Site icon দৈনিক এই বাংলা

সীতাকুণ্ডে  মন্দির ভেঙে জ্বালিয়ে-গুঁড়িয়ে দিলো দুস্কৃতিকারী

সীতাকুণ্ড (চট্টগ্রাম) সংবাদদাতাঃ

চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে মধ্যরাতে একটি কালী মন্দির ও প্রতিমা ভেঙে জ্বালিয়ে-গুঁড়িয়ে দিয়েছে দুস্কৃতিকারীরা।

শনিবার গভীর রাতে উপজেলার সলিমপুর ইউনিয়নের জঙ্গল সলিমপুর ছিন্নমূল ২নং সমাজের সার্বজনীন শ্রী শ্রী মহাশ্মশান কালী মন্দির ও ভেতরে থাকা প্রতিমা ভেঙে মাটির সাথে মিশিয়ে দেয়া হয়। একই সাথে মন্দিরের জায়গা দখল করে রাতারাতি একটি সীমানা প্রাচীর তৈরী করেছে হামলাকারীরা। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে। এ ব্যাপারে থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেছে মন্দির কমিটি।

থানায় দায়েরকৃত অভিযোগ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, জঙ্গল সলিমপুরের ছিন্নমূল বস্তির ২নং সমাজের অন্তর্গত সার্বজনীন মহাশ্মশান কালী কালী বাড়িতে শনিবার মধ্যরাতে শতাধিক দুর্বৃত্ত পূর্ব পরিকল্পিতভাবে হামলা চালিয়ে সেমিপাকা মন্দির ঘরটির টিন, ঘেরাবেড়া গুড়িয়ে ভেঙে ফেলে। একই সাথে তারা ভেঙে চুরমার করে মন্দিরে থাকা কালীসহ বিভিন্ন দেবদেবীর প্রতিমা ও ছবি।

একই সময়ে হামলাকারীরা মন্দিরের সীমানার মধ্যেই একটি সীমানা দেয়াল নির্মাণ করে ফেলে রাতারাতি। আশপাশের মানুষ এ ঘটনা টের পেয়ে ভোর রাতে সীতাকুণ্ড থানাকে ফোন করলে ভোর রাতে পুলিশ ঘটনাস্থলে যায়। পরে রোববার দুপুরে ঐ কালী মন্দির কমিটির পক্ষ থেকে সীতাকুণ্ড মডেল থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করা হয়।

ছিন্নমূল দূর্গা পূজা পরিচালনা কমিটির নেতা রুবেল ও ঐ মহাশ্মশান কালী মন্দির কমিটির সভাপতি অমর মজুমদার জানান, শনিবার দুযোগপূর্ণ আবহাওয়ার মধ্যে গভীর রাতে শতাধিক দুস্কৃতিকারীরা হামলা চালিয়ে মন্দিরটি একেবারে নিশ্চিহ্ন করে ফেলে। কালী প্রতিমাসহ ভেঙে গুড়িয়ে দেয়া হয়েছে সব দেব-দেবতার প্রতিমা ও ছবি। ভোর রাতে সীতাকুণ্ড থানার ওসিকে ফোন করে ঘটনা অবগত করলে পুলিশ ছুটে আসে।

এ বিষয়ে মন্দির কমিটির সভাপতি অমর মজুমদার থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।

সীতাকুণ্ড থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি মোঃ মজিবুর রহমান ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, মন্দিরটি সরকারি খাস জমিতে গড়ে তোলা। আমার ধারণা পার্শ্ববর্তী কোন জায়গার মালিকের সাথে তাদের জমি বিরোধের কারণেই এমন ঘটনা ঘটেছে। এ বিষয়ে মন্দির কমিটি থানায় অভিযোগ দায়ের করেছে। প্রকৃত ঘটনা জানতে আমরা তদন্ত করছি। এর সাথে জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।

Exit mobile version