Site icon দৈনিক এই বাংলা

প্রশিক্ষণ বন্ধে ক্ষুব্ধ বরিশালের শিল্পাঙ্গন

সানাউল্লাহ রেজা শাদ (বরিশাল)

সুনির্দিষ্ট কোনো কারণ ব্যাখ্যা না করেই বরিশাল জেলা শিল্পকলা একাডেমির সাংস্কৃতিক প্রশিক্ষণ কার্যক্রম বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। ফলে সহস্রাধিক শিশু-কিশোর সাংস্কৃতিক চর্চা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। এ ঘটনায় ক্ষোভে ফুঁসছে অভিভাবক ও প্রশিক্ষক মহল।

গত ৩০ জুন জেলা কালচারাল কর্মকর্তা অসিত বরণ দাশগুপ্ত স্বাক্ষরিত মাত্র দুই লাইনের এক নোটিশে ঘোষণা দেওয়া হয় যে, ১ জুলাই থেকে একাডেমির প্রশিক্ষণ কার্যক্রম সাময়িকভাবে বন্ধ থাকবে। তবে নোটিশে কখন আবার কার্যক্রম চালু হবে, সে বিষয়ে কিছুই উল্লেখ করা হয়নি।

অভিযোগ রয়েছে, কালচারাল কর্মকর্তা অসিত বরণ দাশগুপ্ত ব্যক্তিগত মতানৈক্যের জেরে প্রশিক্ষণ কার্যক্রমে স্থবিরতা সৃষ্টি করেছেন। প্রশিক্ষকদের দাবি, তিনি নিজ পছন্দের কিছু অযোগ্য ব্যক্তিকে প্রশিক্ষক হিসেবে নিয়োগ দেওয়ার চেষ্টা করছেন এবং এজন্য দীর্ঘদিনের অভিজ্ঞ প্রশিক্ষকদের বাদ দেওয়ার পরিকল্পনা করছেন।

এ বিষয়ে উচ্চাঙ্গ সঙ্গীত, নৃত্য, নাটক, চারুকলা, আবৃত্তি ও তালযন্ত্রসহ একাডেমির ১২ জন অভিজ্ঞ প্রশিক্ষক বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির মহাপরিচালকের কাছে লিখিত আবেদনও করেছেন। তাদের অভিযোগ, দায়িত্ব গ্রহণের পর থেকে বর্তমান কালচারাল কর্মকর্তা চুক্তিপত্র নবায়নের বিষয়ে গড়িমসি করছেন।

তবে নিজের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ অস্বীকার করে কালচারাল কর্মকর্তা অসিত বরণ দাশগুপ্ত বলেন, “নোটিশে আমার স্বাক্ষর থাকলেও এটি একাডেমির কেন্দ্রীয় কর্তৃপক্ষের মৌখিক নির্দেশনা অনুযায়ী জারি করা হয়েছে। প্রশিক্ষণ বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত এককভাবে নেওয়ার সুযোগ নেই।”

এদিকে প্রশিক্ষণ কার্যক্রম বন্ধ রাখার ফলে বরিশালের সাংস্কৃতিক অঙ্গনে এক ধরনের স্থবিরতা নেমে এসেছে। ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে প্রতিভাবান নতুন প্রজন্ম।

এ বিষয়ে শিল্পকলা একাডেমির প্রশিক্ষণ বিভাগের পরিচালক এএফএম নূরুর রহমান বলেন, “প্রশিক্ষণ কার্যক্রম বন্ধ থাকলে প্রশিক্ষণার্থীরা উৎসাহ হারায়। আমরা দ্রুত কার্যক্রম চালুর জন্য প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নিচ্ছি।”

বরিশালের সচেতন সাংস্কৃতিক মহল বলছে, এ ধরনের সিদ্ধান্ত শুধুই সাংস্কৃতিক অগ্রযাত্রায় বাধা নয়, এটি একটি প্রজন্মের স্বপ্নকেও ক্ষতিগ্রস্ত করছে।

Exit mobile version