার ও ছাদের অভাবে দিন কাটানো মানুষগুলো আজ জীবনের নতুন স্বপ্ন দেখছে।
মঙ্গলবার দুপুরে উপজেলার কুসুমপুরা ইউনিয়নে অনুষ্ঠিত গণশুনানিতে জেলা প্রশাসক ফরিদা খানম সুবিধাবঞ্চিতদের সঙ্গে সরাসরি কথা বলে তৎক্ষণাৎ তাদের সমস্যার সমাধান করেন। এসময় ভিক্ষুক উপজেলার কুসুমপুরা ইউনিয়নের মো: জাহাঙ্গীর পুনবার্সন করার প্রতিশ্রুতি দেন জেলা প্রসাসক। এসময় আরো দুই গৃহহীন রোকেয়া বেগম ও সোহেলকে পুনবার্সন করারও আশ্বাস দেন।
এসময় তিনি বলেন, “জনগণের দোরগোড়ায় সেবা পৌঁছে দেওয়া আমাদের মূল লক্ষ্য। প্রতিটি সেবাপ্রার্থী যেন সঠিক সময়ে সেবা পান, সেটিই সরকারের উদ্দেশ্য। কোনো সেবায় সমস্যায় পড়লে সরাসরি আমার সঙ্গে যোগাযোগ করবেন।”
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ফারহানুর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন জেলা রাজস্ব অতিরিক্ত কর্মকর্তা সাদি উর রহিম জাদিদ, এসিল্যান্ড রয়া ত্রিপুরা, পটিয়া থানার ওসি (তদন্ত) যুযুৎসু যশ চাকমা, উপজেলা সমাজসেবা অফিসার দেলোয়ার হোসেন, পিআইও রবিউল হাসান, এলজিইডি প্রকৌশলী আমান উল্লাহ, কুসুমপুরা ইউপি প্যানেল চেয়ারম্যান শওকত আকবর, রাজনীতিবিদ রবিউল হোসেন বাদশা এবং স্থানীয় শিক্ষক ও শিক্ষার্থীসহ সর্বস্তরের মানুষ।
গণশুনানিতে ২১ জন সুবিধাবঞ্চিত মানুষের সমস্যা সমাধান করা হয়েছে। এর মধ্যে ছিল—দুই গৃহহীনকে ঘর নির্মাণসহ জায়গা প্রদান, এক ভিক্ষুকের পুনর্বাসন, বয়স্ক ভাতা ও প্রতিবন্ধী ভাতার ব্যবস্থা, চিকিৎসা তহবিল বরাদ্দ, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও সড়ক উন্নয়নের উদ্যোগ, হুইলচেয়ার বিতরণ এবং সুবিধাভোগীদের হাতে নগদ টাকা প্রদান। জেলা প্রশাসক সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর জন্য প্রয়োজনীয় সেবা নিশ্চিত করতে তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দিয়েছেন।